×

আন্তর্জাতিক

দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তে চীন ও রুশ যুদ্ধবিমান

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২২, ১০:২৬ এএম

দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তে চীন ও রুশ যুদ্ধবিমান

ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে চীন ও রাশিয়ার যুদ্ধবিমান প্রবেশের ঘটনা ঘটেছে। সিউল জানিয়েছে, গতকাল বুধবার দুটি চীনা ও ৬টি রুশ যুদ্ধবিমান তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা সীমানায় ঢুকে বেরিয়ে যায়। এর প্রতিক্রিয়ায় দক্ষিণ কোরিয়া নিজেদের জঙ্গিবিমানগুলোকে উড্ডয়নের জন্য প্রস্তুত রেখেছে। রয়টার্স

দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ (জেসিএস) জানায়, স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে চীনের দুটি এইচ-৬ বোমারু বিমান দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলের কাছে কোরিয়া আকাশ প্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ অঞ্চলে (কাদিজ) একাধিকবার প্রবেশ করে এবং পরে বের হয়ে যায়। ৪/৫ ঘণ্টা পর বিমান দুটি আরো ৬টি রুশ যুদ্ধবিমানকে সঙ্গে নিয়ে মহড়া করে জাপান সাগর থেকে ফের কাদিজে ঢুকে পড়ে এবং ১৮ মিনিট পর ওই এলাকা ছাড়ে। রুশ বিমানগুলোর মধ্যে টিইউ-৯৫ বোমারু বিমান ও এসইউ-৩৫ জঙ্গিবিমান ছিল। জাপান সাগর দক্ষিণ কোরীয়দের কাছে পূর্ব সাগর হিসেবে পরিচিত।

কাদিজে রুশ ও চীনা যুদ্ধবিমান প্রবেশের আগেই সম্ভাব্য আকস্মিক কোনো ঘটনার আশঙ্কায় বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমানকে প্রস্তুত থাকতে বলেছে জেসিএস। তবে আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে রুশ ও চীনা যুদ্ধবিমান ঢুকলেও কোনো বিমানই দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘন করেনি।

কোনো দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চল হচ্ছে সেই এলাকা যেখানে দেশটি বিদেশি উড়োজাহাজকে নিজেদের পরিচয় নিশ্চিত না হলে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে বলতে পারে। আর কোনো দেশের ভূখণ্ড ও জলসীমার ওপরের অংশটুকুু তার আকাশসীমা। আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চল কীভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে, সে ব্যাপারে আন্তর্জাতিক কোনো বিধিবিধান নেই।

মস্কো দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলকে স্বীকৃতি দেয়নি। বেইজিংয়ের মতে, ওই অঞ্চল নির্দিষ্ট কোনো দেশের আকাশসীমায় পড়েনি, সুতরাং সব দেশই সেখানে অবাধে বিমান চালাতে পারে। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, চীনা বোমারু বিমানগুলো পূর্ব চীন সাগর থেকে উড়ে এসে জাপান সাগরে দুটি রুশ ড্রোনের সঙ্গে একত্রিত হওয়ার পর তারাও তাদের যুদ্ধবিমান উড্ডয়নের জন্য প্রস্তুত রেখেছিল।

ওই অঞ্চলে মস্কো-বেইজিংয়ের যুদ্ধবিমানগুলো নিয়মিত যৌথ মহড়া চালাবে বলে চীন ও রাশিয়া আগেই জানিয়ে রেখেছিল। আগস্টেও জেসিএস কাদিজে রুশ যুদ্ধবিমান প্রবেশের খবর দিয়েছিল। এর ৩ মাস আগে মে মাসেও রুশ ও চীনা বিমান দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তে হানা দিয়েছিল। ইয়ুন সুক-ইয়ল প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর সেটিই ছিল দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে চীনা-রুশ বিমান ‘অনুপ্রবেশের’ প্রথম ঘটনা। ২০১৯ সালে চীনের সঙ্গে এক যৌথ মহড়ার সময় কাদিজে ঢুকে পড়া একাধিক রুশ সামরিক বিমানকে লক্ষ্য করে দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধবিমানগুলো শতাধিক সতর্কতামূলক গুলিও ছুড়েছিল।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App