রাজনীতিতে বহুল আলোচিত শব্দ ‘খেলা হবে’ প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘কে কোথায় কী বলল না বলল, তাতে কান দেওয়ার দরকার নেই। কে খেলা বলছে না কী বলছে, বলতে দিন। আমরা আমাদের মতো অটল থাকব।’

বুধবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির উদ্যোগে ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী পালন জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুই দিনব্যাপী কর্মসূচির আজ ছিল আলোচনা সভা।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন মাহবুব উল্লাহ, দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু।

এর আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বেশ কয়েক দিন ধরেই তার বক্তৃতায় ‘খেলা হবে’ বলে আসছেন। বিএনপির আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতেই এসব কথা বলছেন তিনি। শুধু প্রকাশ্য জনসভায় নয়, জাতীয় সংসদেও এর ব্যবহার করেছেন তিনি।

এছাড়া কয়েক বছর আগে নারায়ণগঞ্জের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ‘খেলা হবে’ স্লোগান দিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন। এরপর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে এটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। এরপর ওবায়দুল কাদের সেই স্লোগান ব্যবহার করছেন। আজ নাম না উল্লেখ করলেও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সাম্প্রতিক মুখের স্লোগান নিয়ে কথা বললেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপির বিভাগীয় শহরে সমাবেশ নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সমাবেশে সাধারণ মানুষ যোগ দিচ্ছে, চিড়া–মুড়ি–গুড় নিয়ে খোলা আকাশের নিচে থাকছে। এটা অভূতপূর্ব ব্যাপার। আমরা যদি এটাকে সঠিকভাবে ধারণ করে সঠিক লক্ষ্যে নিয়ে যেতে পারি বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির জন্য, তাহলে সফল হবে।’

বিএনপির সমাবেশ ঘিরে মামলা প্রসঙ্গে দলের মহাসচিব বলেন, ‘এরা কত কাপুরুষ। প্রতিটা সমাবেশ হচ্ছে শান্তিপূর্ণ। কোথাও সমস্যা হচ্ছে না। এর মধ্যেও তারা আমাদের ৫০০–এর বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে, মিথ্যা মামলা, গায়েবি মামলা দিচ্ছে। এতে করে রোখা যাবে না। ১৫ বছর ধরে মামলা বহু দিয়েছে। বহু মানুষ গুম করেছে কিন্তু রোখা যায়নি। মানুষ আগ্নেয়গিরির মতো ফুঁসে উঠছে এবং উঠবে। এর মাধ্যমেই এ সরকারের পতন হবে এবং জনগণের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এবার আমাদের এ বিজয় অর্জন করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।’

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, কঠিন লড়াই শুরু হয়েছে। এ লড়াইয়ে জয়ী হতে হলে ভাসানীকে প্রতিমুহূর্তে স্মরণ করতে হবে। এখন রাজনীতি বদলে গেছে। একটা নষ্ট সময় চলছে। এ সময়ে মাওলানা ভাসানী যে স্মরণ করা বা অনুসরণ করার লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাঁকে নিয়ে আরও গবেষণা করতে হবে। তিনি উপমহাদেশের একজন কিংবদন্তি।