×

জাতীয়

বিনিয়োগের জন্য স্থিতিশীল পুঁজিবাজার চায় বিমা কোম্পানি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২২, ০৮:২৪ পিএম

বিনিয়োগের জন্য স্থিতিশীল পুঁজিবাজার চায় বিমা কোম্পানি

ছবি: সংগৃহীত

নতুন করে বিনিয়োগের জন্য স্থিতিশীল পুঁজিবাজারের নিশ্চয়তা চেয়েছে বিমা কোম্পানিগুলো। অস্থির পুঁজিবাজারে নতুন করে বিনিয়োগ করে ঝুঁকি নিতে আগ্রহী নয় তারা।

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের তথ্য জানতে দেশের ২৬টি বিমা কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে বৈঠকে ডেকেছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন- বিএসইসি।

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) কমিশনের মাল্টিপারপাস হলে এ বৈঠকটি হয়।

বৈঠকে যেসব বিমা কোম্পানির প্রধান বা প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন সেগুলোর মধ্যে জীবন বিমা কোম্পানিগুলো হলো: হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স, গোল্ডেন লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সানফ্লাওয়ার লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বায়রা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বেস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স, চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স, এনআরবি গ্লোবাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, আলফা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ডায়মন্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স, গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স, যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, মার্কেন্টাইল ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, স্বদেশ লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং এলআইসি (বাংলাদেশ)।

সাধারণ বিমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে বৈঠকে ছিল মেঘনা ইন্স্যুরেন্স, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স, সাউথ এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্স ও সিকদার ইন্স্যুরেন্স। এসব কোম্পানির মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্স, মেঘনা ইন্স্যুরেন্স, চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স।

বৈঠকে বিএসইসি কমিশনার শেখ শামসুদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘যেসব প্রতিষ্ঠানকে এখানে ডাকা হয়েছে তাদের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করতে বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা ইতোমধ্যে দেয়া হয়েছে। বেশ কিছু বিষয়ে তাদের ছাড় দেয়া হয়েছে, যাতে তারা পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’

২৬টি বিমা কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির জন্য ছাড় দিয়ে ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করে বিএসইসি। প্রজ্ঞাপন অনুসারে কোম্পানিগুলো ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতির আইপিওর মাধ্যমে ন্যূনতম ১৫ কোটি টাকার তহবিল তুলতে পারবে। এক্ষেত্রে কোম্পানিগুলোকে তাদের ইক্যুইটির ন্যূনতম ২০ শতাংশ অর্থ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করতে হবে। কিন্তু কোম্পানিগুলো ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি ও ইকুইটির ২০ শতাংশ অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ- এ দুটির কোনোটিই এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন করেনি। এ অবস্থায় তাদেরকে ডেকে বক্তব্য নেয় বিএসইসি।

দেশে বর্তমানে ৮১টি বিমা কোম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে ৩৫টি জীবন বিমা ও ৪৬টি সাধারণ বিমা কোম্পানি। এর মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৫৫টি।

ছাড়ের ঘোষণার পরে নতুন করে দুটো বিমা কোম্পানি পুঁজিবাজারে এলেও রাষ্ট্রায়ত্ত জীবন বিমা করপোরেশন ও সাধারণ বিমা করপোরেশন ছাড়াও ২৪ কোম্পানি তালিকাভুক্তির বাইরে। সরকারি দুটি কোম্পানির তালিকাভুক্তির জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় ও সরকারের উদ্যোগের প্রয়োজন হবে। বেসরকারি ২৪টি কোম্পানি বিশেষ এই ছাড়ের আওতায় আছে।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ‘বিশ্বের সকল দেশের ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলো অর্থনীতিতে বড় ধরনের ভূমিকা পালন করে থাকে। একই সঙ্গে তারা পুঁজিবাজারও বড় ধরনের অবদান রেখে থাকে। আমরা এখানে যে ২৬টি কোম্পানিকে ডেকেছি তারাও যাতে পুঁজিবাজারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে, এজন্য তাদেরকে বেশ কিছু সুযোগ দেয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বড় ধরনের পালন করে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলো অন্যতম। আমাদের দেশেও ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলো বড় ধরনের ভূমিকা পালন করতে পারে। ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলো যদি মৌল ভিত্তি দেখে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে, তবে অন্য যে কোনো বিনিয়েগের তুলনায় এখানে বেশি লাভবান হওয়া সম্ভব।’

ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সেরর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তালুকদার জাকারিয়া হোসেন বলেন, ‘পুঁজিবাজারে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলোর ২০ শতাংশ বিনিয়োগের যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে, সেখানে আমরা বিনিয়োগ করতে চাই। তবে বিনিয়োগের অর্থ যে ফেরত পাব তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এজন্য আমরা স্থিতিশীল পুঁজিবাজার প্রত্যাশা করছি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App