×

জাতীয়

ই-পাসপোর্ট ও ই-গেট হয়েছে, ই-ভিসাও চালু হবে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২২, ০৮:৫০ এএম

ই-পাসপোর্ট ও ই-গেট হয়েছে, ই-ভিসাও চালু হবে

ছবি: সংগৃহীত

দেশের সব স্থলবন্দরে ক্রমান্বয়ে ই-গেট স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। একই সঙ্গে দেশে স্বল্পসময়ের মধ্যে ই-ভিসা চালু হবে বলে জানান তিনি। গত মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইলেকট্রনিক গেটের (ই-গেট) উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা জানান। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা এমআরপি করেছিলাম। এরপর ই-পাসপোর্ট করি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা ই-পাসপোর্ট প্রকল্প নিয়েছিলাম। জার্মানের ভেরিডোজ কোম্পানি এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। তখন অনেকে বলেছিলেন- লাখ লাখ লোক যারা বিদেশে আছেন, তাদের হয়তো পাসাপোর্ট আমরা দিতে পারব না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সেই পাসপোর্ট সবার হাতে পৌঁছে দিয়েছেন।

এখন প্রতিদিন ২০ হাজার ই-পাসপোর্ট প্রিন্ট করছি। ইতোমধ্যে ঢাকায় ২৬টি ই-গেট চালু করেছি। চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ছয়টি ই-গেটের উদ্বোধন করা হয়েছে। ই-গেট সেবা দেশি ও বিদেশিরা সহজে এ সেবা নিতে পারবেন। যাদের ই-পাসপোর্ট আছে তারা সহজে পার হয়ে যাবেন। চট্টগ্রামবাসীর জন্য এটি প্রধানমন্ত্রীর উপহার।

শুধু এখানেই দেশের সব স্থলবন্দরেও ক্রমান্বয়ে ই-গেট স্থাপন করা হবে। আগামী দিনে ই-ভিসাও চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। খুব অল্পসময়ের মধ্যে ই-ভিসা চালু করব। এই সেক্টরকে আমরা পুরোপুরি ডিজিটালাইজড করতে যাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যার নির্দেশনায় এবং সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। এরই ধারাবাহিকতায় দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ তার নাগরিকদের জন্য ই-গেট ও ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন করেছে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. নূরুল আনোয়ার বলেন, ই-গেটের মাধ্যমে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া ডিজিটাল হবে। শুধু ভিসা যাচাই প্রক্রিয়া কিছুটা ম্যানুয়াল থাকছে। ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় পাসপোর্ট ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় ই-গেট স্থাপনের কাজ চলছে। ঢাকায় এখন পর্যন্ত ৫৭ হাজার যাত্রী এ সেবা নিয়েছে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ই-গেটে ইমিগ্রেশন পুলিশ স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ই-পাসপোর্টধারীদের তথ্য যাচাই করে ইমিগ্রেশন শেষ করতে পারে। এসব গেটে ই-পাসপোর্ট যাচাই, পাসপোর্টে থাকা বায়োমেট্রিক ও ব্যক্তিগত তথ্য যাচাই এবং সামগ্রিক ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সমন্বিতভাবে করা সম্ভব। একজন ই-পাসপোর্টধারী কারো সহযোগিতা ছাড়া মাত্র ১৮ সেকেন্ডে ডকুমেন্ট যাচাই করে ইমিগ্রেশন শেষ করতে পারবেন। একজন যাত্রী ই-পাসপোর্টের প্রথম পাতা স্ক্যানিং মেশিনের ওপর স্থাপন করলে এবং স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে শনাক্তকরণ হলে প্রথম গেটটি খুলবে। স্ক্যানিং মেশিনের শনাক্তকরণ ক্যামরার মাধ্যমে ছবি ধারণ এবং এরপর পরিচয় নিশ্চিত হলে বহির্গমন গেটটি খুলে যাবে।

অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য এম এ লতিফ ও আবু রেজা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী, বিভাগীয় কমিশনার আশরাফ উদ্দিন, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় এবং পাসপোর্ট অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক আবু সাইদ উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশেই প্রথম এ ধরনের গেট স্থাপন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব বিমানবন্দর এ সুবিধার আওতায় আসবে। ই-গেট চালুর মাধ্যমে নতুন যুগে প্রবেশ করল শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। প্রথম ধাপে বিদেশ ফেরতদের জন্য তিনটি এবং বিদেশগামীদের জন্য তিনটিসহ মোট ৬টি গেট স্থাপন করা হয়েছে এখানে।

২০২০ সালে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ই-পাসপোর্ট যুগে প্রবেশ করে বাংলাদেশ- যা দক্ষিণ এশিয়াতেই প্রথম। এ পাসপোর্টের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত শক্তিশালী। এখন থেকে আন্তর্জাতিক যাতায়াতের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নাগরিকদের ভোগান্তিহীন যাতায়াত নিশ্চিত হবে। বর্তমানে দেশের স্থল ও বিমানবন্দরের মধ্যে ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে মোট ৩৮টি ই-গেট স্থাপন করা হয়েছে। প্রক্রিয়াধীন রয়েছে আরো ১২টি ই-গেটের কাজ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App