×

রাজনীতি

তত্বাবধায়কের বিরোধীরা গণশত্রু : মির্জা ফখরুল

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২২, ০৫:০৯ পিএম

তত্বাবধায়কের বিরোধীরা গণশত্রু : মির্জা ফখরুল

শনিবার সিলেট আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

তত্বাবধায়কের বিরোধীরা গণশত্রু : মির্জা ফখরুল

সিলেটে বিএনপি গণসমাবেশে জনসমাগম। ছবি: ভোরের কাগজ

তত্বাবধায়কের বিরোধীরা গণশত্রু : মির্জা ফখরুল

শনিবার সিলেট আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: ভোরের কাগজ

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, যে সংবিধান তুমি ১০ বার কাটা ছেঁড়া করে নিজের নিজের মতো তৈরি করেছো সেই সংবিধান আমরা মানি না। নির্বাচন হবে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে, যার বিধান খালেদা জিয়া সংবিধান সন্নিবেশ করেছিলেন। যারা এর বিরোধিতা করবে তারা গণশত্রু হিসেবে চিহ্নিত হবে।

শনিবার (১৯ নভেম্বর) সিলেট বিভাগীয় গণ সমাবেশে এই হুঁশিয়ার দেন তিনি৷ জেলা সভাপতি আব্দুল কাইমুয় চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ইমরান আহমেদ চৌধুরী, মহানগর সদস্য সচিব মিফতাহ সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, ফজলুর রহমান, তাহসিনা রুশদীর লুনা, এনামুল হক, কেন্দ্রীয় নেতা মাহুবব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাখাওয়াত হাসান জীবন, এম নাসের রহমান, জি কে গাউস, কলিম উদ্দিন মিলন, শাম্মী আখতার, নিলোফার চৌধুরী মনি, আবদুর রাজ্জাক, আবদুল কাহের শামীম, মিজানুর রহমান চৌধুরী, ফয়সাল চৌধুরী, সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, মহানগর আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

[caption id="attachment_383933" align="aligncenter" width="700"] সিলেটে বিএনপি গণসমাবেশে জনসমাগম। ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]

দুপুর ২ টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা সকাল সোয়া ১১ টায় শুরু হয়। মূল মঞ্চে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি সম্মান দেখিয়ে একটা চেয়ার ফাঁকা রাখা হয়। চেয়ারে ছিল খালেদা জিয়ার ছবি। সমাবেশ ঘিরে বাধা এবং উত্তেজনা থাকলেও শান্তিপূর্ণভাবে তা শেষ হয়। জ্বালানি তেল ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি, দলীয় নেতা-কর্মী হত্যার প্রতিবাদ খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশে মাঠে তার আশ-পাশের পুরো দেড় কিলো মিটার এলাকায় নেতা-কর্মীদের ভিড়ে সমাবেশ জনসমু্দ্রে পরিণত হয়।

এদিন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মাঠে না থাকলেও তারা ছিলেন বেশ সতর্ক। গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে শুধু সমাবেশস্থল নয় পুরো শহরজুড়ে বেশ সতর্ক ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্রতিটি মোড়ে মোড়ে ছিল অতিরিক্ত পুলিশ। এছাড়া বিভিন্ন সড়কে টহল দেয় পুলিশ।

সকাল থেকে মহানগরের বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড থেকে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে থাকে। একপর্যায়ে তারা আর মাঠের ভেতর প্রবেশ করতে পারেনি। পরে তারা মাঠের পাশের সড়কে অবস্থান নেয়। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি পূর্বে চৌহাট্রা মোড় ছাড়িয়ে যায়‌। আর পশ্চিমে রিকাবিবাজার পর্যন্ত ছিল নেতাকর্মীদের ভিড়। স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেওয়ার সময় তাদের সমর্মকরা মুহুর্মুহু স্লোগানে দেয়।

সমাবেশ প্রস্তুতি কমিটির প্রধান উপদেষ্টা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মইন খান বলেন, আজ শুধু সিলেট নয়, সারাদেশে অন্যায় জুলুম হামলা মামলা চলছে। সিলেট জেগে উঠেছে, সারাদেশ জেগে উঠেছে। বাংলাদেশে আর কোন অন্যায় চলবে। এদেশে আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবো।

সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বিএনপির স্হায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি সমাবেশ করতে যে টাকা খরচ হয়, সরকার তার চারগুন টাকা খরচ করে সমাবেশ পন্ড করতে। কিন্তু প্রতিবারই তারা ব্যার্থ হয়।

সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, উন্নয়নের নামে যে পরিমান অর্থ ঝণ করেছেন তার সুধের টাকাও সরকারী কোষাগারে নেই। জনগণকে সব হিসাব দিতে হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App