বাংলাদেশের সমস্ত অর্জনের সঙ্গে আওয়ামী লীগ জড়িয়ে আছে মন্তব্য করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, ১৯৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে শুরু করে ১৯৭৫ এবং ২০০৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রায় ১৪ বছর বাংলাদেশের সমস্ত উন্নয়ন ও অর্জনের সাথে জড়িয়ে আছে আওয়ামী লীগ সরকারের অবদান। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ছেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের মানুষকে খালি পায়ে পাওয়া যায়না, কুড়ে ঘরে দেখা যায়না, বাসি ভাত খায় পাওয়া যায়না, জোড়াতালি দেওয়া লুঙ্গিও পাওয়া যায়না। ডিজিটাল বাংলাদেশ আর স্বপ্ন নয় এখন বাস্তব। গ্রাম হয়েছে শহর। সেই উন্নয়নের দেশে বিএনপি-জামায়াতের জঙ্গিবাদ, বোমা হামলা, বাংলাভাই, সন্ত্রাস নৈরাজ্য আর চলতে দেয়া হবেনা।

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে নাটোরের গুরুদাসপুর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গুরুদাসপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এর আগে সকাল ১০টার দিকে পায়রা অবমুক্ত, দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন উড়িয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী, নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. আব্দুল কুদ্দুস এমপি।

এরপর নৌকার আদলে তৈরি করা ওই ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের মঞ্চে গুরুদাসপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছাড়াও আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এমপি, প্রধান বক্তা নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শরিফুল ইসলাম রমজান, নাটোর-১ আসনের এমপি শহিদুল ইসলাম বকুল, কেন্দ্রীয় যুব মহিলী লীগের সহসভাপতি অ্যাড. কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

দীর্ঘ ৮ বছর পর অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনে অ্যাড. আনিসুর রহমানকে সভাপতি ও আব্দুল মতিন মাস্টারকে সাধারণ সম্পাদক করে গুরুদাসপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নবগঠিত কমিটির নাম ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি ড. হাছান মাহমুদ এমপি। তিনি নাটোর জেলা আওয়ামী লীগকে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট ওই পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ আলী মোল্লা। এসময় জেলা ও উপজেলার সর্বস্তরের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মি উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মিছিলে মিছিলে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠে সম্মেলনের মাঠ। ব্যানার, পোষ্টার, ফেস্টুনে ছেয়ে যায় সম্মেলন কেন্দ্র। সম্মেলনকে ঘিরে জেলা ও উপজেলার নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। সর্বশেষ ২০১৪ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এর ৮ বছর পর মঙ্গলবার ১৫ নভেম্বর প্রায় ২০ হাজার লোকের সমাগমে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো।