×

মুক্তচিন্তা

পর্যটক আকর্ষণে উদ্যোগ নিন

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:১৯ এএম

পর্যটক আকর্ষণে উদ্যোগ নিন

যোগাযোগ ব্যবস্থা, নিরাপত্তার অভাব, করোনা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এখন বাংলাদেশে বিদেশি পর্যটকরা তেমন আসতে আগ্রহ প্রকাশ করছে না। পর্যটন এলাকাতে ভালো ও উন্নতমানের পর্যাপ্ত হোটেল ও বিনোদনকেন্দ্র না থাকার কারণে বিদেশিরা বাংলাদেশ ভ্রমণে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এতে বাংলাদেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা হারাতে বসেছে। দেশি পর্যটনও সংকটে। আমাদের দেশে সরকারের যে কয়টি পর্যটন হোটেল-মোটেল ও কটেজ রয়েছে তাও এগুলো আধুনিকতা থেকে অনেক পেছনে। খাবারের মান আন্তর্জাতিক মানসম্মত না। এখন অনেক পর্যটক মিয়ানমারের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। পর্যটক আকৃষ্ট করতে মিয়ানমারের জুড়ি নেই। তাদের দেশের অভ্যন্তরে শান্তি, সৌন্দর্য, বিনোদন ও রাতে মিয়ানমারে যাতায়াত করতে বিদেশিরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন না। সেখানে বিদেশিদের জন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। ২০১৪ সালে বাংলাদেশে যেসব বিদেশি পর্যটক এসেছিলেন সে তুলনায় এখন অনেক অনেক কমেছে। উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী পর্যটন খাতে বিদেশিদের ব্যয় কমেছে। বাংলাদেশে আগের মতো বিনিয়োগ না থাকা, ব্যবসায়িক সভায় ও পর্যটকদের মাথাপিছু ব্যয় কমে যাওয়ায় বাংলাদেশে পর্যটন ক্ষেত্রে পতনের বেশ প্রভাব পড়েছে। তবে দেশি পর্যটক মোটামুটি থাকায় এখনো এ ব্যবসা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। এতে দেশের পর্যটনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা খুশি নন। বাংলাদেশে পর্যটন ব্যবসার সুবিধার্থে চীনা পর্যটক ও ব্যবসায়ীদের সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। আমাদের দেশ সফরে পর্যাপ্ত এয়ারলাইন্স সুবিধা ও পর্যটক বা তাদের ধরে রাখার মতো তেমন কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই বললেই চলে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে পর্যটকের নামে বিদেশি জালিয়াত চক্র ও আফ্রিকান অপরাধীরা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এদের কারোরই ভিসার মেয়াদ নেই। তা দেখার কেউ নেই। তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে তারা আমাদের দেশের সরল বিশ্বাস মানুষদের কাছ থেকে এবং ব্যাংকের বিভিন্ন এটিএম বুথ থেকে জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের অবস্থা নাজুক। এদেশে সবকিছুর ওপর রাজনীতির আধিপত্য থাকাতে ব্যবসায়ীরা কোনো কূল-কিনারা খুঁজে পায় না। যাহোক, বাংলাদেশে পর্যটক আকর্ষণ ও পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে বিদেশিদের সহযোগিতা ও অভিজ্ঞতা এবং তাদের বিনিয়োগ অপরিহার্য। প্রয়োজনে বাংলাদেশের কক্সবাজার, কুয়াকাটা ও সেন্টমার্টিন দ্বীপকে থাইল্যান্ড বা মালয়েশিয়া অথবা চীনের বেসরকারি পর্যটন প্রতিষ্ঠানের কাছে আপাতত ১০ বছরের জন্য লিজ দেয়া যেতে পারে। বিষয়টি সরকার ভেবে দেখবে এটাই আশা করি।

মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী : ১৭, ফরিদাবাদ-গেণ্ডারিয়া, ঢাকা। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App