×

সারাদেশ

নদী শাসনের অভাবে কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০২২, ০৪:৩৫ পিএম

নদী শাসনের অভাবে কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি

ছবি: ভোরের কাগজ

শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার নদীগুলো শাসন ব্যবস্থার অভাবে প্রতিবছর লাখ লাখ টাকা মূল্যের ফসলের ক্ষতি হচ্ছে।

নদী বেষ্টিত এ উপজেলায় ছোট বড়ো ৪টি নদী রয়েছে। নদীগুলো হচ্ছে মহারশি, সোমেশ্বরী, কালঘোষা ও মালিঝি নদী। নদীগুলোর দৈর্ঘ প্রায় ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার। এসব নদীর উৎসস্থল ভারতে। পাহাড়ি এসব নদীগুলো ঝিনাইগাতী উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম তোতা বলেন, নদীগুলো ভরাট হবার পাশাপাশি নদীর দু'পাশে জেগে উঠা চর দখল করে অবৈধভাবে ঘরবাড়ি গড়ে উঠায় নদীগুলো সংকুচিত হয়ে পড়েছে এ কারনে পাহাড়ি ঢলের পানিতে প্রতিবছর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এ উপজেলায় আবাদি জমির পরিমান প্রায় ১৮ হাজার হেক্টর। কৃষক রয়েছে ৪০ হাজার। শুষ্ক মৌসুমে নদীগুলোর পানি সেচ কাজে ব্যবহার করে বোরো মৌসুমে আবাদ করে থাকে কৃষকরা । তবে বর্ষাকালে আমন মৌসুমে নদীগুলোতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানির কৃষকদের দুঃখ দুর্দশার সীমা থাকে না।

পাহাড়ী ঢলের পানির তোড়ে নদীর বিভিন্ন স্থানে নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে আবার কখনো কখনো নদীর দুকূল ছাপিয়ে পানি প্রবেশ করে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। ফসলী জমিতে বালির স্তর পরে চাষাবাদ অযোগ্য হয়ে পরে। ক্ষতি সাধিত হয় রাস্তা ঘাটের। এতে দুর্ভোগের সীমা থাকে না শতশত মানুষের। উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা কৃষি নম্প্রসারন অধিদপ্তর, উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে।

নদীগুলো শাসন ব্যবস্থা অভাবে প্রতিবছর পাহাড়ি ঢলের পানিতে পুকুর তলিয়ে শতশত পুকুরের লাখ লাখ টাকার মাছ ভেসে যায়। দেখা দেয় নদী ভাঙ্গন বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলিন হয় । রাস্তা -ঘাট, সেতু - কালভার্ট ভেঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে। ভাঙ্গন কবলিত এলাকা দিয়ে পানি প্রবেশ করে বাড়ি-ঘর তলিয়ে যায়। পানির সাথে বালু প্রবেশ করে আবাদি জমি চাষাবাদ অযোগ্য হয়ে পরে। পানিবন্দি হয়ে পরে ৬০ হাজার মানুষ। এসময় পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগের সীমা থাকে না । পাহাড়ি ঢলের পানিতে কোটি কোটি টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রজাতির ফসলের ক্ষতি সাধিত হয়। পানিতে ডুবে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ হুমায়ুন দিলদার বলেন, নদীগুলো খনন করে দু পাশে শক্তিশালী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হলে কৃষকদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠা সম্ভব হবে। এতে রক্ষা পাবে ঘর-বাড়ি রাস্তা - ঘাট। পাশাপাশি দুর্ভোগ লাগব হবে হাজার হাজার মানুষের

পানি উন্নয়ন বোর্ডের জামালপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাইদ বলেন, মহারশী নদীতে বেড়িবাঁধ নির্মাণের পাশাপাশি নদী খননের ব্যাপারে প্রকল্প প্রনয়ন করে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে প্রেরন করা হয়েছে। অনুমোদন পাওয়া গেলে কার্যক্রম শুরু করা হবে। বাদ বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে পাঠানো হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App