দক্ষিণ এশিয়াসহ সমগ্র বিশ্বে ‘নারীর ক্ষমতায়ন’ সূচকে বাংলাদেশ শীর্ষ দেশসমূহের মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশে প্রশাসন, বিচার, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সমাজের সর্বস্তরে নারীর অংশগ্রহণ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। মিডিয়া ও বিনোদন শিল্পও এর বাইরে নয়। প্রযোজক, পরিচালকসহ চলচ্চিত্রের বিভিন্ন শাখায় নারীর অংশগ্রহণ দিন দিন বাড়ছে। নারীর ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন এর উৎসব বলরুমে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া বিজনেস কাউন্সিল ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) যৌথভাবে আয়োজিত ‘আন্তর্জাতিক নারী উদ্যোক্তা সম্মেলন ২০২২’ এর অংশ হিসেবে ‘মিডিয়া অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট’ শীর্ষক কারিগরি/প্যারালাল অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এসব কথা বলেন।

অধিবেশনে অতিথি বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা রায়হান রাফি, এশিয়ান মার্কেটিং কমিউনিকেশনস লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক ফেরদৌস হাসান নেভিল, দুর্জয় বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা দুর্জয় রহমান, গ্রীসের লেখক, স্ক্রিপ্ট রাইটার ও চলচ্চিত্র প্রযোজক জেমস পি মিমিকোস ও চলচ্চিত্র নির্মাতা রুবাইয়াত হোসেন। অনুষ্ঠানের মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন কর্পোরেট আইনজীবী ব্যারিস্টার মিতি সানজানা ও নিও ভেনচারস এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক নিয়াসা ইসলাম।

কে এম খালিদ বলেন, চলচ্চিত্র সংস্কৃতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। যদিও রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী এটি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীন। তিনি বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে চলচ্চিত্রসহ সংস্কৃতির বিকাশ ও প্রসারে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ‘উপজেলা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র’ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে যেখানে থাকবে সিনেপ্লেক্স, মাল্টিপারপাস হল ও অত্যাধুনিক মিলনায়তন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ইতোমধ্যে আমরা ‘বঙ্গমাতা’ চলচ্চিত্র নির্মাণে অনুদান প্রদান করেছি। তিনি এসময় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ভালো গল্প ও নির্মাতা প্রাপ্তি সাপেক্ষে নারী পরিচালকের পরিচালনায় একটি চলচ্চিত্র নির্মাণে অনুদান প্রদানের ঘোষণা দেন।