ইন্দোনেশিয়ায় ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। দেশটির পশ্চিম জাভা প্রদেশে এ আঘাত হানে ভূমিকম্পটি। এতে কমপক্ষে ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন আরও সাত শতাধিক।
হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে ইন্দোনেশিয়া সরকার। খবর রয়টার্সের।
সোমবার (২১ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ২১ মিনিটে আঘাত হানে এ ভূকম্পন।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) তথ্যানুসারে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল সিয়ানজুর এলাকা থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে এবং কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে।
সিয়ানজুরের সরকারি কর্মকর্তা হারমান সুহেরম্যান জানান, ভূমিকম্পের আঘাতে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। সিয়ানজুরে চারটি হাসপাতালে অনেক আহত ব্যক্তি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ফলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
তথাকথিত ‘প্যাসিফিক রিং অব ফায়ার’-এ অবস্থানের কারণে ইন্দোনেশিয়া অত্যন্ত ভূমিকম্পপ্রবণ একটি দেশ। গত ফেব্রুয়ারিতে দেশটির সুমাত্রা দ্বীপে ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছিলেন অন্তত ১০ জন। গত আগস্টের শেষের দিকে মাত্র দুদিনে তিনবার ভূমিকম্পে কাঁপে দ্বীপটি। গত ২৯ আগস্ট সুমাত্রায় আঘাত হানে ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প।
এর কয়েক ঘণ্টা আগে সেখানে আঘাত হানে ৫ দশমিক ২ মাত্রা ও ৫ দশমিক ৪ মাত্রার আরও দুটি ভূমিকম্প। গত ২২ আগস্ট ইন্দোনেশিয়ার ডেনপাসার এলাকায় আঘাত হেনেছিল ৫ দশমিক ৫ মাত্রার এক ভূমিকম্প। এর পরেরদিন সুমাত্রা দ্বীপে আঘাত হানে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প।
২০০৯ সালে ইন্দোনেশিয়ার পাডাং এলাকায় ৭ দশমিক ৬ মাত্রার এক ভূমিকম্পে ১ হাজার ১০০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।