×

মুক্তচিন্তা

সমুদ্র বিজ্ঞান দশক বাস্তবায়ন ও বাংলাদেশের সম্ভাবনা

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২২, ১২:৩৬ এএম

সমুদ্র বিজ্ঞান দশক বাস্তবায়ন ও বাংলাদেশের সম্ভাবনা

আমাদের এই পৃথিবীর মোট পৃষ্ঠতলের ৪ ভাগের ৩ ভাগই পানিতে নিমজ্জিত থাকে। চন্দ্র-সূর্যের আকর্ষণ ও পৃথিবীর ঘূর্ণন এই বিশাল জলরাশিকে সর্বদা প্রবহমান রাখে। লবণাক্ত পানির এই সমুদ্র সমগ্র পৃথিবীর লাখো কোটি বছরের আবর্জনাকে সম্পদে পরিণত করেছে। এই অসীম সম্পদের সঠিক ব্যবহারই মানব জাতির টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করবে। বিজ্ঞানভিত্তিক সমুদ্র ব্যবস্থাপনাই সমুদ্র সম্পদের পরিমিত ও দক্ষ ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারে। এই লক্ষ্যেই জাতিসংঘ কর্তৃক প্রণীত হয় এসডিজি-২০৩০ অভিলক্ষ্য-১৪ (পানির নিচের জীবন)। এই অভিলক্ষ্য অর্জনে জাতিসংঘ সমুদ্র বিজ্ঞান দশক ২০২১-২০৩০ ঘোষণা করে। ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার সমুদ্রসীমা নিয়ে বাংলাদেশও এর গর্বিত অংশীদার। সমুদ্র বিজ্ঞান দশকের অর্জন মূলত ৭টি ফলাফলের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে। দূষণমুক্ত, স্বাস্থ্যকর, উৎপাদনশীল, অনুমেয়, নিরাপদ, অবারিত এবং অংশগ্রহণমূলক সমুদ্রই হবে এই দশকের মূল অর্জন। এ লক্ষ্যে বিশদ সমুদ্র বিজ্ঞান দশক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে সমুদ্র বিজ্ঞান দশকের লক্ষ্যগুলো। সমুদ্র বিজ্ঞান দশক বাস্তবায়নে সাধারণ প্রতিবন্ধকতাগুলো জাতিসংঘ কর্তৃক ইতোমধ্যে নির্ণয় করা হয়েছে। সমুদ্র বিজ্ঞান দশকের উদ্ভব ঘটে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০-এর অভিলক্ষ্য-১৪ (পানির নিচের জীবন) অর্জনের লক্ষ্যে, যা প্রত্যক্ষভাবে বিজ্ঞানভিত্তিক সমুদ্রের সঙ্গে সম্পর্কিত। আইওসি-ইউনেস্কোর নির্বাহী সচিব ভ¬াদিমির রায়াবাইনিন জুলাই ২০১৯ সালে একটি প্রবন্ধ রচনা করেন, যা ফ্রন্টায়ার ইন মেরিন সাইন্স জার্নালে (ভলিউম ৬, প্রবন্ধ ৪৭০) প্রকাশিত হয়। ওই প্রবন্ধে তিনি এবং সহযোগী লেখকরা সমুদ্র বিজ্ঞান দশকের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব তুলে ধরেন। এরই ধারাবাহিকতায় জাতিসংঘ ঘোষণা করে সমুদ্র বিজ্ঞান দশক ২০২১-২০৩০। এছাড়া এসডিজি ২০৩০-এর অন্তত ১০টি অভিলক্ষ্য পরোক্ষভাবে সমুদ্র বিজ্ঞান দশক ২০২১-২০৩০-এর কর্ম পরিকল্পনার সঙ্গে সম্পর্কিত। দূষণমুক্ত সমুদ্র দ্বারা এসডিজি-২০৩০-এর অভিলক্ষ্য-১ (দারিদ্র্যমুক্ত) ও ২ (ক্ষুধামুক্ত), স্বাস্থ্যকর সমুদ্র দ্বারা অভিলক্ষ্য-৩ (সুস্বাস্থ্য), ৪ (মানসম্পন্ন শিক্ষা) ও ৫ (লিঙ্গ সমতা), সামুদ্রিক উৎপাদনশীলতা দ্বারা অভিলক্ষ্য-৭ (সুলভ্য শক্তি), ৮ (অর্থনৈতিক উন্নতি) ও ১০ (বৈষম্য দূরীকরণ), অনুমেয় এবং নিরাপদ সমুদ্র দ্বারা অভিলক্ষ্য-১১ (টেকসই নগর ও সমাজ) ও ১৩ (জলবায়ু কার্যক্রম) অর্জন সম্ভব হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের সমুদ্র এবং এর সম্পদের ওপর অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য ১৯৭৪ সালে আঞ্চলিক সমুদ্র আইন ‘টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস এন্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট ১৯৭৪’ ঘোষণা করেন। এটি ছিল একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ, কারণ জাতিসংঘের সমুদ্র আইন বিল প্রথম পাস হয় ১৯৮২ সালে, যা ইউএনসিএলওএস-১৯৮২ নামে পরিচিত। মূলত ১৯৭৪ সালের এই আইনটি প্রণয়নের মাধ্যমে উপকূলীয় সামুদ্রিক সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, দূষণ নিয়ন্ত্রণ, উপকূলীয় এলাকা ব্যবস্থাপনা, মেরিন সংরক্ষিত এলাকা, শিপিং, ফিশারিজ এবং মেরিটাইম গভর্ন্যান্সের প্রতিটি বিষয় নির্ধারণ করা সহজতর হয়েছে। এ আইনটি আমাদের বিভিন্ন মেরিটাইম জোনসের সমুদ্রসীমা নির্ধারণে একটি রোডম্যাপ। এ আইনে সমুদ্রে আমাদের অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কে বলার পাশাপাশি মেরিটাইম নিরাপত্তার জন্য নীতি নির্ধারণও করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় জাতির পিতার সুযোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে ২০১২ সালে মিয়ানমারের সঙ্গে