×

সারাদেশ

নিবন্ধন ফি দুই থেকে চারগুণ বৃদ্ধির অভিযোগ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২২, ০৫:১৪ পিএম

নিবন্ধন ফি দুই থেকে চারগুণ বৃদ্ধির অভিযোগ

ছবি: ভোরের কাগজ

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার ১নং গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এনামুল হক এর বিরুদ্ধে জন্ম নিবন্ধনে অতিরিক্ত ফি আদায় করার অভিযোগ তদন্তে গড়িমসি করার অভিযোগ উঠেছে তদন্ত কমিটির বিরুদ্ধে। এছাড়া তদন্ত কমিটি গঠনের পর তদন্ত কমিটিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিবন্ধন প্রতি অতিরিক্ত ফি আদায় দুই থেকে চারগুণ বৃদ্ধির অভিযোগও উঠেছে।

রবিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে ভুক্তভোগী উপজেলার লক্ষ্মীপুর মুন্সি বাড়ি গ্রামের ফুল মিয়ার ছেলে সাইদুজ্জামান (৪৫) স্থানীয় সাংবাদিকদের নিকট এ অভিযোগ করেন।

সাইদুজ্জামান বলেন, সরকারি নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে ১নং গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এনামুল হক প্রতি জন্ম নিবন্ধনে অতিরিক্ত ফি আদায় করে জনগণকে হয়রানি করার অভিযোগে গত ৩১ অক্টোবর সোমবার তিনি বাদী হয়ে কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

অভিযোগের পর গত ৭ নভেম্বর সোমবার উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শরীফকে আহ্বায়ক করে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের ও উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ মুশফিকুর রহমানকে সদস্য করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে তাদেরকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য চিঠি ইস্যু করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া ইসলাম লুনা। চিঠি ইস্যু হওয়ার প্রায় দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও রহস্যজনক কারণে তদন্ত কার্যক্রম শুরু না করে গড়িমসি করছে তদন্ত কমিটি।

গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়ন পরিষদে অতিরিক্ত ফি আদায় নিয়ে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় এ বিষয়ে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও ভাইরাল হয় জন্ম নিবন্ধনে অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয়টি। এসবের পরও ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এনামুল হক অজানা শক্তির ক্ষমতা বলে, গঠিত তদন্ত কমিটি ও প্রকাশিত সংবাদকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকারি নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে, উল্টো আগের ন্যায় প্রতি জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা আদায় করছেন বলে জানান ভুক্তভোগী সাইদুজ্জামান।

এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির সদস্য উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ মুশফিকুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক এখন পর্যন্ত তাদের নিয়ে বসেননি। তাই তদন্ত কার্যক্রম শুরু করা যায়নি।

অন্যদিকে, তদন্ত কমিটির সদস্য উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় কর্তৃক তদন্ত কমিটির একটি চিঠি পাওয়ার পর কমিটির আহ্বায়ক এখন পর্যন্ত তাদের নিয়ে বসেননি।

এছাড়া তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শরীফ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত বসা হয়নি। তবে দু-একদিনের মধ্যে কমিটির দুই সদস্যদের নিয়ে বসে কিভাবে তদন্ত করা যায় এ বিষয়ে আলোচনা করে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করা হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম লুনা বলেন, অভিযোগের পর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও তদন্ত কোনো রিপোর্ট আমার হাতে আসেনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App