×

জাতীয়

ট্যুরের টাকার জন্য নানাকে খুন: নাতি-নাতনির দোষ স্বীকার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০২২, ১০:২৩ পিএম

ট্যুরের টাকার জন্য নানাকে খুন: নাতি-নাতনির দোষ স্বীকার

ফাইল ছবি

ট্যুরের টাকার জন্য রাজধানীর চকবাজারে হাজী মুনসুর আহম্মেদ নামে নানাকে খুন করার মামলায় গ্রেপ্তার নাতি শাহাদাত মুবিন আলভী ও নাতনি আনিকা তাবাসসুম আদালতে দোষ স্বীকার করেছেন।

বুধবার (২৩ নভেম্বর) এই দুই আসামিকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর আসামিরা নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিতে চাইলে ১৬৩ ধারায় তা গ্রহণ করেন আদালত।

অন্যদিকে এ মামলায় আটক বাকি তিন আসামি তথা- আনিকার বয়ফ্রেন্ড আবু সুফিয়ান রাজু ও রাজুর ভাই রায়হান ও তাদের ফুফাতো ভাই সাঈদকে এদিন আদালতে হাজির করা হয় নি।

এদিন আনিকা ও আলভির বাবা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়োজিত ডা. মাকসুদুর রহমান ও মা আজিমপুর গার্লস স্কুলের সিনিয়র শিক্ষিকা আদালতে আসেন। অন্যদিকে আনিকার বয়ফ্রেন্ড রাজু ও তার ভাই রায়হানের বাবা বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিবও উপস্থিত ছিলেন।

আনিকা ও আলভীর মা ভোরের কাগজকে কেঁদে বলেন, আমি সব হারালাম। বাবাকে হারালাম, আর এখন আমার দুই ছেলে মেয়েকে হারাতে বসেছি। আমরা এখন অসহায়।

রাজুর বাবা বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব আব্দুর রহমান বলেন, আনিকার সঙ্গে আমার ছেলে রাজু ৭ম শ্রেণি থেকে সম্পর্ক। ইন্টার পড়ার পর আমার ছেলের আর পড়ালেখা করেনি। আনিকাকে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে সেই নিয়ে যাওয়া আসা করতো। তবে আমার ছেলে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত না। মামলার তদন্ত হলেই বের হয়ে যাবে।

এরআগে, গতকাল মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর বকশিবাজার, চাঁদপুর আর মুন্সিগঞ্জ থেকে মুনসুর আহম্মেদের দুই নাতি ও নাতনির বয়ফ্রেন্ডসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে চকবাজার থানা পুলিশ।

পুলিশ জানায়, ঘুরতে যাওয়া জন্য আসামিদের টাকার প্রয়োজন ছিল। নানার কাছে ছিল নগদ টাকা। সেই টাকা নেয়ার জন্য ডাকাতির পরিকল্পনা করে তারই দুই নাতি-নাতনি। পরিকল্পনায় যুক্ত হয় নাতনির বয়ফ্রেন্ডসহ কয়েকজন। চেতনানাশক ইনজেকশন দিয়ে অচেতন করে টাকা-পয়সা নেয়ার পরিকল্পনা করেন তারা।

এ পরিকল্পনা এক মাস আগে হয় তাদের। বাসা ফাঁকা থাকার সুযোগ খুঁজছিলেন তারা। এ সুযোগটি আসে ১৭ নভেম্বর রাতে। পরিবারের সদস্যরা চাঁন কমিউনিটি সেন্টারে একটি বিয়ের দাওয়াতে অংশ নিতে যায়। আনিকাও সেখানে যায়। কমিউনিটি সেন্টার থেকে তদারকি করেন আনিকা। আর বাড়ির আশপাশে থেকে আনিকার বয়ফ্রেন্ড রাজু দেখভাল হিসেবে কাজ করেন। ডাকাতি করতে বাসায় প্রবেশ করেন আনিকার ভাই আলভী, রাজুর ভাই রায়হান এবং সাঈদ।

এরপর তারা নানা মুনসুর আহম্মেদকে অচেতন করার জন্য ইনজেকশন দিতে গেলে তিনি বাঁধা দেন। আর তখনই তাকে মারধর করেন ডাকাতি করতে আসা তরুণেরা। মারধরের একপর্যায়ে মুনসুর আহম্মেদ মারা যান। এরপর ডাকাত দলের সদস্যরা (তরুণরা) বাসা থেকে ৯২ হাজার টাকা নিয়ে যায়।

ঘটনার পর ১৯ নভেম্বর নিহতের ছেলে আসগার আহম্মেদ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় দস্যুতাসহ হত্যার মামলা করেন। কিন্তু পরে মামলার তদন্ত করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে মুনসুর আহম্মেদ হত্যায় তার পরিবারের সদস্যরা অর্থাৎ নাতি নাতনিরা জড়িত।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App