রাজশাহী বিভাগে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২২, ০৪:১৮ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলায় ১০ দফা দাবিতে চলমান পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। শনিবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে দাবি পূরণে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের আশ্বাসে প্রেক্ষিতে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী বিভাগীয় পরিবহন মালিক শ্রমিক যৌথ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম।
তিনি জানান, বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে তার কার্যালেয়ে বৈঠক হয়েছে। ওই বৈঠকে মহাসড়কে নসিমন, করিমন, সিএনজিচালিত অটোরিকশা বন্ধসহ চারটি দাবি এক মাসের মধ্যে পূরণ করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। বাকি দাবিগুলো পর্যায়ক্রমে পূরণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এই আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) মহাসড়কে নসিমন, করিমন চলাচল বন্ধসহ ১০ দফা দাবিতে চলাচল বন্ধ করে দেন পরিবহন মালিকরা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।
প্রসঙ্গত, বুধবার (৩০ নভেম্বর) বিভাগীয় পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতির পক্ষ থেকে ধর্মঘটের ঘোষণা দেয়া হয়। তবে গত ২৬ নভেম্বর নাটোরে মালিক সমিতির এক সভায় ১০ দফা দাবিতে ধর্মঘটের ঘোষণা দেয়া হয়। এরপর তারা বিভাগীয় কমিশনারসহ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছে তাদের দাবি পূরণে চিঠি পাঠায়। তবে দাবি পূরণ না হওয়ায় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ১ ডিসেম্বর ভোর ৬টা থেকে রাজশাহী মহানগরী থেকে বিভাগের সব জেলায় যাত্রীবাহী ও পণ্য পরিবহনের সব বাস-ট্রাক চলাচল অনির্দিষ্টকালের শুরু হয়। বিভাগীয় পরিবহন মালিক সমিতির ১০ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ সংশোধন করতে হবে, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে মহাসড়ক বা আঞ্চলিক মহাসড়কে থ্রি-হুইলার (নছিমন, করিমন, ভটভটি, সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ইত্যাদি) চলাচল বন্ধ করতে হবে, জ্বালানি তেল ও যন্ত্রাংশের মূল্য হ্রাস করতে হবে, করোনাকালে গাড়ি চলাচল না করায় সে সময়ে ট্যাক্স মওকুফ করতে হবে, সব ধরনের সরকারি পাওনাদির (ট্যাক্স-টোকেন, ফিটনেস) অস্বাভাবিক বৃদ্ধি বন্ধ করতে হবে, চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স-সংক্রান্ত নানাবিধ জটিলতা নিরসন করতে হবে, পরিবহনের যাবতীয় কাগজ হালনাগাদ বা সঠিক থাকার পরও নানাবিধ পুলিশি হয়রানি বন্ধ করতে হবে, উপজেলা পর্যায়ে বিআরটিসি চলাচল দ্রুত বন্ধ করতে হবে, মহাসড়কে হাট-বাজার আয়োজন বা পরিচালনা করা যাবে না এবং চলমান হাটবাজার অতি দ্রুত উচ্ছেদ করতে হবে, যাত্রী ওঠানামার জন্য পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে এবং প্রত্যেক জেলায় ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ ও ট্রাক ওভারলোড বন্ধ করতে হবে।