×

জাতীয়

জঙ্গিদের মাঠে নামিয়েছে বিএনপি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:৫১ পিএম

জঙ্গিদের মাঠে নামিয়েছে বিএনপি

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের যৌথ বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ছবি: ভোরের কাগজ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ১০ ডিসেম্বর কেন্দ্র করে আগুন সন্ত্রাস শুরু করেছে বিএনপি। তারা অঘটন ঘটাতে জঙ্গিদের মাঠে নামিয়েছে। বিআরটিসির গাড়ি পুড়েছে, আর যদি আগুন নিয়ে আসেন, সন্ত্রাস করেন, সমুচিত জবাব দেওয়া হবে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে। জঙ্গিদের মাঠে নামিয়েছেন, সে খবর আছে। সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তিকে মাঠে নামিয়েছে, এ খবর কি আমরা জানি না? টাকা আসে দুবাই থেকে। বস্তায় বস্তায় টাকা আকাশে-বাতাসে উড়ে। ক্ষমতা না থাকলেও টাকার অভাব নেই

শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের যৌথ বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নজরুল ইসলাম বাবু।

এছাড়া বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আবু আহম্মদ মোহাম্মদ মান্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির। সম্মেলন উদ্বোধন করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। সম্মেলন যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন দক্ষিণ শাখার সভাপতি মো. মেহেদী হাসান, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান হৃদয়, দক্ষিণ শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. জুবায়ের আহমেদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, আগুন নিয়ে শুরু হয়ে গেছে খেলা। পরশু মধ্য রাতে বিআরটিসির একটি দোতলা বাস পুড়িয়ে দিয়েছে মতিঝিলে। শুরু হয়ে গেছে, তারা জানান দিচ্ছে আগাম যে, তারা সন্ত্রাস করবে। ১০ ডিসেম্বর সামনে রেখে তারা জানান দিলো তারা সন্ত্রাস করবে। আবারও আগুন সন্ত্রাস ফিরে আসছে। আমাদের কর্মীরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ললিপপ খাবে এটা মনে করবেন না। বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বললাম ছাত্রলীগের সম্মেলন ৬ ডিসেম্বরে নিয়ে এসেছি আপনাদের যাতে ডিসটার্ব না হয়, শুনবে না। জিয়াউর রহমান তার এক লেখায় লিখেছিলেন, ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনে আমরা স্বাধীনতার গ্রিন সিগন্যাল পেয়ে গিয়েছিলাম। সেই জায়গায় আপনাদের পছন্দ হলো না। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মুক্তি বাহিনী-মিত্র বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করল, এই জায়গা আপনাদের পছন্দ না। ১০ ডিসেম্বর থেকে বুদ্ধিজীবী হত্যার নীল নকশা বাস্তবায়ন শুরু করে, ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে। বিএনপি ৩৫ হাজার স্কয়ার ফুটের নয়াপল্টনে পার্টি অফিসের সামনে থাকতে চায়। গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনকে বাংলাদেশের রাজনীতির রহস্য পুরুষ আখ্যা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি বলেছেন বাইরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে সরকার নাকি টাকা পাচার করছে। ৭১ সালে যখন বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয়, কামাল হোসেন সাহেব গাড়িতে করে এসে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের (তৎকালী শেরাটন) সামনে গাড়ি থেকে নেমে ভেতরে চলে যান, তারপর খবর নেই। খবর পেলাম তিনি নিজে নিজেই পাকিস্তানিদের সঙ্গে মিলে মিশে চলে গেছেন পাকিস্তানে। বাইরে আমরা পালাইনি। লজ্জা করে না? কামাল হোসেন সাহেব বঙ্গবন্ধুর দয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছিলেন মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ড. কামাল হোসেন কালো টাকা সাদা করেছেন। আপনি অর্থ পাচার করেন, তারেকের নাম বলেন না। আপনার জামাতার মাধ্যমে কত কোটি টাকা পাচার করেছেন দেশের মানুষ জানতে চায়। ট্র্যাক্স ফাঁকি দিয়ে আদালতে গিয়ে আদেশ নিয়ে ট্যাক্স জমা দিয়েছেন। তিনি এখন শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ করে বড় বড় কথা বলেন। আমরা তো জানতাম, আপনার পকেটে সব সময় একটা ভিসা থাকে। হঠাৎ হঠাৎ এই আছি এই নেই। ক্ষমতাসীনরা টাকা পাচার করে-বিএনপির তোলা অভিযোগের প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ধরা খেয়েছে কে? তারেক আর তার ভাই। তারেক রহমানের টাকা সিঙ্গাপুরে আর আমেরিকায় ধরা পড়েছে। আর কোথায় কোথায় টাকা পাচার করেছে সেই খবর নেওয়া হচ্ছে। এখনো যারা করছেন তাদের খবর নেওয়া হচ্ছে। অর্থ পাচারকারী যে-ই হোক তার ক্ষমা নেই। এটা শেখ হাসিনার পরিষ্কার বার্তা। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতি ওয়ার্ডে নেতাকর্মীদের সতর্ক পাহারা শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। নেত্রী বলে দিয়েছেন, প্রত্যেক ওয়ার্ডে সতর্ক পাহারা দিতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব ক্যাম্পাসে সতর্ক পাহারায় থাকতে হবে। সুশৃঙ্খল, মারামারি নয়, পাল্টাপাল্টি নয়, তবে আক্রমণ করলে পাল্টা আক্রমণ হবে কি না সময় বলে দেবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App