×

জাতীয়

সীমান্ত পর্যবেক্ষণে ড্রোন ব্যবহার করছে কোস্টগার্ড

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:১১ এএম

সীমান্ত পর্যবেক্ষণে ড্রোন ব্যবহার করছে কোস্টগার্ড

ফাইল ছবি

মিয়ানমার সীমান্তের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে ড্রোন ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এজন্য কোস্টগার্ডের সেন্টমার্টিন স্টেশনে একটি অত্যাধুনিক ড্রোন দেয়া হয়েছে। এছাড়া বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকেও (বিজিবি) ড্রোন দেয়া হচ্ছে।

রবিবার (৪ ডিসেম্বর) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। এ ছাড়া বৈঠক সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে প্রবাসীদের অনুসরণ করে ৩০০ ফুট এলাকায় যাওয়ার পর ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা বাড়ছে। কমিটির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করায় পুলিশ ওই এলাকার কাশবন ধ্বংস করেছে।

কমিটি সভাপতি বেনজীর আহমেদের সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেন সদস্য ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, হাবিবর রহমান, সামছুল আলম দুদু, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, পীর ফজলুর রহমান, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ ও রুমানা আলী। কমিটির আগের বৈঠকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য ড্রোন ব্যবহার করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল। বৈঠকে ওই সুপারিশের অগ্রগতি জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সীমান্তে নজরদারি এবং সার্বিকভাবে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে বিজিবিকে ড্রোন দেয়ার বিষয়ে কার্যক্রম চলছে। গত জুন মাসে কোস্টগার্ড দুটি অত্যাধুনিক ও উন্নত ফিচারসমৃদ্ধ ফটোগ্রাফি ড্রোন উইথ অ্যাসোসিয়েটেড অ্যাপেসরিজ পেয়েছে। একটি ড্রোন ভাসানচরে, অন্যটি সেন্টমার্টিনে রাখা হয়েছে। কয়েক মাস আগে মিয়ানমার সীমান্ত এলাকার আকাশে সকাল-সন্ধ্যা ড্রোন ও হেলিকপ্টার উড়তে দেখেছেন স্থানীয়রা। বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি করতে মিয়ারমান ড্রোন ও হেলিকপ্টার ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ ওঠে।

বৈঠক শেষে এ বিষয়ে কমিটির সভাপতি বেনজীর আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, সীমান্তে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারির সুপারিশ করা হয়েছিল। মন্ত্রণালয়ও এ বিষয়ে একমত রয়েছে। বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী এখন মিয়ানমার সীমান্ত থেকে কাউকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত কঠোরভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে।

কিশোরের সংজ্ঞায় বয়সসীমা কমানোর প্রস্তাব

এর আগের বৈঠকে র‌্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন কিশোরের বয়সসীমা কমানোর প্রস্তাব করেন। তিনি বলেন, দেশের আইন অনুযায়ী ১৮ বছরের নিচের সবাইকে কিশোর হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমানে ১২-১৩ বছরের কিশোররা খুন, ধর্ষণসহ নানা অপরাধে জড়িত হয়ে পড়েছে। র‌্যাবের ডিজি কিশোর হিসেবে গণ্য করার জন্য বয়সসীমা আরও কমানোর পক্ষে মত দেন। এদিকে রবিবারের বৈঠকে ট্যুরিস্ট পুলিশ বা শিল্প পুলিশের আদলে একটি পূর্ণাঙ্গ সাইবার ক্রাইম ইউনিট খোলার সুপারিশ করা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App