×

মুক্তচিন্তা

জেলেপল্লীর জাত-বৈষম্যের স্মৃতি

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০২২, ১২:১৯ এএম

আমার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের ফৌজদার হাটের উত্তর সলিমপুরে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পশ্চিমে, ট্রাঙ্ক রোড এবং সমুদ্রের মধ্যবর্তী স্থানে। তীরবর্তী নয়। ঠিক কিছুটা হাঁটা পথ। প্রতিদিনই সাগরকূলে যেতাম জোয়ার-ভাটা দেখতে; বিশেষ করে লাল-হলুদ আভায় সাগরে সূর্যের ডুবে যাওয়ার দৃশ্য দেখতে। সমুদ্রপাড়ের দক্ষিণে জেলেপল্লী। তারপর নিউ পতেঙ্গা। নিউ পতেঙ্গায় যেতে জেলেপল্লীর সমুদ্রের তীরবর্তী পথটুকু পেরোতে হত। ওই পথটুকু অতিসাবধানে পার হতাম। জেলেপল্লীতে কোনো শৌচাগার ছিল না। শৌচাগারের বিকল্প ছিল সমুদ্র তীরবর্তী উন্মুক্ত স্থান। ওই স্থানজুড়ে তারা সূর্য অস্ত যাওয়ার পর এবং সূর্য ওঠার আগে প্রাকৃতিক কাজটি সমাধা করে শৌচের জন্য নেমে যেত সমুদ্রে। সমুদ্র তীরে ছড়িয়ে থাকা মল-বিষ্ঠা আর মরা মাছের শক্ত কাঁটা সাবধানে এড়িয়ে পথটুকু অতিক্রম করতে হতো। জোয়ারের পানিতে তীরের মল-বিষ্ঠা পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত নাকে কাপড় চেপে নিউ পতেঙ্গা যাওয়ার তীরবর্তী পথটুকু অতিক্রম করতে হতো। কৈশোরে দেখা জেলেপল্লী এবং জেলেদের সামাজিক অবস্থা কেমন ছিল, কিংবা এখনই বা কেমন হয়েছে? অনেকে স্বপেশায় বিদেশে গিয়ে, কিংবা দেশের ভেতরেই অন্য পেশায় যুক্ত হয়ে জেলেপল্লী ত্যাগ করেছে। তাদের মধ্যে শিক্ষার প্রসারও ঘটেছে। জেলেপল্লীতে কেউ কেউ পাকা আবাসও নির্মাণ করেছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ জেলেরা স্বীয় পেশায় থাকলেও ওই অঞ্চলজুড়ে শিপ-ব্রেকিং ইয়ার্ড স্থাপনের পর পরিত্যক্ত তেল, মবিল ইত্যাদি বর্জ্যে মাছ উৎপন্ন ও আহরণ ধ্বংসের কিনারায় গিয়ে পৌঁছেছে। পূর্বের তুলনায় সিকিভাগ মাছও আহরণ হয় না। এছাড়া বেড়িবাঁধ ও বনাঞ্চল তৈরি করে সমুদ্রকে ওই জনপদ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। প্রকৃতির ওপর এসব নিষ্ঠুরতার কারণে পরিবেশের বিরূপ প্রভাব ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিপ-ব্রেকিং ইয়ার্ড ফৌজদার হাট থেকে উত্তরের কুমিরা পর্যন্ত বিস্তার লাভ করেছে। এই ব্যবসায়ের দরুন স্থানীয়দের অর্থনৈতিক পরিবর্তন ঘটলেও ওই অঞ্চলের প্রকৃতি-পরিবেশের যে ক্ষতি হয়েছে, সেটি আর পূরণ হওয়ার নয়। জেলেপল্লীতেও যেতাম। পাঁচ ফুট উচ্চতার নিচু বেড়া-ছনের সারি সারি ঘর। তিন ফুট উচ্চতার দরজা। ৯০ ডিগ্রি উপুর হয়ে তাদের ঘরে যাওয়া-আসা করতে হতো। সমুদ্র তীরবর্তী বলেই তীব্র বাতাস থেকে রক্ষা পাওয়ার কৌশলে ওই নিচু ঘর নির্মাণ। পানির জন্য টিউবওয়েল ছিল। টিউবওয়েলের পানি লবণাক্ত হলেও সে পানি পানেই তারা অভ্যস্ত ছিল। জেলেপল্লীর পূর্বদিকের গৃহস্থের বাড়ি-পুকুর থাকলেও সেদিকে তারা কখনো যেত না। বিনা প্রয়োজনে কারো কাছে না যাওয়ার অলিখিত বিধি ছিল। গৃহস্থের