আবৃত্তিশিল্পে বাংলাদেশের অন্যতম কণ্ঠ হাসান আরিফ। মঞ্চ ও গণমাধ্যমে তার পরিবেশনা নতুন মাত্রা যুক্ত করেছিল এই শিল্পে। কবিতার প্রতিটি শব্দকে অনুভব করে যে নাটকীয় পরিবেশ তৈরি করতেন, তা সমবেত দর্শকশ্রোতাকে সম্মোহিত করে রাখত। সংগঠক হিসেবেও তিনি ছিলেন সফল একজন।

চলতি বছরের ১ এপ্রিল ২০২২ সালে ৬৫ বছরে প্রয়াত হন তিনি। প্রয়াণের পর তার প্রথম জন্মদিন বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর)। দিনটিকে ঘিরে এদিন সন্ধ্যায় রাজধানীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ।

ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইন্সটিটিউট (আইটিআই) বাংলাদেশ কেন্দ্র ও বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রো-ভিসি) বিশিষ্ট কবি ড. মুহাম্মদ সামাদ ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক আবৃত্তিশিল্পী মো. আহকাম উল্যাহ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন হাসান আরিফ স্মৃতি সংসদের আহবায়ক আজহারুল হক আজাদ। স্মৃতিচারণ করেন হাসান আরিফের বোন রাবেয়া রওশন তুলি।

হাসান আরিফ স্মৃতি সংসদ আয়োজিত ‘হাসান আরিফ অন্তরে মম’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেএম খালিদ বলেন, হাসান আরিফ বাংলাদেশের আবৃত্তি অঙ্গনে এক অনন্য নাম। তার আবৃত্তি শুনে আমি বরাবরই মুগ্ধ ও চমৎকৃত হতাম। কোথাও আবৃত্তি চর্চার কথা শুনলে তার নামটিই সবার আগে মাথায় আসতো। অমর একুশে বইমেলার সমাপনী অনুষ্ঠান তার কণ্ঠে আবৃত্তি ছাড়া পূর্ণতা পেতো না। গুণী আবৃত্তিশিল্পী হাসান আরিফ তার কর্মের মধ্য দিয়ে বেঁচে থাকবেন।