×

জাতীয়

ডান্ডাবেড়ি পড়িয়ে আনা হলো আদালতে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০২২, ০৪:৩৩ পিএম

ডান্ডাবেড়ি পড়িয়ে আনা হলো আদালতে
ডান্ডাবেড়ি পড়িয়ে আনা হলো আদালতে
ডান্ডাবেড়ি পড়িয়ে আনা হলো আদালতে

ছবি: ভোরের কাগজ

ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবু হত্যা মামলায় জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের তিন সদস্যকে হাজির করা হয় আদালতে। বুধবার (২৩ নভেম্বর) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালতে এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল।

এজন্য কারাগারে থাকা তিন আসামি আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ৩ সদস্য জিকরুল্লাহ, আরিফুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম আদালতে হাজির করা হয়। অপর দুই আসামি হাসিব আব্দুল্লাহ ও আবু তাহের জুনায়েদ পলাতক।

তিন আসামিকে আদালতে হাজির করতে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের সামনে নেয়া হয় বিপুল প্রস্তুতি। প্রায় অর্ধশত পুলিশ সদস্যের সমন্বয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনি তৈরি করা হয়। এ সময় কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ডান্ডাবেড়ি পড়িয়ে তাদের আদালতে হাজির করা হয়৷ একইভাবে নিয়ে যাওয়ার সময় প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় নেয়া হয় প্রস্তুতি।

মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানার ইনচার্জ আ. হাকিম বলেন, চাঞ্চল্যকর মামলায় জঙ্গি সংগঠনের তিনজন আসামি হওয়ায় আমরা বাড়তি সতর্কতা নিয়েছি। কারাগার থেকে ডান্ডাবেড়ি পড়িয়ে পাঠানো হয়েছে৷ আদালতেও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে৷ যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক আছি।

এরআগে সোমবার (২১ নভেম্বর) সন্ত্রাসী, জঙ্গি, চাঞ্চল্যকর, সাজাপ্রাপ্ত বা একাধিক মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আদালতে হাজির করার সময় ডান্ডাবেড়ি পরানোর বিষয়ে কারা সদরদপ্তরে চিঠি পাঠায় পুলিশ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) প্রসিকিউশন বিভাগ পুলিশ কমিশনারের মাধ্যমে এ চিঠি পাঠায়।

এদিকে এই মামলায় ২০২০ সালের ২৭ অক্টোবর রায়ের জন্য ধার্য তারিখে আসামিদের বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ এনে চার্জ সংশোধনের আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। তাই আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার মূল অভিযোগের সঙ্গে দণ্ডবিধির ১২০ (বি) ধারায় ঘটনায় ষড়যন্ত্রের নতুন অভিযোগ এনে চার্জ সংশোধনের আবেদন করা হয়। এজন্য মামলাটিতে নতুন করে সাক্ষ্যগ্রহণ হচ্ছে। আজ সাক্ষ্য দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশেমর পরিদর্শক মশিউর রহমান। আগামী ৩১ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

২০১৫ সালের ৩০ মার্চ রাজধানীর তেজগাঁওয়ের বেগুনবাড়ীর দিপীকা মোড়ে ওয়াশিকুর রহমানকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পালানোর সময় দুই হামলাকারীকে আটক করে তৃতীয় লিঙ্গের লোকজন ও এলাকাবাসী।

এ ঘটনায় ওয়াশিকুর রহমানের ভগ্নিপতি মনির হোসেন মাসুদ বাদী হয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় একটি মামলা করেন। ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক মশিউর রহমান।

ওয়াশিকুর রহমান মতিঝিলের ফারইস্ট অ্যাভিয়েশন নামে একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে ট্রেইনি অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি বাবা টিপু সুলতানের সঙ্গে বেগুনবাড়ীর ৪/৩-এ ভবনের দ্বিতীয় তলায় একটি কক্ষে সাবলেট থাকতেন। তাদের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার উত্তর হাজীপুরে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App