×

জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানির শীর্ষে বাংলাদেশ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২২, ০১:০২ পিএম

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানির শীর্ষে বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে সাড়ে ৭০ কোটি (৭০৬.৫৩ মিলিয়ন) ডলার। যা শতাংশের হিসেবে বেড়েছে প্রায় ২৮ শতাংশ। এই বাজারটিতে ভিয়েতনাম, পাকিস্তান এবং মেক্সিকোর চেয়ে বেশি পোশাক রপ্তানি করে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের অফিস অব টেক্সটাইল এন্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে। অটেক্সার প্রতিবেদন মতে, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে মোট ৩২৪ কোটি ৯৫ লাখ ৮০ হাজার ইউএস ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি করা হয়েছে। যা ২০২১ সালের একই সময়ে ছিল ২৫৪ কোটি ৩০ লাখ ৫০ হাজার ডলার। অর্থাৎ আগের বছরের চেয়ে ৭০ কোটি ৬৫ লাখ ৩০ হাজার ডলার বেড়েছে। শতাংশের হিসেবে যা ২৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই বাজারে সবচেয়ে বেশি পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ।

গত ৯ মাসে ৭৩ কোটি ৮৭ লাখ ইউএস ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৫২ কোটি ১ লাখ ৬০ হাজার ইউএস ডলার। সেই হিসেবে গত বছরের তুলনায় এ বছর পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ২১ কোটি ৮৫ লাখ ৪০ হাজার ডলার। যা শতাংশের হিসেবে ৪২ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে।

দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মেক্সিকো। দেশটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চলতি বছর ৫৬ কোটি ১৩ লাখ ৮০ হাজার ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ৪৭ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ডলার। অর্থাৎ আগের বছরের চেয়ে ৯ কোটি ডলার বা ১৯ শতাংশ বেড়েছে পোশাক রপ্তানি।

রপ্তানির তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তান। দেশটি থেকে গত ৯ মাসে ৩৭ কোটি ৬৯ লাখ ৫০ হাজার ডলারের পোশাক পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ২৭ কোটি ৫৯ লাখ ইউএস ডলার। যা শতাংশের হিসেবে ৩৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেড়েছে। ৩৪ কোটি ৮৬ লাখ ৪০ হাজার ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি করে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভিয়েতনাম। দেশটি বাজারটিতে ২০২১ সালের একই সময়ে পণ্য রপ্তানি করেছে ২৭ কোটি ৮৬ লাখ ৪০ হাজার ডলারের।

এই সময়ে চীনের পোশাক রপ্তানির প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ৬ শতাংশ। গত ৯ মাসে দেশটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি হয়েছে ২৯১ কোটি ১৪ লাখ ৫০ হাজার ডলারের। যা এর আগের বছর ছিল ২৭ কোটি ৪৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার। এছাড়া মিশরের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানি হয়েছে ১৭ কোটি ৮৪ লাখ ১০ হাজার ডলারের। এর আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১১ কোটি ১৩ লাখ ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬০ শতাংশ কম্বোডিয়া থেকে পোশাক রপ্তানি হয়েছে ১৬ কোটি ৮০ লাখ ৪০ হাজার ডলারের। এর আগের বছর ছিল ১১ কোটি ৪০ লাখ ডলার। অর্থাৎ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪৭ শতাংশ। নিকারাগুয়া থেকে পোশাক রপ্তানি হয়েছে ১১ কোটি ৪৬ লাখ ৪০ হাজার ডলারের। এর আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৯ কোটি ১৫ লাখ ৬০ হাজার ডলারের। যা শতাংশের হিসেবে বেড়েছে ২৫ শতাংশ। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৫ কোটি ৭০ লাখ ৯০ হাজার ডলারের। যা এর আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩ কোটি ১১ লাখ ১০ হাজার ডলার। অর্থাৎ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮৩ দশমিক ৫১ শতাংশ। অন্যান্য শীর্ষ দেশ যেমন লিসোথো, কলম্বো, ইন্দোনেশিয়া এবং গুয়েতমালার পোশাক রপ্তানি একই সময়ে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।

এ ব্যাপারে খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ ডেনিম গার্মেন্টস সোর্সিংয়ের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়েছে প্রধানত একটি শক্তিশালী ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ এবং প্রতিযোগিতামূলক দামে পণ্যের প্রাপ্যতার কারণে কম লিড টাইম। এছাড়া বাংলাদেশ সবুজ শিল্পে বিনিয়োগ করছে, যা আমদানিকারকদের জন্য আরেকটি প্রণোদনা হিসেবে কাজ করে।

এ ব্যাপারে পোশাকশিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) পরিচালক ও মুখপাত্র মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ডেনিম সেক্টরে ভালো পারফর্ম করেছি এবং যুক্তরাষ্ট্র এখন আমাদের অন্যতম প্রধান বাজার। তিনি আরো বলেন চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের কারণে অক্টোবর থেকে আমাদের ডেনিম রপ্তানি আয় কমেছে। এ কারণে চলতি বছর শেষ হওয়ার পর প্রবৃদ্ধির হার কমে যাবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App