×

সারাদেশ

স্ট্রোক করেই আজমলের মৃত্যু

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০২২, ১০:১৬ এএম

স্ট্রোক করেই আজমলের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতাদের ওপর হামলা ও একজনের মৃত্যুর ঘটনায় জেলাব্যাপী শুরু হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। এক পক্ষের দাবি, নিহত আজমল হোসেন ওরফে আরমান সম্মেলন স্থলে ছিলেন এবং তিনি পিঠে ইটের আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আহত হন। কিন্তু তৎক্ষণাৎ তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়নি। যদিও পরিবার, পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য ভিন্ন। দিরাই থানার পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, নিহত আজমল হোসেন স্ট্রোক করে মারা গেছেন।

পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করছেন স্থানীয় সচেতন মহল। তারা বলছেন, যেখানে হাসপাতালে নেয়ার আগেই আজমলের মৃত্যু হয়েছে সেখানে ময়নাতদন্ত ছাড়া হাসপাতাল ও পুলিশ কর্তৃপক্ষ কিভাবে বলছেন স্ট্রোকে আজমলের মৃত্যু হয়েছে?

এদিকে, আজমলের পরিবার ঘটনার দিন তার মৃত্যুর বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য দেয়নি। কিন্তু কোনো কোনো গণমাধ্যমে বলা হয়েছে- ইটের আঘাতে আজমলের মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে মৃত আজমল হোসেনের বড় বোনের ছেলে উপজেলার চণ্ডিপুর গ্রামের রোম্মান আহমদ মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে ভোরের কাগজকে জানিয়েছেন, আমার মামা কোনো আঘাতে মারা যাননি। তিনি স্ট্রোক করে মারা গেছেন। কারো প্রতি আমাদের কোনো অভিযোগ নেই। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টায় উনার গ্রামের বাড়ি উপজেলার কুলঞ্জ গ্রামে নামাজে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়েছে।

অন্যদিকে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক আওয়ামী লীগ কর্মীর মৃত্যুর খবর সোমবার বিকাল ৪টার পর থেকেই দিরাই শহরে ছড়িয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিক বিবদমান দুপক্ষই আজমলকে নিজেদের কর্মী দাবি করে। সাবেক পৌর মেয়র মোশারফ মিয়া বলেন, ছেলেটি তার মিছিলে ছিল, বুকের বামপাশে ইট এসে পড়ায় গুরুতর আহত হয় সে। পরে হাসপাতালে গিয়ে মারা যায়।

তবে মঞ্চে থাকা জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এড. নূরে আলম সিদ্দিকী উজ্জ্বল দাবি করেন, দিরাইয়ের নেতারা তাকে জানিয়েছেন, মিছিলে নয়, এই ছেলেটি আগে থেকেই মঞ্চের পাশে দাঁড়ানো ছিল। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান বক্তব্য দেবার সময় এক কর্মীর মৃত্যুর ঘটনার কথা উল্লেখ করেন।

দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) সাইফুল আলম হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আজমল হোসেন মারা গেছেন জানিয়ে বললেন, সে আওয়ামী লীগের কর্মী কিনা বা সমাবেশে ছিল কিনা তা আমরা জানি না। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী মেডিকেল অফিসার বেলায়েত হোসেন বলেছেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই আজমল মারা গেছেন। তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় নি। পরিবারের লোকজন তার মরদেহ নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন।

প্রসঙ্গত, সোমবার দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের এক পর্যায়ে বহিষ্কৃত আ.লীগ নেতা ও সাবেক পৌর মেয়র মোশারফ মিয়া ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রঞ্জন রায়ের নেতৃত্বে একটি মিছিল এসে মঞ্চে থাকা কেন্দ্রীয় নেতাদের ওপর হামলা করে। এরপর স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিবদমান দুগ্রুপ সংঘর্ষে জড়ায়। এতে কেন্দ্রীয় নেতাসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App