×

আন্তর্জাতিক

এশিয়ার চালের বাজারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর ২০২২, ০২:৪২ পিএম

এশিয়ার চালের বাজারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

ফাইল ছবি

চলতি সপ্তাহে এশিয়ায় চালের বাজারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। শীর্ষ রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে ভিয়েতনামে চালের রপ্তানি মূল্য বেড়ে এক বছরের সর্বোচ্চ পৌঁছেছে। রপ্তানিকারক দেশগুলোর তালিকায় ১ নম্বরে থাকা ভারতে দাম অপরিবর্তিতই ছিল। তবে থাইল্যান্ডে কিছুটা বেড়েছে। ভিয়েতনামে চালের রপ্তানি মূল্য বেড়ে এক বছরের সর্বোচ্চ উন্নীত হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বছরের শেষ দিকে ঊর্ধ্বমুখী মৌসুমি চাহিদা দাম বাড়াতে সহায়তা করছে।

তথ্য বলছে, গত সপ্তাহের মতো চলতি সপ্তাহেও ফ্রি অন বোর্ড চুক্তিতে একই দামে ৫ শতাংশ ভাঙা চাল রপ্তানি করছে ভিয়েতনাম। বাজার আদর্শটির বর্তমান রপ্তানি মূল্য টনপ্রতি ৪২৫-৪৩০ ডলার। এটি ২০২১ সালের নভেম্বরের পর সর্বোচ্চ দাম।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভিয়েতনামে চালের রপ্তানি মূল্য আগামী কয়েক সপ্তাহজুড়ে একই রকম থাকবে। তবে কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। কারণ বছরের শেষ সময়ে প্রায়ই চালের চাহিদা বেড়ে যায়। এবার খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক সরবরাহে অস্থিতিশীলতা ও ইউক্রেন সংকট সত্ত্বেও চাহিদা বাড়বে বলে তাদের প্রত্যাশা।

ভিয়েতনামের সরকার সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, গত মাসে দেশটি ৭ লাখ ১৩ হাজার ৫৪৬ টন চাল রপ্তানি করেছে। এক মাসের ব্যবধানে রপ্তানি ২২ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে বছরের প্রথম ১০ মাসে দেশটির রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সময় দেশটি ৬০ লাখ টন চাল রপ্তানি করেছে। যার মূল্য ২৯৫ কোটি ডলার।

চলতি সপ্তাহে থাইল্যান্ড ৫ শতাংশ ভাঙা চাল টনপ্রতি ৪১০ ডলারে রপ্তানি করেছে। গত সপ্তাহে যা ৪০৫-৪১০ ডলারে রপ্তানি হয়েছিল। রপ্তানি বাজারে এ সময় দেশটির ৫ শতাংশ ভাঙা চালের চাহিদা ছিল নিম্নমুখী। ফলে বাজারদরে খুব বেশি পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, খুব দ্রুতই দাম কমতে পারে। কারণ আর কিছুদিন পর নতুন ধান উঠবে। সেই সঙ্গে বাজারে ঢুকবে নতুন চাল। ব্যাংককভিত্তিক এক ব্যবসায়ী বলেন, এখন ফসল উত্তোলনের সময়। ফলে সরবরাহ খুব দ্রুত এবং ধারাবাহিকভাবে বাড়বে।

চাল রপ্তানিতে বিশ্বের শীর্ষ দেশ ভারত। চলতি সপ্তাহে দেশটি ৫ শতাংশ ভাঙা সেদ্ধ চাল ৩৭০-৩৭৫ ডলারে রপ্তানি করছে। গত সপ্তাহেও একই দামে রপ্তানি করা হয়েছিল।

বাংলাদেশ একসময় তৃতীয় শীর্ষ চাল উৎপাদক দেশ ছিল। কিন্তু একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে এখন আমদানির মাধ্যমেই দেশীয় চাহিদার বড় একটি অংশ পূরণ করতে হচ্ছে। সরবরাহ সংকটের মধ্যেই বাংলাদেশ চালের বাজারদর নিয়ন্ত্রণে আনার জোর প্রয়াস চালাচ্ছে। কিন্তু নতুন করে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে দেশে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফলে বাজারে খুব সহসাই স্থিতি ফিরবে না বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।

মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছর বাংলাদেশের চাল উৎপাদন গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ শতাংশ কমতে পারে। উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াবে ৩ কোটি ৫৬ লাখ টন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App