অব্যবহৃত পুকুর ব্যবহার করার দুঃসাহস করত না। গৃহস্থদের পুকুর ব্যবহারের অনুমতি তাদের না থাকলেও পুকুরের মাছ তোলার জন্য জেলেদের কাছেই সবাই শরণাপন্ন হতো। দর-দাম শেষে পুকুরে নেমে জাল টেনে মাছ তুলে দিত জেলেরা। এতে পুকুরের পানি অপবিত্র হতো না। স্থানীয় পঁচানব্বই ভাগ মুসলিম সম্প্রদায় জেলেদের ওপর সরাসরি নিপীড়ন করত না সত্য, তবে সামাজিক রীতি-নিয়মের মাধ্যমে তাদের সামাজিক মর্যাদা হরণ করা হয়েছিল। মনে পড়ে, আমাদের বাড়িতে মাছ ধরার কাজে ব্যবহারের জন্য বাঁশ কিনতে আসত তারা। দরদাম নিয়ে এক পক্ষের বিনয় এবং অপর পক্ষের হুঙ্কার শুনতাম। আমাদের পরিবারের যে ব্যক্তিটি বাঁশ বিক্রিতে অংশ নিতেন তিনি তার দ্বিগুণ বয়সের জেলেটিকে তুই সম্বোধন করে চড়া স্বরে কথা বলতেন। দ্বিগুণ বয়সি জেলেটি আপনি বড় জোর তুমি সম্বোধনে বাঁশের দর কমানোর জন্য বিনয়ের সঙ্গে পীড়াপীড়ি করত। তাদের এই কেনাবেচা উঠানে দাঁড়িয়েই নিষ্পত্তি হতো। বারান্দায় কিংবা ঘরে জেলেদের কখনো ঢুকতে দেখিনি। দর-দাম ঠিক হলে জেলেরা বাঁশ কেটে কঞ্চি পরিষ্কার করে কাঁধে করে নিয়ে যেত। স্থানীয় বাড়িতে বাড়িতে জেলেনিরা হাঁক-ডাক দিয়ে মাছ বিক্রি করতে আসত। মহিলারাই তাদের থেকে মাছ ক্রয় করত। জেলেনিদের ক্ষেত্রেও দেখেছি উঠানে মাছ বেচা বিক্রি করতে। কখনো বারান্দায় কিংবা ঘরে প্রবেশ দেখিনি। এসব নিয়ম-নীতি এখনো অক্ষুণ্ন রয়েছে। গ্রীষ্মের ছুটিতে চট্টগ্রামে যেতাম। বাড়িতে উন্নত জাতের প্রচুর কাঁঠাল গাছ ছিল। কাঁঠাল খেয়ে-বিলিয়ে শেষ হতো না। এই কাঁঠাল কিনতে প্রতিদিন সকালে জেলেরা আসত। দর-দাম করে মাথায় কাঁঠাল নিয়ে ছুটত বাড়ির দিকে। জেলেপল্লীতে কোনো গাছ ছিল না। লবণাক্ত বালির জেলেপল্লীতে গাছ জন্মাবে এমন উপায়ও নেই। বেড়া-ছনের নড়বড়ে জেলেদের ঘরগুলো নিচু হলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগে সেগুলোই সর্বপ্রথম আক্রান্ত হতো। প্রাণ বাঁচাতে পূর্বদিকে গৃহস্থের কাছারি ঘরে তারা আশ্রয় নিত। এক মাইল অন্তর-অন্তর নির্মিত পাকা সরকারি প্রাইমারি স্কুলগুলোই ছিল প্রাকৃতিক দুর্যোগকালীন সর্বজনীন আশ্রয়স্থল। স্থানীয়রা এবং জেলেরা ঠাসাঠাসি করে দুর্যোগকালে সেখানে গিয়ে উঠত। জীবন ও মৃত্যুর সেই সন্ধিক্ষণে জাত-বৈষম্যের বিষয়টি সবার মন থেকে উধাও হয়ে যেত। অথচ সামাজিক জীবনে জেলেদের মানুষ রূপেই গণ্য করা হতো না। হিন্দুরাই করত না, মুসলমানরা করবে এমনটা আশা করার কারণ নেই। জেলেদের জীবন অনিশ্চিত। পেশার ক্ষেত্রে তো বটেই। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা মাঝ সমুদ্রে নৌকা ভাসিয়ে মাছ ধরতে যায়। অক্ষতভাবে মাছ ধরে প্রাণ নিয়ে ফিরে আসবে তেমন নিশ্চয়তা নেই। একবার সমুদ্রতীরে আমরা দলবেঁধে ফুটবল খেলছিলাম। হঠাৎ জেলেপল্লী থেকে তীব্র চিৎকার-আর্তনাদ শুনে ছুটে যাই। নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোরদের সমবেত আর্তনাদে আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। শোকে বিহ্বল জেলেপল্লী। সাগরের তীরে বুকে হাত দিয়ে হাতুড়ি পেটার মতো আঘাত করে তীব্র স্বরে চিৎকার করে তারা কাঁদছে। রাতে তিনটি জেলে নৌকা নিয়ে কয়েক জেলে মাছ ধরতে গভীর সমুদ্রে গিয়েছিল। আচমকা তীব্র বাতাস ও ঢেউয়ের আঘাতে নৌকা তিনটি উল্টে ডুবে যায়। আশপাশে অন্য জেলে নৌকা না থাকায় এবং অমাবস্যার কারণে সাঁতারে-পারদর্শী জেলেদেরও কেউ প্রাণ রক্ষা করতে পারেনি। বঙ্গোপসাগরে তাদের সলিল সমাধি ঘটেছে। এই সংবাদ সকালে প্রচার হওয়ার পরই আত্মীয়-পরিজনদের কান্নার আহাজারি। সেই কান্নার মাতম আর করুণ দৃশ্য আমাকে আজো শোকাতুর করে তোলে। ব্রাহ্মণরা কম কিসে! দুর্গাপূজার ঢাক ও ঢোলের শব্দে জেলেপাড়ায় ছুটে যেতাম। পূজায় আগত ব্রাহ্মণ পূজার সামগ্রী-ফলমূল ইত্যাদি জেলেদের অর্থে নিজে ক্রয় করে খোলা পালকিতে চেপে আসতেন। পূজামণ্ডপ পর্যন্ত হাঁটা পথটিতে সবাইকে সরিয়ে পুরোহিত ব্রাহ্মণের সহযোগীরা ঘটিতে-রাখা বিশেষ পানি ছিটিয়ে এগোতেন, আর ছিটানো পানির পথ ধরে ব্রাহ্মণ পূজামণ্ডপে পৌঁছতেন। নিচু জাতের ব্যবহৃত স্থান পবিত্র করতেই পানি ছিটিয়ে পথটিকে পবিত্র করে ব্রাহ্মণের চলার উপযোগী করা হতো। যাদের অর্থে পূজার আয়োজন সেই জেলেদের মণ্ডপের কাছে নির্দিষ্ট স্থান অতিক্রমের অনুমতি ছিল না। পূজার প্রসাদ বিতরণের সময় ছয় ইঞ্চি উঁচু থেকে পুরোহিত প্রসাদ ফেলতেন, দুহাত পেতে জেলেরা শূন্য থেকে ফেলা প্রসাদ গ্রহণ করত। জেলেদের স্পর্শের কোনো খাদ্য পুরোহিত ব্রাহ্মণ এবং তার সহযোগীরা গ্রহণ করতেন না। তার বদলে টাকা দিতে হতো। পূজার শেষে প্রদান করতে হতো চুক্তিমতো অর্থ। বিজয়া দশমীর দিন পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষে পুরোহিত খোলা পালকিতে চেপে বিদায় হতেন। জেলেরা সমবেতভাবে প্রতিমা কাঁধে নিয়ে নিউ পতেঙ্গার পাকা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা ভাড়ায় আনা ট্রাকে তুলত ব্যান্ডপার্টি বাজিয়ে পরস্পর রং মাখামাখি করে ট্রাকে চেপে পতেঙ্গার সমুদ্র সৈকতে রওনা হতো প্রতিমা বিসর্জনে। গ্রামে হাটবার ছিল সপ্তাহে দুদিন। ওই দুদিন হাটে জেলেরা বসে মাছ বিক্রি করত। অন্যদিনগুলোতে যেত বাইরের হাটে। তবে স্থানীয়রা সকালেই জেলে নৌকা মাছ নিয়ে তীরে ফিরে আসার সময়ে মাছ কিনতে জেলে নৌকার পাশে ভিড় করত। দর-দাম শেষে খরিদ করত টাটকা মাছ। বড়দের সঙ্গে আমিও জেলে নৌকা থেকে মাছ কিনতে যেতাম। হাটের সমমূল্যের হলেও টাটকা মাছের আকর্ষণে স্থানীয়দের সেই মাছ কেনা ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। জেলেরা সে-সময়ে নিজেরা মাছ ধরে নিজেরাই বিক্রি করত। পরে মধ্যস্বত্বভোগী পাইকারদের আগমন ঘটে। জেলেদের দাদন প্রদানের ফাঁদে আটকে তারা সমস্ত মাছ পূর্বনির্ধারিত কম দামে কিনে ট্রাকে করে শহরে নিয়ে যায় এবং শহরের আড়তে চড়া দামে বাজারের বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে অধিক মুনাফা লাভ করে। জেলেরা তাদের মাছের প্রকৃত মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়। কৃষিক্ষেত্রেও একই পন্থা দেশজুড়ে বিরাজমান। দাদন নামক পুঁজির দৌরাত্ম্য সর্বক্ষেত্রেই বিস্তার লাভ করেছে। ব্যবস্থাটা পুঁজিবাদী বটে। ইউনিয়ন কাউন্সিল নির্বাচন এলে ভোটারদের দাম বেড়ে যেত। প্রার্থীদের বিনয়ের আবেদন-নিবেদন দেখেছি। বিত্তবান-সম্ভ্রান্ত ভোট প্রার্থীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইত। জেলেপল্লীতেও যেতে হতো। এমনিতে কেউ জেলেপল্লীর ধারে-কাছে না গেলেও ভোটের সময় বিত্তবান-প্রভাবশালী প্রার্থীরা ভোট ভিক্ষায় না গিয়ে পারত না। তবে লক্ষণীয় ছিল যে, স্থানীয় গৃহস্থদের কাছে নতমুখে ভোট প্রার্থনা করলেও, জেলেদের ক্ষেত্রে তেমনটি করত না। চেয়ারম্যান ও বিডি মেম্বার প্রার্থীরা সব জেলে নারী-পুরুষদের একত্রে দাঁড় করিয়ে শাসনের ভঙ্গিতে নিজ নিজ মার্কায় ভোট প্রদানের আদেশ দিত। ব্যত্যয় ঘটলে রক্ষা নেই। প্রকাশ্যে দেখেছি প্রার্থী ও তার সমর্থকদের অসহায় জেলেদের হুমকি প্রদান করতে। জেলেরা নতমুখে কেবল শুনে যেত। কোনো কথা বলত না। হুমকির মুখে আশ্বাস দিতে বাধ্য হতো। এখন তো দেশে ভোট চাওয়া-প্রচারণার ব্যবস্থারই বিলোপ ঘটেছে। ভোটারদের চাহিদাও আর নেই। কষ্ট করে তাদেরকে ভোটকেন্দ্রে যেতে হয় না। ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী-সমর্থকরা ভোটারদের কর্তব্য নিজেরাই নির্ভাবনায় পালন করে থাকে। মন্দের-ভালো নিয়মগুলো পর্যন্ত আমাদের দেশে আর অবশিষ্ট নেই। উধাও হয়ে চলেছে। মেয়াদ শেষে ক্ষমতার পালা-বদলের ভোটের কথা থাকলেও-বাস্তবে সেটা আর নেই। মাও সে তুং বলেছিলেন- বন্দুকের নলই সমস্ত ক্ষমতার উৎস। অবশ্য তার বক্তব্যের এই অংশটুকুই শুধু প্রচার পেয়েছিল, বিস্তারিত বক্তব্য প্রচার পায়নি। আমাদের জাতীয়তাবাদী এক নেতা মাও-এর বক্তব্যের বিপরীতে নিজ নামে প্রচার করেছিলেন- জনগণই সমস্ত ক্ষমতার উৎস। বাস্তবতা কিন্তু ঠিক বিপরীত। জনগণ রাষ্ট্রের মালিকানার দাবিদার তো নয়ই উপরন্তু রাষ্ট্রের দাস রূপে রাষ্ট্রীয় শোষণ-বঞ্চনার শিকার। আমাদের দেশ দু-দু’বার স্বাধীন হয়েছে। কোনো স্বাধীনতাই দেশবাসীকে মুক্তির স্বাদ দিতে পারেনি। সমাজের কাঠামোতে পরিবর্তন ঘটেনি। সমাজে শ্রেণি-বৈষম্য তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে। অর্থনৈতিক শোষণ নানা নামে ও রূপে জাতির কাঁধে চেপে বসেছে। ধর্মীয় জাতীয়তাবাদে পাকিস্তান এবং ভাষিক জাতীয়তার বিভাজনে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। ধর্মীয় এবং ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদ জনগণকে যে মুক্তি দিতে পারেনি, সেটা প্রমাণিত সত্য। মুক্তির পথ হচ্ছে সমাজতন্ত্র। সেটি অর্জিত না হওয়া অবধি জনগণের মুক্তির আশা সুদূরপরাহত। সমাজ-বিপ্লব ছাড়া ধর্মীয় অনুশাসনে ঘৃণিত জাতপ্রথার অন্তরালে শ্রেণি শোষণেরও অবসান ঘটবে না।

মযহারুল ইসলাম বাবলা : নির্বাহী সম্পাদক, নতুন দিগন্ত। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App