এবং ২০১৪ সালে ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি হওয়ায় মোট ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটারের টেরিটোরিয়াল সমুদ্র এলাকায় বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। এছাড়া ২০০ নটিক্যাল মাইল একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল ও চট্টগ্রাম উপকূল থেকে ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপানের তলদেশে সব ধরনের প্রাণিজ-অপ্রাণিজ সম্পদের ওপর বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। বঙ্গোপসাগরের সমুদ্র সম্পদ বাংলাদেশকে যেমন দিতে পারে আগামী দিনের জ্বালানি নিরাপত্তা, তেমনি বদলে দিতে পারে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবয়ব। সমন্বিত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার প্রণয়ন করেছে ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০। নদী বিধৌত বাংলাদেশ মূলত একটি পলি ভরা ব-দ্বীপ। পদ্মা, মেঘনা আর যমুনা নদীর মিলনস্থলে গড়ে উঠেছে পৃথিবীর বৃহত্তম গতিশীল এ ব-দ্বীপ। এদেশে রয়েছে ছোট-বড় প্রায় ৭০০ নদ-নদী। যার মধ্যে ৫৭টি আন্তঃদেশীয় নদী (৫৪টি ভারতের সঙ্গে, ৩টি মিয়ানমারের সঙ্গে)। প্রতি বছর প্রবাহিত এসব নদীতে পলির পরিমাণ হয় প্রায় ১.০-১.৪ বিলিয়ন টন। ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০তে দেশের আটটি হাইড্রোলজিক্যাল অঞ্চলকে ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করে প্রতিটি অঞ্চলের প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত ঝুঁকির মাত্রার ওপর গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। এর ফলে একই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত ঝুঁকির সম্মুখীন জেলাগুলোকে একেকটি গ্রুপের আওতায় আনা হয়েছে, যাকে ‘হটস্পট’ (পানি ও জলবায়ু উদ্ভূত প্রায় অভিন্ন সমস্যাবহুল অঞ্চল) হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা, নদী ভাঙন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং দেশের অভ্যন্তরে লবণাক্ততার অনুপ্রবেশ, বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ¡াস, জলাবদ্ধতা, পলি জমা ইত্যাদি মোকাবিলা এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের মাধ্যমে চরম দারিদ্র্য দূরীকরণ ও ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ব-দ্বীপ পরিকল্পনা স্বল্প ও মধ্যমমেয়াদি পরিকল্পনাগুলোর মধ্যে সমন্বয় করবে। মূলত তিনটি ধাপে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। প্রথম ধাপে ২০৩০ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্য দূরীকরণ। প্রথম পর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য ৮০টি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৫টি ভৌত অবকাঠামো সংক্রান্ত এবং ১৫টি প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ও দক্ষতা উন্নয়ন এবং গবেষণা বিষয়ক প্রকল্প। দ্বিতীয় ধাপে ২০৫০ এবং তৃতীয় ধাপে ২১০০ সাল পর্যন্ত পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন করা হবে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রায় দুই বছর ধরে গবেষণার পর বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের একান্ত সমুদ্র এলাকায় গ্যাস হাইড্রেট ছাড়াও ২২০ প্রজাতির সি-উইড, ৩৪৭ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, ৪৯৮ প্রজাতির ঝিনুক, ৫২ প্রজাতির চিংড়ি, ৫ প্রজাতির লবস্টার, ৬ প্রজাতির কাঁকড়া এবং ৬১ প্রজাতির সি-গ্রাস চিহ্নিত করা হয়েছে। মেরিন ও উপকূলীয় অঞ্চলে সব প্রকার সামুদ্রিক সম্পদ আহরণ, বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল, জ্বালানি, পর্যটন ইত্যাদি ঘিরে কর্মসংস্থান ও প্রবৃদ্ধির নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের অধিকৃত জলসীমায় সমুদ্রে ও তলদেশে গ্যাস-হাইড্রেট বা মিথেন গ্যাসের একটি জমাট স্তর এবং এর অবস্থান, প্রকৃতি ও মজুতের ব্যাপারে একটি প্রাথমিক ধারণা পাওয়া গেছে। এ ধারণা অনুযায়ী বাংলাদেশের একান্ত অর্থনৈতিক এলাকায় ০.১১-০.