×

জাতীয়

দুর্ভিক্ষ নয়, সীমিত খাদ্য সংকট হতে পারে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২২, ১০:০১ পিএম

দুর্ভিক্ষ নয়, সীমিত খাদ্য সংকট হতে পারে

সানেমের নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান

দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা কম হলেও অল্প সময়ের জন্য কোনও কোনও জায়গায় খাদ্য সংকট হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম)-এর নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সানেম আয়োজিত ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি : উদ্বেগের জায়গা ও করণীয়’ শীর্ষক অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।

সানেমের নির্বাহী পরিচালক বলেন, দেশে দুর্ভিক্ষ হবার আশঙ্কা কম। তবে দুর্ভিক্ষের কথা বারবার বললে আতঙ্ক তৈরি হয়। এতে একটি গোষ্ঠী সুযোগ নিতে পারে। দুর্ভিক্ষ না হলেও সাময়িক সময়ের জন্য কোনও কোনও জায়গায় খাদ্য সংকট হতে পারে। এমন আশঙ্কা থাকলে আগে থেকেই ব্যবস্থা নিতে হবে। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম)-এর নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান এমন মতামত দিয়েছেন।

খাদ্যসংকট থেকে রক্ষা পাবার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রচুর পরিমাণে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে হবে, আমদানির বিকল্প বাজার খুঁজে বের করতে হবে যেন এক বাজার বন্ধ হলেও অন্য বাজার থেকে আমদানির মাধ্যমে খাদ্যঘাটতি মোকাবেলা করা যায়। তাছাড়া কঠোরেভাবে বাজার মনিটর করতে হবে এবং সামাজিক নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে।

সেলিম রায়হান বলেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও প্রকৃত মজুরি কমে যাওয়ায় খাদ্যনিরাপত্তায় ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। তবে দেশে দুর্ভিক্ষ হওয়ার আশঙ্কা কম। গত ১১ মাসে রিজার্ভ গড়ে ১০০ কোটি ডলার কমেছে। রফতানি ও প্রবাসী আয়েও সামনের দিনে সুখবর নেই। পণ্য আমদানির ঋণপত্র কমেছে। তার মধ্যে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও মধ্যবর্তী কাঁচামাল আমদানি কমে যাওয়ায় চলতি অর্থবছরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান কমবে। বিদেশি ঋণের কাঠামোও পরিবর্তন হচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে রফতানি ও প্রবাসী আয় না বাড়লে কয়েক বছর পর এই ঋণ পরিশোধের জন্য অর্থনীতিতে বাড়তি চাপ তৈরি হবে।

মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে সানেমের নির্বাহী পরিচালক বলেন, মূল্যস্ফীতির চাপ শুধু বাংলাদেশের নয়, অনেক দেশেরই আছে। কোনও কোনও দেশের মূল্যস্ফীতির হার ২০ শতাংশেরও বেশি। তবে অনেক দেশ আছে যাদের মূল্যস্ফীতির হার বাংলাদেশের তুলনায় অনেক কম। বছরের শুরুতে জানুয়ারিতে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি ছিল যেখানে ৫ দশমিক ৮৬, সেখানে ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়ার মূল্যস্ফীতি ছিল ২ শতাংশ। বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে এসে ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার মূল্যস্ফীতির হার যেখানে যথাক্রমে ৪ দশমিক ৩ ও ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ সেখানে বাংলাদেশের ৮ দশমিক ৯ শতাংশ।

তিনি বলেন, ‘আগস্টে দেশে মূল্যস্ফীতির হার সর্বোচ্চ পর্যায়, ৯ দশমিক ৫২ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল। সে হিসেবে বাংলাদেশের তুলনায় ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার মূল্যস্ফীতি প্রায় অর্ধেক। একই জায়গায় জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে ভারতের মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক ৭৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৭৭ শতাংশে।’

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App