হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পরও ২-০ গোলে উরুগুয়েকে হারালো পর্তুগাল। ফার্নান্দেজের জোড়া গোলে শেষ ষোলোতে উঠলো ইউরোপের দেশটি। পর পর দুই ম্যাচ জিতে নক আউট পর্বের টিকিট নিশ্চিত করলো ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর দল।

প্রথমার্ধে উরুগুয়ে-পর্তুগাল ম্যাচটি গোলশূন্যই রয়ে যায়। যদিও আজকের গুরুত্বপূর্ণ এ ম্যাচে লুইস সুয়ারেজকে ছাড়াই একাদশ সাজিয়ে দলকে মাঠে নামান উরুগুয়ে কোচ।

তার পরিবর্তে দলে জায়গা পান অভিজ্ঞ এডিনসন কাভানি। খেলার শুরু থেকেই আক্রমণ পাল্টা আক্রমণের ধার চোখে পড়ার মতো ছিল।

বিশেষ উরুগুয়ের বেন্টানচুর মাঝমাঠ থেকে একাই বল টেনে নিয়ে ডি-বক্সের ঠিক আগে তিনজন পর্তুগিজ ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে যখন ভেতরে ঢোকেও শুধু গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে পারেননি। দুর্ভাগা বেন্টানচুর জন্য আফসোস ছিল সমর্থকদের। গোলটি হলে হয়তো কাতার বিশ্বকাপ মঞ্চের সেরা গোলের তকমা পেয়ে যেতে পারতো। আর উরুগুয়েও এবারের বিশ্বকাপে প্রথম গোলের দেখা পেয়ে এগিয়ে থাকতে পারতো।

৬৯% বল নিজেদের দখলে নিয়েও ম্যাচের পুরো প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোরা। উরুগুয়ের শক্তিশালী রক্ষণভাগ পর্তুগিজ আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের বেশ ভুগিয়েছে।

৩২ মিনিটে ম্যাচের সবচেয়ে আলোচিত এবং গোলের সবচেয়ে সহজ সুযোগটি মিস করেন বেন্টানচুর। মাঝমাঠ থেকেই বল টেনে নিয়ে ডি-বক্সের ভেতর ঢুকে গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে ব্যর্থ হন তিনি।

এমন সুযোগ নষ্ট করে মাঠেই নিজের উপর রাগ ঝাড়েন এই টটেনহ্যাম মিডফিল্ডার। প্রথম ৪৫ মিনিটে আর তেমন গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি দুই দলের কেউই। ফলে গোলশূন্য ড্র অবস্থাতেই শেষ হয় খেলা।

পর্তুগালের বিপক্ষে জমজমাট লড়াইয়ে প্রথমার্ধ গোলশূন্য অবস্থাতেই শেষ করে দুই দল। বিরতির পর আক্রমণের ধার বাড়ায় দু’দলই। আকস্মিক ৫৫ মিনিটেই গোলের দেখা পেয়ে যায় পর্তুগাল। বাম পাশ ব্রুনো ফার্নান্দেজের ক্রসে রোনালদো মাথা ছোঁয়ানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন, ফলে বল সোজা খুঁজে পায় জালের ঠিকানা। প্রথমে এটিকে রোনালদোর গোল বলা হলেও পরে অধিকতর পরীক্ষার পর গোলটি ব্রুনো ফার্নান্দেজের নামে দেয়া হয়।

গোল খেয়েই তা পরিশোধে মরিয়া হয়ে উঠে উরুগুয়ে। ৫৯ মিনিটে ভারেলার বাড়ানো ক্রসে কাভানি ভলি করলেও তা ছিল লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৭৬ মিনিটে আবারো এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় উরুগুয়ে। তবে এবার তাদের জন্য বাধা হয়ে আসে গোলবার। ম্যাক্সি গোমেজের বুলেট গতির শট গোলবারে লেগে প্রতিহত হয়। ম্যাচের একদম শেষ মিনিটে পেনাল্টি উপহার দেন উরুগুয়ের ডিফেন্ডার হিমেনেজ। ডি বক্সের ভেতর তার হাতে বল লাগলে রেফারি ভিএআর এর সহায়তায় পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। স্পট কিক থেকে গোল করে পর্তুগালকে দ্বিতীয় রাউন্ডে তুললেন এই ম্যান ইউ তারকা। বিশ্বকাপে ২ গোলের পাশপাশি তার ঝুলিতে রয়েছে ২ এসিস্টও।

পরিসংখ্যান বলছে, প্রথম ম্যাচ জিতে নকআউট রাউন্ডের পথে এক পা অনেকটা দিয়েই রেখেছিল রোনালদোর পর্তুগাল। প্রথম ম্যাচে চোট পাওয়ায় এই ম্যাচে থাকছেন না ডিফেন্ডার দানিলো। তার পরিবর্তে দলে জায়গা পান অভিজ্ঞ পেপে।