×

খেলা

সন্তানের গোলে হেরে গেল ক্যামেরুন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২২, ০৬:৫৬ পিএম

সন্তানের গোলে হেরে গেল ক্যামেরুন

ছবি: সংগৃহীত

কাতার বিশ্বকাপে ‘জি’ গ্রুপের খেলায় সুইজারল্যান্ড–ক্যামেরুন ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ড এমবোলোকে খেলতে হয়েছে তার জন্মভূমি ক্যামেরুনের বিপক্ষে। এমনকি জন্মভূমির বিপক্ষে সুইজারল্যান্ডের জয়ের জন্য গোল এমবোলোই। তার একমাত্র গোলেই ১–০ গোলে সুইজারল্যান্ড। তবে জন্মভূমির বিপক্ষে করা গোলটি উদ্‌যাপন করেননি এমবোলো। বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় শুরু হয়েছে ম্যাচটি। প্রথম ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপ শুভসূচনা করলো সুইজারল্যান্ড। ক্যামেরুনের অর্ধে বল পেয়ে গ্রানিত জাকা পাস দেন বক্সের ডানদিকে থাকা জেরদান শাকিরিকে। সেখান থেকে ক্রস করেন বক্সের বাঁ দিকে থাকা এমবোলোর উদ্দেশে। গোলটি করেন এমবোলো। তার সামনে ছিল তখন শুধুই ক্যামেরুনের গোলকিপার আন্দ্রে ওনানা। তিনি নিজের ডান দিকে ঝাঁপ দিলেন আর এমবোলো বল মারলেন তার বাঁ দিকে। হয়ে গেল গোল। এর আগে সুযোগ মিসের মহড়ায় সুইজারল্যান্ড ও ক্যামেরুনের মধ্যকার ম্যাচের প্রথমার্ধের খেলা গোলশূন্যভাবে শেষ হয়েছে। এই অর্ধে ৫১ শতাংশ বলের দখল ছিল সুইজারল্যান্ডের কাছে। তবে আক্রমণে এগিয়ে ছিল ক্যামেরুন। তারা গোলপোস্টের দিকে ৫টি শট নেয়। তার মধ্যে দুটি ছিল অন টার্গেটে। ম্যাচের শেষ দিকে গোলের সুযোগ তৈরি করলেও তা ক্যামেরুন ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে প্রতিহত হয়। শেষ পর্যন্ত আর কোন গোল না হলে ১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সুইজারল্যান্ড। অন্যদিকে সুইসরা গোলপোস্টের দিকে শট নেয় ৩টি। তার একটিও অন টার্গেটে ছিল না। ৩৬ মিনিটের মাথায় ম্যাচের প্রথম হলুদ কার্ড হয়। ক্যামেরুনের কলিন্স ফেই সুইজারল্যান্ডের এলভেদিকে ফাউল করে কার্ড দেখেন। এর আগে সুইজারল্যান্ড ও ক্যামেরুন এই দুটি দল অবশ্য পরস্পরের অচেনা প্রতিপক্ষ। তারা বিশ্বকাপ কিংবা কোনো টুর্নামেন্ট তো দূরের কথা প্রীতি ম্যাচেও কখনো মুখোমুখি হয়নি। ফিফা র‌্যাংকিংয়ে সুইজারল্যান্ড রয়েছে ১৫তম অবস্থানে। অন্যদিকে আফ্রিকার সিংহ হিসেবে খ্যাত ক্যামেরুন আছে ৪৩তম অবস্থানে ফিফা র‌্যাংকিংয়ের। তবে বিশ্বকাপে দুদলেরই সেরা সাফল্য কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা। ১৯৩৪, ১৯৩৮ ও ১৯৫৪ আসরে সেরা আটে খেলেছে সুইসরা। ক্যামেরুন কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছে ১৯৯০ সালের আসরে। খেলা বিষয়ক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের মতে, ১৯৯৭ সালে ক্যামেরুনের রাজধানী ইওয়ান্দেতে জন্ম এমবোলোর। স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পর সেখান থেকে ৫ বছর বয়সী ছেলে এমবোলোকে নিয়ে ফ্রান্সে পাড়ি জমায় তার মা। পৃথিবীর অন্যতম জাঁকজমকপূর্ণ দেশটিতেও থিতু হতে পারেননি এমবোলোর মা। পরের বছরই এমবোলোদের ঠাঁই হয় সুইজারল্যান্ড। বাসেলে বসতি গাড়েন এমবোলোর মা। সেখানেই ফুটবলে ‘পায়েখড়ি’। ২০১৪ সালে সুইজারল্যান্ডের নাগরিকত্ব পান এমবোলো।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App