কানাডার বিপক্ষে ৪-১ গোলের ব্যবধানে জয় পেয়েছে ক্রোয়েশিয়া। ক্রোয়েশিয়ার হয়ে ৪টি গোল করে দুটিই করেন ক্রামারিচ, একটি করে গোল করেন লিভায়া ও মায়ের। কানাডার হয়ে বিশ্বকাপে একমাত্র গোলটি করেন আলফোনসো ডেভিস।
যদিও দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে হলে কানাডার বিপক্ষে জয়ের বিকল্প ছিল না তাদের। অথচ সে লক্ষ্যে খেলতে নেমে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই গোল খেয়ে বসে ক্রোয়েটরা।
কিন্তু ক্রামারিচ ও লিভায়ার গোলে পিছিয়ে পড়েও ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে বিরতিতে যায় ক্রোয়েশিয়া।
দু’দলই পরিবর্তন আনে একটি করে আর সেই দল নিয়ে খেলতে নামে। কিন্তু কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই কাতার বিশ্বকাপের সবচেয়ে দ্রুততম সময়ের গোলটি করে বসেন কানাডার বায়ার্ন তারকা আলফোনসো ডেভিস। ম্যাচের মাত্র দুই মিনিটের মাথায় বুকানানের ক্রস থেকে হেডে দারুণ গোল করে বিশ্বকাপে কানাডাকে প্রথমবারের মত এগিয়ে দেন।
এক গোলে পিছিয়ে ম্যাচে ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে আগের ম্যাচেই মরক্কোর সাথে ড্র করা ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচের ২৬ মিনিটে লিভায়া গোল করলে সেটি অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়। ৩৫ মিনিটে আবারো সুযোগ পান লিভায়া। তবে এবার তার শট রুখে দেন কানাডার গোলরক্ষক বোরয়ান।
ঠিক ১ মিনিটের ব্যবধানেই সমতায় ফেরে ক্রোয়েশিয়া। এবার বাম পাশ থেকে পেরেসিচের দারুণ ক্রসে কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম গোলটি করেন ক্রামারিচ। টানা দুই বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়ার হয়ে গোল করা তৃতীয় ফুটবলার হলেন তিনি।
বিরতির ঠিক এক মিনিট আগে কাঙ্ক্ষিত সেই লিড পায় ক্রোয়েশিয়া। ইউরানোভিচের পাস থেকে ডিবক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত ডান পায়ের শটে গোল করে দলকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন লিভায়া। এই গোলের ফলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় আগের বারের ফাইনালিস্টরা।
বিরতির পর আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে মদ্রিচরা। মাঝমাঠ দখল করে কানাডাকে রীতিমত পেরেশান করে তুলে তারা। আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে ক্রোয়েশিয়া।
৫৪ মিনিটে লিভাকোভিচের দুর্দান্ত শট রুখে দেন কানাডার গোলরক্ষক। এর ঠিক পরের মিনিটে আবারো সেই কানাডার গোলরক্ষক দেয়াল হয়ে দাঁড়ান মদ্রিচদের সামনে।
মদ্রিচের বাড়ানো বলে ক্রামারিচের শট রুখে দেন তিনি। ম্যাচের ৭০ মিনিটে বিশ্বকাপে নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পান ক্রামারিচ। আবারো সেই পেরেসিচের বাড়ানো বলে ডি বক্সের ভেতর থেকে শট করে দলকে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন তিনি।
খেলা শেষ হওয়ার ২ মিনিট আগে কানাডার ডিফেন্ডারের ভুলে ফাকা মাঠে বল পেয়ে ডিবক্সের সামান্য ভেতরে মায়েরের কাছে বল পাঠালে তিনি সেটিকে গোলে পরিণত করেন। ৪-১ ব্যবধানের বিশাল জয়ে গ্রুপের শীর্ষে উঠে আসলো ক্রোয়েশিয়া। শেষ ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ বেলজিয়াম।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।