সারাদেশে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া পুলিশের বিশেষ অভিযানে রবিবার পর্যন্ত (চার দিনে) এক হাজার ৩১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় দুই হাজার ২২৬টি অভিযান চালানো হয়। পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) মনজুর রহমান এসব তথ্য জানান।

অভিযানে দুটি বন্দুক, বেশকিছু চাকু, ছুরি, চাপাতি ও রামদা উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া উদ্ধার হওয়া মাদকের মধ্যে ২৫ হাজার ১৩৭ পিস ইয়াবা এবং ২০০ কেজি গাঁজা রয়েছে।

এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) চলমান বিশেষ অভিযানে একদিনে ২৭৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার বিকাল থেকে সোমবার বিকাল পর্যন্ত তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারের উপকমিশনার ফারুক হোসেন জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে অনেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি। এছাড়া বিস্ফোরক, নাশকতা, মাদক, দণ্ডপ্রাপ্ত, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, চোর, ছিনতাইকারীসহ নানা অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশ হেফাজত থেকে দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এবং মহান বিজয় দিবস, বড়দিন ও থার্টিফার্স্ট নাইট উদ্যাপন নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে বিশেষ অভিযান চলবে। এ অভিযান পরিচালনা করতে পুলিশের সব বিভাগের ডিআইজি, ইউনিট প্রধান ও এসপিদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

বিশেষ অভিযানের অংশ হিসাবে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে তল্লাশি চৌকি স্থাপন, ব্যক্তিগত যানবাহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে তল্লাশি করছে পুলিশ। এছাড়া আবাসিক হোটেল, মেস, কমিউনিটি সেন্টার, প্রতিষ্ঠানেও অভিযান চলছে। বিস্ফোরক ও নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলার আসামিদের তালিকা ধরে ধরে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীও রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধেও বিভিন্ন অপরাধের মামলা রয়েছে।