×

জাতীয়

সংবিধানের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২২, ০৯:৪৭ পিএম

সংবিধানের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, সংবিধান মেনে যদি নির্বাচনে আসেন, আপনাদের স্বাগত। আর যদি না আসেন, সেই দায়ভার আপনাদের। সংবিধানের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। যারা স্বাধীনতাবিরোধী, রাজাকারদের দোসর ও পাকিস্তানের আদর্শে বিশ্বাসী তাদের কথায় সংবিধান পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই।

রবিবার (২০ নভেম্বর) নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সংসদ সদস্য আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ও ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী। সম্মেলন উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী।

মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করুক সেটা আমরা চাই। নির্বাচন হবে বর্তমান সরকারের অধীনে, সংবিধানসম্মত উপায়ে। বর্তমান কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে। নির্বাচনকে অধিক ত্রুটিমুক্ত করার কোনো পরামর্শ থাকলে দিতে পারেন। সরকার এবং নির্বাচন কমিশন অবশ্যই বিবেচনা করবে।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের শক্তি বাংলার মানুষ, এ দেশের জনগণ। আপনাদের জনসভায় কিছু সুবিধাবাদী লোক-কর্মী গেছেন, এতেই মনে করছেন একেবারে গোটা দেশ আপনাদের হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া দল। বাংলার মাটির অনেক গভীরে আওয়ামী লীগের শেকড়, কোনো ভূঁইফোড় দল নয়। আওয়ামী লীগ কচুপাতার পানি নয় যে ধাক্কা দিলে টলমল করে পড়ে যাবে। আপনাদের মতো দলের অন্দোলন করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করার স্বপ্ন দুঃস্বপ্নই থাকবে।

বিএনপিকে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা চাই দেশে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করুন। আমাদের কোনো অসুবিধা নেই, কোনো বাধা নেই।

জিয়াউর রহমান মনেপ্রাণে পাকিস্তানের আদর্শ ধারণ করতেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, জিয়া বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ক্ষমতা দখল করেছিলেন। তার কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে তিনি পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন। যার কারণে রাজাকারদের দিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করেছিলেন। কুখ্যাত রাজাকার গোলাম আজমকে রাজনীতির সুযোগ দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যা ও মা-বোনের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালানো নিষিদ্ধঘোষিত জামায়াতকে রাজনীতির সুযোগ করে দিয়েছেন।

জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশকে এখনো পাকিস্তানের তাবেদার রাষ্ট্র বানাতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী একাত্তর সালে রাজাকার ছিল, এখনো রাজাকার আছে। তারা এখনো এ দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না।

বিএনপি এবং জামায়াত একই মায়ের পেটের দুই ভাই উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই এমপি বলেন, ২০০৪ সালে ছাত্রশিবিরের এক সভায় তারেক রহমান বলেছিলেন- ছাত্রশিবির ও ছাত্রদল একই মায়ের পেটের দুই ভাই। বিএনপি-জামায়াতও একই জায়গা থেকে সৃষ্টি। জামায়াতে ইসলামীর সৃষ্টি পাকিস্তানের মওদুদীর হাতে আর বিএএনপি সৃষ্টি করেছে তাদের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। বিএনপি-জামায়াত একে অপরের পরিপূরক। তারা কখনো বিচ্ছিন্ন হবে না।

বিএনপি মহাসচিবকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপনার নেতা তারেক রহমান সন্ত্রাস ও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত। সিঙ্গাপুরের আদালত ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছে। মার্কিন ফেডারেল আদালতে মামলা আছে। বহু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। মানি লন্ডারিং, হত্যা, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে পলাতক। একজন খুনি, দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসীকে নেতা বানিয়ে দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আপনারা ছিনিমিনি খেলতে চান? এই দেশের মানুষ সেই সুুযোগ দেবে না।

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে হনিফ বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এখন শুধু বাংলাদেশের নেত্রী নন, সারাবিশ্বের মধ্যে প্রথম পাঁচজন নেতার মধ্যে একজন রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে চিহ্নিত। সেই শেখ হাসিনার কর্মী আমরা। আওয়ামী লীগের কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো শক্তি নেই আওয়ামী লীগকে পরাস্ত করতে পারে। বাংলাদেশের শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ বিশ্বাস করে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব থাকলে দেশ উন্নয়ন-অগ্রগতিতে এগিয়ে যাবে। তারা শেখ হাসিনাকে আবারও রাষ্ট্রক্ষমতায় দেখতে চায়। সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App