×

জাতীয়

এলসি খোলায় নিষেধাজ্ঞা নেই

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর ২০২২, ১২:২৮ পিএম

ব্যাংকগুলো প্রতিদিনই বাণিজ্যিক ঋণপত্র (এলসি) খুলছে। তবে কিছু কিছু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, ডলারের কিছু সংকট থাকলেও এলসি খোলা বন্ধের কোনো নির্দেশনা দেয়নি তারা।

সক্ষমতা অনুযায়ী ব্যাংকগুলো পণ্যের বিপরীতে এলসি খুলছে। বাজারের চাহিদা মেটানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়মিত ডলার সরবরাহ করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জিএম আবুল কালাম আজাদ।

জরুরি এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ডাকা এ সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র সাঈদা খানম ও মো. সারওয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ষড়যন্ত্রমূলক খবর প্রচারিত হচ্ছে। সেখানে বিনিয়োগকারীদের ব্যাংকের আমানত তুলে নেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। বলা হচ্ছে- ব্যাংকগুলোতে নগদ অর্থ নেই বা তারল্য সংকট আছে, কিন্তু এটি সত্য নয়। বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা অত্যন্ত সুদৃঢ় অবস্থায় রয়েছে। ব্যাংকিং ব্যবস্থায় তারল্যের কোনো সংকট নেই। ব্যাংক ব্যবস্থায় বর্তমানে এক লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকার অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে।

তিনি জানান, ব্যাংকের তারল্য পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকের সব ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কাছে বিশেষ সতর্ক বার্তা দিয়েছে। কোনো ব্যাংকের তারল্য ব্যবস্থাপনায় কোনো ব্যত্যয় থাকলে বাংলাদেশ ব্যাংক তা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নিরসন করার পদক্ষেপ নেবে। তারল্য ব্যবস্থাপনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘রেপো ও অ্যাসিউরড লিকুইডিটি সাপোর্ট’ নীতি সর্বদা চালু রয়েছে। ব্যাংকের পরিদর্শন ও সুপারভিশন বিভাগ ব্যাপকভাবে তৎপর রয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫১ বছরে কোনো ব্যাংক বন্ধ হয়নি। আশা করা যায় আগামীতেও বাংলাদেশের কোনো ব্যাংক বন্ধ হবে না। ব্যাংকগুলোতে জনগণের আমানত সম্পূর্ণ নিরাপদ রয়েছে। ব্যাংকে জনগণের সংরক্ষিত আমানত নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু ঘটেনি।

আতঙ্কে কয়েকটি ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিচ্ছেন আমানতকারীরা। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ব্যাংকের মালিকানা পরিবর্তন হতে পারে, এমন কথা বাজারে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর আমানতকারীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। বিশেষ করে শরিয়াহভিত্তিক একটি ব্যাংক থেকে বিপুল অংকের টাকা তুলে নিয়েছেন আমানতকারীরা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App