×

সারাদেশ

রাঙামাটিতে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলায় শিক্ষকের যাবজ্জীবন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২২, ০৪:৩৮ পিএম

রাঙামাটিতে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলায় শিক্ষকের যাবজ্জীবন

ফাইল ছবি

রাঙামাটির লংগদু উপজেলার করল্যাছড়ি আর এস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুর রহিমকে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে রাঙামাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এই এম ইসমাইল হোসেন এ রায় দেন।

আদালতে রায়ের বিচারক এই এম ইসমাইল হোসেন বলেন, আসামি আব্দুর রহিম স্কুলের ছাত্রাবাসে ওই ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছেন, যা রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে পেরেছে। আসামি মো. আব্দুর রহিমকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯ (১) ধারা মোতাবেক যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং অতিরিক্ত ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

বাদীপক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট রাজীব চাকমা আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন বলেন, রাঙামাটির জন্য একটি যুগান্তকারী রায়। এই রায়ে আমরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি। আশা করছি এই রায়ের ফলে ভবিষ্যতে এই ধরনের অপরাধ কার্যক্রম কমে আসবে এবং রায় কার্যকর হবে।

আসামি পক্ষের আইনজীবি বারের সভাপতি এ্যাডভোকেট মোক্তার আহমেদ বলেন, এই রায়ে আমরা ন্যায় বিচার পায়নি। আমরা উচ্চ আদালতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবো। আমাদের বিশ্বাস উচ্চ আদালত ন্যায় বিচার করবে এবং আমরা আশা করছি আপিলে আসামি নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে খালাস পাবে।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্র্যাবুনালের পিপি সাইফুল ইসলাম অভি বলেন, রায়ে আমরা খুবই সন্তুষ্ট। দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আদালত আসামীকে যাবজ্জীবন কারদণ্ড ও ১০ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেছেন।

রায়ের বিবরণে জানা যায়, ২০২০ এর ২৫ সেপ্টেম্বর ওই ছাত্রিতে আসামি আব্দুর রহিম জোর পূর্বক লংগদু উপজেলার করল্যাছড়ি আর এস উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে ধর্ষণ করে। এরপর এই ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য ওই ছাত্রিকে হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেয় সে। এর দুদিন পর মেয়েটির শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে সে তার মাকে বিষয়টি জানায়। তার মা বিষয়টি স্থানীয় কার্বারী বীর মোহন চাকমা, ইউপি চেয়ারম্যান ও স্কুল কমিটির সভাপতি মঙ্গল কান্তি চাকমাকে জানান। তাদের কাছ থেকে সমাধান না পেয়ে ২০২০ এর ৫ অক্টোবর লংগদু থানায় মামলা দায়ের করেন ওই ছাত্রীর মা।

এরপর লংগদু থানার পুলিশ পরিদর্শক সুজন হালদার ও পুলিশ পরিদর্শক মো. জাকির হোসেন তদন্ত শেষে গত ২৮ অক্টোবর আসামির বিরুদ্ধে ধর্ষণের ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা থাকায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯ (১) ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষ ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্নকারী দুইজন চিকিৎসক, তদন্তকারী কর্মকর্তা ও স্থানীয় সাক্ষী বীর মোহান কার্বারী ও ইউপি চেয়ারম্যান মঙ্গল কান্তি চাকমাসহ মোট ১৩ জনের সাক্ষী উপস্থাপন করে। অন্যদিকে আসামি পক্ষ আসামিসহ মোট ৬ জনের সাক্ষী উপস্থাপন করে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App