×

রাজনীতি

বেঞ্চে বসা নিয়ে দ্বন্দ্ব, শিক্ষার্থীকে পেটালো ছাত্রলীগ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০২২, ১০:৩৩ পিএম

বেঞ্চে বসা নিয়ে দ্বন্দ্ব, শিক্ষার্থীকে পেটালো ছাত্রলীগ

ছবি: ভোরের কাগজ

ক্লাসের বেঞ্চে বসা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দুই ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তরা হলেন ব্যবস্থাপনা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের আসিফ আহমেদ শিমুল ও আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের তৃতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম রিয়ন। তারা উভয়ই শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতের কর্মী। ভুক্তভোগী শিবলী আলী শিমুলের সহপাঠী।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাণিজ্য অনুষদ সংলগ্ন রহিমের চায়ের দোকানে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় সভাপতি, প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ভক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী। এদিকে ঘটনা পর্যবেক্ষণ করতে ও খতিয়ে দেখতে দুই সদস্যের কমিটি করেছেন প্রক্টর। তারা হলেন, সহকারী প্রক্টর ড. আমজাদ হোসেন ও ড. মুর্শিদ আলম।

লিখিত অভিযোগ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে শ্রেণিকক্ষে একটি বেঞ্চে ব্যাগ রেখেছিলেন শিমুল। সেই বেঞ্চে ব্যাগ সরিয়ে বসেন শিবলী। এসময় শিমুল কক্ষে গিয়ে তার ব্যাগ সরানোর কারণ জানতে চাইলে উভয়ের মাঝে বাকবিতণ্ডা হয়। এসময় ভুক্তভোগীকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন শিমুল।

এরপর ক্লাস শেষে বাণিজ্য অনুষদ সংলগ্ন রহিমের চায়ের দোকানে বসে ছিলেন শিবলী। এসময় আবারও তার ও রিয়নের মাঝে বাকবিতণ্ডা হয়। এসময় রিয়নসহ অন্তত ৫-৭ জন তার ওপর হামলা করে এবং উপর্যুপরি কিল-ঘুষি মারে। পরে শিবলীর বন্ধুরা তাকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যান।

ভুক্তভোগী শিবলী আলী বলেন, ক্লাস শুরুর আগে আমার বেঞ্চ থেকে শিমুল উঠতে বলে। উঠতে রাজি না হলে সে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। আমার সেশনের ও শিমুলের মদদে এই হামলাটি করা হয়েছে। এমতাবস্থায় আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। দোষীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

অভিযুক্ত আসিফ আহমেদ শিমুল বলেন, ক্লাসে শিবলীর সাথে ছোট্ট একটা ঝামেলা হয়েছিল। ফ্যাকাল্টির সামনে এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে রিয়ন সেখানে আসে। এসময় রিয়নের গলায় শিবলীর আচড় লাগে। তখনই সেটা মিটমাট করে চলে এসেছিলাম। পরে কী হয়েছে জানি না।

এদিকে অভিযুক্ত রিয়ন বলেন, আমি ওইদিক থেকে ক্লাসে যাচ্ছিলাম। ওখানে আরো ৬-৭ জন ছিল। শিমুল ভাইয়ের সাথে কথা কাটাকাটি হচ্ছে দেখে আটকাতে গেছিলাম। ওই সময় আমার ঘাড়ে আঘাত লাগলে পরে অনিচ্ছাকৃতভাবে দুয়েকটা মারছি। দলবেঁধে মারার বিষয়টি সত্য নয়।

শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, ঘটনাটি আমি এখনও শুনিনি। এটা তাদের ব্যক্তিগত ঝামেলা। ব্যক্তিগত দায় কখনো সংগঠন নেবে না। রিয়নকে এর আগেও কয়েকবার সতর্ক করা হয়েছিল। বিষয়টি খোঁজ-খবর নিয়ে দেখছি।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। দুইজন সহকারী প্রক্টরকে সদস্য করে কমিটি করে দিয়েছি। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App