২৬ ডিসেম্বরের পর যেকোনো দিন প্রাথমিকের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এক যুগ পর আবার শুরু হতে যাচ্ছে এই পরীক্ষা। বার্ষিক পরীক্ষার ফল মূল্যায়ন করে এতে অংশগ্রহণ করতে পারবে নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজন নিয়ে সভা করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। সভা সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা হবে ১০০ নম্বরের ওপর। চারটি বিষয় থেকে প্রশ্ন থাকবে। বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে পরীক্ষা হবে। প্রতিটি বিষয়ে ২৫ নম্বর করে প্রশ্ন থাকবে। বহু-নির্বাচনী এবং লিখিত দুই ধরনের প্রশ্নই থাকবে। পরীক্ষার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে দুই ঘণ্টা। ৪০ শতাংশ প্রশ্ন থাকবে লিখিত। আর ৬০ শতাংশ প্রশ্ন হবে বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) পদ্ধতির।

সূত্র আরও জানায়, আগামী ১৯ ডিসেম্বর প্রাথমিকের সমাপনী পরীক্ষা শেষ হবে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার দুই থেকে তিনদিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে। এরপর ফলাফলের ভিত্তিতে বিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীদের তালিকা সংগ্রহ করা হবে। বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের আলাদা প্রবেশপত্র দেওয়া হবে। এই কাজগুলো শেষ করতে ৫ থেকে ৬ দিন লাগবে। এরপর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, দীর্ঘদিন পর প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হচ্ছে। এ জন্য অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা উদ্বিগ্ন। তবে তাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার সঙ্গে পরিচিত করে তুলতে এই পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে।