×

জাতীয়

নাতনির বয়ফ্রেন্ডসহ তিনজনের দোষ স্বীকার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২২, ০৫:০৬ পিএম

নাতনির বয়ফ্রেন্ডসহ তিনজনের দোষ স্বীকার

ফাইল ছবি

ট্যুরের টাকার জন্য রাজধানীর চকবাজারে হাজী মুনসুর আহম্মেদ নামে নানাকে খুন করার মামলায় গ্রেপ্তার নাতনি আনিকা তাবাসসুমের বয়ফ্রেন্ড আবু সুফিয়ান খান রাজুসহ তিন আসামি আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছেন। দোষ স্বীকার করা বাকি দুই আসামি হলেন- রাজুর ভাই সায়ীদ রহমান রায়হান ও তাদের আত্মীয় সাঈদ হোসেন।

শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) আদালতে চকবারজার থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা শওকত আকবর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার তিন আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তারা স্বেচ্ছায় জবানবন্দী দিতে চাইলে পৃথক তিন আদালতে তিন আসামি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেন।

এরমধ্যে আসামি আবু সুফিয়ান খান রাজু ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্ত ইসলাম মল্লিকের আদালতে, আসামি সায়ীদ রহমান রায়হান ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালতে এবং আসামি সাহিদ হোসেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে জবানবন্দী দেন। এরপর আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এরআগে গত ২৩ নভেম্বর নানাকে খুন করার এ মামলায় গ্রেপ্তার নাতি শাহাদাত মুবিন আলভী ও নাতনি আনিকা তাবাসসুম নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। তারা বর্তমানে কারাগারে।

গত ২২ নভেম্বর রাতে রাজধানীর বকশিবাজার, চাঁদপুর আর মুন্সিগঞ্জ থেকে মুনসুর আহম্মেদের নাতি, নাতনি ও তার বয়ফ্রেন্ডসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে চকবাজার থানা পুলিশ।

পুলিশ জানায়, ঘুরতে যাওয়া জন্য আসামিদের টাকার প্রয়োজন ছিল। নানার কাছে ছিল নগদ টাকা। সেই টাকা নেয়ার জন্য ডাকাতির পরিকল্পনা করে তারই দুই নাতি-নাতনি। পরিকল্পনায় যুক্ত হয় নাতনির বয়ফ্রেন্ডসহ কয়েকজন। চেতনানাশক ইনজেকশন দিয়ে অচেতন করে টাকা-পয়সা নেয়ার পরিকল্পনা করেন তারা।

এ পরিকল্পনা এক মাস আগে হয় তাদের। বাসা ফাঁকা থাকার সুযোগ খুঁজছিলেন তারা। এ সুযোগটি আসে ১৭ নভেম্বর রাতে। পরিবারের সদস্যরা চাঁন কমিউনিটি সেন্টারে একটি বিয়ের দাওয়াতে অংশ নিতে যায়। আনিকাও সেখানে যায়। কমিউনিটি সেন্টার থেকে তদারকি করেন আনিকা। আর বাড়ির আশপাশে থেকে আনিকার বয়ফ্রেন্ড রাজু দেখভাল হিসেবে কাজ করেন। ডাকাতি করতে বাসায় প্রবেশ করেন আনিকার ভাই আলভী, রাজুর ভাই রায়হান ও সাঈদ।

এরপর তারা নানা মুনসুর আহম্মেদকে অচেতন করার জন্য ইনজেকশন দিতে গেলে তিনি বাঁধা দেন। আর তখনই তাকে মারধর করেন ডাকাতি করতে আসা তরুণেরা। মারধরের একপর্যায়ে মুনসুর আহম্মেদ মারা যান। এরপর ডাকাত দলের সদস্যরা (তরুণরা) বাসা থেকে ৯২ হাজার টাকা নিয়ে যায়।

ঘটনার পর ১৯ নভেম্বর নিহতের ছেলে আসগার আহম্মেদ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় দস্যুতাসহ হত্যার মামলা করেন। কিন্তু পরে মামলার তদন্ত করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে মুনসুর আহম্মেদ হত্যায় তার পরিবারের সদস্যরা অর্থাৎ নাতি নাতনিরা জড়িত।

জানা যায়, আনিকা ও আলভির বাবা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়োজিত ডা. মাকসুদুর রহমান ও মা আজিমপুর গার্লস স্কুলের সিনিয়র শিক্ষিকা। অন্যদিকে আনিকার বয়ফ্রেন্ড রাজু ও তার ভাই রায়হানের বাবা বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App