×

সারাদেশ

১৬ দিন পর কৃষকের মরদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২২, ১০:০০ পিএম

১৬ দিন পর কৃষকের মরদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ

ছবি: সংগৃহীত

১৬ দিন পর ফেনীর পরশুরামে বিএসএফের হাতে নিহত কৃষক মোহাম্মদ মেজবাহারের মরদেহ বাংলাদেশের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) বিলোনিয়া ইমিগ্রেশনে চেকপোস্টে সীমান্তবর্তী বিলোনিয়া স্থলবন্দরের চেকপোস্ট দিয়ে মেজবাহারের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

মরদেহ গ্রহণ করে মেজবাহারের ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

এ সময় বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন খেজুরিয়া কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার ওমর ফারুক ও পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম। বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ২০০ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সারসীমা কোম্পানি কমান্ডার সত্যিয়া পাল সিং ও ভারতীয় বিলোনিয়া থানার ওসি পরিতোস দাস।

এরআগে গত ১৩ নভেম্বর উপজেলার বাঁশপদুয়া গ্রামে সীমান্তবর্তী এলাকায় ধান কাটতে গেলে বিএসএফ কৃষক মোহাম্মদ মেজবাহারকে ধরে নিয়ে যায়। তিন দিন পর স্থানীয়রা মেজবাহারের মরদেহ ভারতীয় সীমান্তে কাঁটাতারের একশ গজ ভেতরে পড়ে থাকতে দেখে বিজিবিকে খবর দেয়। ১৬ নভেম্বর দিনগত রাত ৩টায় মরদেহ নিয়ে যায় বিএসএফ। বিজিবি-বিএসএফের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে মরদেহ নিয়ে যান তারা।

নিহত মেজবাহারের স্ত্রী মরিয়ম বেগম অভিযোগ করে বলেন, তার স্বামীর মরদেহ চেনার উপায় নেই, অনেকটা পচে-গলে গেছে। এ ঘটনায় তিনি বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।

মরিয়ম বেগমের অভিযোগ, বিএসএফ তার স্বামীকে বাংলাদেশ থেকে ধরে নিয়ে বিনা অপরাধে হত্যা করেছে।

স্থানীয় কাউন্সিলর নিজাম উদ্দিন সুমন বলেন, গত ১৩ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মোহাম্মদ মেজবাহার বাঁশপদুয়া গ্রামের ভারতীয় সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় ধান কাটতে যান। এ সময় বিএসএফের সদস্যরা তাকে জোর করে ধরে নিয়ে যান। এতদিন পর ওই মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। তবে মরদেহ শনাক্তের কোনো সুযোগ নেই, পচে-গলে গেছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App