×

সম্পাদকীয়

মাধ্যমিকে ফল : শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২২, ১২:২৫ এএম

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে গত সোমবার। পরীক্ষায় কৃতকার্য সব শিক্ষার্থীকে আমাদের অভিনন্দন। এসএসসিসহ ১১টি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ, যা গত বছর ছিল ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ। আর সর্বোচ্চ সাফল্য হিসেবে বিবেচিত জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ শিক্ষার্থী। গত বছর ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ জন জিপিএ-৫ পেয়েছিল। তাদের এ অনন্য কৃতিত্ব পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের জন্য অশেষ আনন্দ-উৎসবের কারণ হয়ে উঠেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সঙ্গত কারণেই গর্বিত। সন্তানতুল্য শিক্ষার্থীদের শ্রম ও সাধনা সুফল দিয়েছে। শিক্ষাজীবনের পরবর্তী ধাপগুলোতে ভালো ফলের এ ধারা বজায় রাখবে- এটাই কাম্য। ফলাফল মূল্যায়নে দেখা গেছে, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় এবার জিপিএ-৫ বেশি পেয়েছে। ২০১৯ ও ২০২০ সালের পরীক্ষার্থীদের চেয়ে পাসের হার বেশি। তবে গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার কমেছে। ১১টি শিক্ষা বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ৩৪ হাজার ১৮ জন। পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৯ লাখ ৯৪ হাজার ১৩৭ জন। আর পাস করেছে ১৭ লাখ ৪৩ হাজার ৬১৯ জন। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ শিক্ষার্থী। তিন ধারার মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে শুধু এসএসসিতে পরীক্ষার্থী ছিল ১৫ লাখ ৮৮ হাজার ৬৫৭ জন। পাস করেছে ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ৫৭১ জন। মাদ্রাসায় পরীক্ষার্থী ছিল ২ লাখ ৬০ হাজার ১৩২ জন, তাদের মধ্যে ২ লাখ ১৩ হাজার ৮৮৩ জন পাস করেছে। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৪৮ জন। তাদের মধ্যে ১ লাখ ৩০ হাজার ১৬৫ জন পাস করেছে। ১১টি শিক্ষা বোর্ডের ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, নেপথ্যে মোটা দাগে ৫টি দিক ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। এগুলোর মধ্যে প্রথমেই আসে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস। এছাড়া আছে- প্রশ্নপত্রে অধিকসংখ্যক বিকল্প থেকে পছন্দের সুযোগ, ৫০-এর মধ্যে দেয়া পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর ১০০তে রূপান্তর, কঠিন বিষয়ে অবলীলায় ৯০ শতাংশের ওপরে নম্বর প্রাপ্তি এবং সাবজেক্ট ম্যাপিং। শিক্ষার্থীদের জীবনে মাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষার ফলাফল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। পাসের হার বাড়ানোর চেয়েও বেশি জরুরি শিক্ষার মান বাড়ানো। এ ক্ষেত্রে অগ্রগতি কতটা হচ্ছে তার যথাযথ নিরীক্ষা হওয়া দরকার। কারণ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের একটি বড় অংশ পরবর্তী ধাপে পৌঁছানোর আগেই ঝরে পড়ছে। তবে এটা স্বীকার করতে হবে যে, বর্তমানে পরীক্ষায় নকলের প্রবণতা কমে গেছে- এটা ঠিক, তবে এখনো দেশে নোট-গাইড বইয়ের দৌরাত্ম্য, কোচিং বাণিজ্য ও প্রশ্নপত্র ফাঁসের সংস্কৃতি বন্ধ হয়নি। প্রশ্নপত্র ফাঁস পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। এগুলো শিক্ষার মানের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এ বিষয়গুলোতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের আরো দৃষ্টির প্রয়োজন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App