৬৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট সম্ভাব্য প্রাকৃতিক গ্যাস হাইড্রেট জমার অনুমান পাওয়া গেছে, যা ১৭-১০৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট প্রাকৃতিক গ্যাস মজুতের সমান। এ বিপুল পরিমাণ গ্যাস হাইড্রেটের উপস্থিতি ও মজুতের সমূহ সম্ভাবনা আগামী শতকে বাংলাদেশের জ্বালানি খাতের সামগ্রিক চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। সমুদ্র বিজ্ঞান দশকের সুফল পেতে হলে আমাদের বঙ্গোপসাগর ভিত্তিক সময়াবদ্ধ বিশদ কর্মপরিকল্পনা নিতে হবে। এরই অংশ হিসেবে গত ১৭ নভেম্বর ঢাকার খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি আয়োজন করে আন্তর্জাতিক সেমিনার, যার প্রতিপাদ্য ‘ইউএন-সমুদ্র বিজ্ঞান দশক- বাংলাদেশের করণীয়’। সেমিনারে দেশি-বিদেশি সমুদ্র বিজ্ঞানবিষয়ক শিক্ষক, গবেষক, পেশাজীবী, অংশীজন, নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণ করা হয়। সেমিনারে ৯টি আমন্ত্রিত প্রবন্ধ এবং ১২টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপিত হয়। শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সমুদ্রবিষয়ক গবেষণা ও উদ্ভাবনী চিন্তা নিয়ে ছিল দিনব্যাপী পোস্টার প্রদর্শনী। প্রবন্ধগুলোর মধ্যে সমুদ্র বিজ্ঞান, সমুদ্র সম্পদ আহরণ ও গবেষণা, সমুদ্র সম্পদের পরিমিত ব্যবহার, সমুদ্রের পরিচর্যা, সমুদ্র জ্ঞান অন্বেষণ, মেরিন বায়োটেকনোলজি, বিলুপ্তপ্রায় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, জ্বালানি নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয় উল্লেখযোগ্য। সমুদ্র বিজ্ঞান দশককে ঘিরে আমাদের এখনই পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোর কার্যকারিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক গবেষণা পরিচালনা, জাহাজ নির্মাণ শিল্পে দক্ষ জনবল জোগান দেয়া, সমুদ্র থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি আহরণের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা, সমুদ্রের খনিজসম্পদের পরিমাণ নির্ণয় করা, সমুদ্রভিত্তিক পর্যটনের সম্ভাব্যতা যাচাই, সমুদ্রে ভূমি পুনরুদ্ধার ব্যবস্থাপনার উন্নতি সাধনের মাধ্যমে সমুদ্র বিজ্ঞান দশকের সুফল মিলবে। এছাড়া প্রাণিজ প্রোটিনের চাহিদা পূরণে সামুদ্রিক মাছ সঠিক পরিমাণে আহরণ নিশ্চিত করতে প্রযুক্তি, উন্নত জাহাজ এবং দক্ষ জনবল প্রস্তুত করার মাধ্যমে এসডিজি ২০৩০-এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে। সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ অঞ্চলে ফিশ ফার্মিং করে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ থেকে ওষুধের কাঁচামাল আহরণ করা, আধুনিক পদ্ধতিতে লবণের চাষ করে লবণকে দেশের অন্যতম রপ্তানি পণ্যে রূপান্তর করা, সমুদ্রের তলদেশ থেকে ভারী ধাতু ও আকরিক আহরণের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করার মাধ্যমে নতুন এক রপ্তানি খাত তৈরি করা সম্ভব। সমুদ্র বিজ্ঞান গবেষণা ও দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটিসহ অন্যান্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও একাডেমিগুলো অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। স্বাধীনতার খুব অল্প সময়ের মধ্যে এই দেশের জন্য জাতির পিতার নেয়া প্রতিটি পদক্ষেপ আজ আর স্বপ্ন নয়, বাস্তব। তার সেই স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনের জন্য তারই সুযোগ্য কন্যার হাত ধরে বাংলাদেশ ধাবমান উন্নয়নের সিঁড়িতে। এই উন্নয়নে প্রয়োজন দেশের জনগণের সহযোগিতা ও পরিপূর্ণ আস্থা। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে ঈর্ষণীয় সাফল্য লাভের পর বাংলাদেশ এখন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দৃঢ় প্রত্যয়ে যাত্রা শুরু করেছে। সীমিত সম্পদ এবং সীমাবদ্ধ সরকারি খাতের সঙ্গে অন্যান্য প্রতিকূলতার মোকাবিলা করে দৃঢ় সংকল্প ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশ এসডিজি-২০৩০ বাস্তবায়নে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আগামী দিনের বাংলাদেশ হবে সুখী-সমৃদ্ধিশালী এক উন্নত বাংলাদেশ।

ড. মো. আবুল হোসেন : সহকারী অধ্যাপক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App