গোবিন্দগঞ্জে ম্যাজিস্ট্রেটের মামলায় স্বামী কারাগারে
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০২২, ০৯:৫৫ পিএম
ছবি: ভোরের কাগজ
নীলফামারীর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারি কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. পপি খাতুন (৩১) এর দায়ের করা মামলায় তার স্বামী মোহাইমেনুল ইসলামকে (৩৩) গ্রেপ্তার করেছে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) বিকালে গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, নীলফামারীর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পদে কর্মরত পপি খাতুন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের জীবনপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের মেয়ে। গ্রেপ্তারকৃত মোহাইমেনুল ইসলাম একই গ্রামের মাকসুদুর রহমানের ছেলে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রলয় কুমার বর্মা মামলার এজাহার সূত্রে জানান, ২০০৪ সালে পপি খাতুনের সাথে মোহাইমেনুল ইসলামের বিয়ে হয়। তাদের দুইটি কন্যা সন্তান আছে। পপি খাতুন গত বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) ঢাকায় প্রশিক্ষণে ছুটি পেয়ে নীলফামারি থেকে বিকেল ৫টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামে ভগ্নিপতি সোহরাবের বাড়িতে আসেন। এ খবর পেয়ে পরের দিন শুক্রবার দুপুরে মোহাইমেনুল ইসলাম সেখানে হাজির হন। এরপর তার নিকট ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। কিন্তু পপি খাতুন এই টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাকে বাম গালে ও কানের উপর কিল ঘুষি মেরে রক্তাক্ত জখম করে এবং দুই হাত দিয়ে গলা টিপে ধরে। পরে তাকে ঘরের মেঝের উপর ফেলে দেয়। এসময় মোহাইমেনুল পপি খাতুনের ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে ৫০ হাজার টাকা ও চেক বই নিয়ে যান। এতে পপি খাতুনের কানের পর্দা ফেটে যায়। পরে পপি খাতুনাকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। এই ঘটনায় শুক্রবার রাতে মোছাঃ পপি খাতুন বাদি হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় দন্ডবিধির ধারায় মামলা করেন। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত মোহাইমেনুলকে নিজবাড়ি থেকে আজ সকালে গ্রেপ্তার করা হয়।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, এরআগেও স্বামী মোহাইমেনুল তার স্ত্রী পপি খাতুনকে শারীরিক নির্যাতন করে। ওই ঘটনায় পপি খাতুন গত ১৮ নভেম্বর স্বামী মোহাইমেনুলকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নীলফামারী সদর থানায় একটি মামলা করেন। যা আদালতে বিচারাধীন আছে।
থানায় দায়ের করা মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পৌর শহরের বোয়ালিয়া গ্রামে ভগ্নিপতি সোহরাবের বাড়িতে পপি খাতুন গত বৃহস্পতিবার আসেন। পরের দিন শুক্রবার দুপুরে মোহাইমেনুল ইসলাম সেখানে এসে তার নিকট ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। পপি টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে গুরুতর জখম করা করে। পরে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। নির্যাতিত ম্যাজিস্ট্রেট পপি এর আগেও তার স্বামীকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নীলফামারী সদর থানায় মামলা করেন।