ঢাবিতে আসছে ‘ক্যাম্প’ নাটক

আগের সংবাদ

আর্জেন্টিনা না পারলে ব্রাজিলকে সমর্থন দেবেন মেসিদের কোচ

পরের সংবাদ

শিশু আয়াতের লাশের খণ্ডিতাংশ উদ্ধার

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩০, ২০২২ , ৪:২৮ অপরাহ্ণ আপডেট: নভেম্বর ৩০, ২০২২ , ৫:৫২ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামে হত্যাকাণ্ডের শিকার পাঁচ বছরের শিশু আলিনা ইসলাম আয়াতের লাশের খন্ডিত অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রামের পরিদর্শক মনোজদের।

বুধবার (৩০ নভেম্বর) বেলা তিনটার দিকে নগরের বন্দরটিলা আকমল আলী রোড এলাকার একটি নালা থেকে লাশের খন্ডিত অংশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) চট্টগ্রামে শিশু আলিনা ইসলাম আয়াতকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার আসামি আবীরের বাবা আজহারুল ও মা আলো বেগমকে তিনদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক অলি উল্লাহ।

এর আগে তাদের গ্রেপ্তার করে সাতদিনের রিনান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করে তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। অন্যদিকে, আবির আলীর বোনকেও গ্রেফতার করে পিবিআই। অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার তাকে শিশু আদালতে হাজির করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ নভেম্বর ইপিজেড থানার বন্দরটিলা এলাকার বাসা থেকে পাশের মক্তবে আরবি পড়তে যায় ৬ বছর বয়সী আয়াত। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। পর দিন নিখোঁজের অভিযোগে ইপিজেড থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার বাবা সোহেল রানা। শিশুটির সন্ধান চেয়ে পোস্টার ও প্রচারপত্রও বিলি করা হয়। আয়াতের দাদা সন্ধান চেয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন, পিবিআইয়ের কাছে আবেদন করলে পিবিআই তদন্তে নেমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৯ বছরের আবীরকে আটক করে। গত বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) রাতে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শিশু আয়াতের হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে লোমহর্ষক বর্ণনা দেন আবীর।

গ্রেপ্তার আবির আলীর বরাতে শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) পুলিশ জানায়, চট্টগ্রামের ইপিজেড থানা এলাকায় নিখোঁজ শিশু আয়াতকে হত্যার পর ছয় টুকরা করে পানিতে ফেলা হয়েছে। ‘মুক্তিপণের’ জন্যই আয়াতকে অপহরণ করে খুন করেছে তাদের ভাড়াটিয়ার ১৯ বছর বয়সী ছেলে আবীর আলী। তাকে নিয়ে শুক্রবার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আলামত উদ্ধার করে পিবিআই। তবে সাগরের পানিতে ‘লাশ ভেসে যাওয়ায়’ শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করা যায়নি।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রাম মহানগরের পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা জানান, ১৯ বছর বয়সী আবির আলী এক সময় আয়াতের দাদার বাড়ির ভাড়াটিয়া ছিলেন। বর্তমানে তিনি আকমল আলী সড়কে থাকেন। কাজ করেন পোশাক কারখানায়। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে তাকে বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আবিরের বরাতে এসপি বলেন, ছয় মাস আগে তিনি রাস্তায় একটি মোবাইলের সিম কার্ড পান। কাউকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে নতুন মোবাইল কিনে ওই সিম তোলেন। আয়াতের পরিবার অনেক টাকার মালিক ভেবে তিনি শিশুটিকে অপহরণের পরিকল্পনা করেন। ১৫ নভেম্বর বিকেলে আবির আয়াতকে অপহরণের চেষ্টা করেন। শিশুটি চিৎকার করলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে মরদেহ আকমল আলী সড়কের বাসায় নিয়ে ছয় টুকরা করা হয়। টুকরাগুলো দুটি ব্যাগে নিয়ে ওই এলাকা সংলগ্ন বেড়িবাঁধে ফেলে দেন।

কেএইচ

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়