×

জাতীয়

পানি প্রাপ্তি ও শুদ্ধাচার প্রচারে গণমাধ্যমের সক্রিয়তা জরুরি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২২, ০৮:২৪ পিএম

পানি প্রাপ্তি ও শুদ্ধাচার প্রচারে গণমাধ্যমের সক্রিয়তা জরুরি

বাংলাদেশ ওয়াটার ইন্টিগ্রিটি নেটওয়ার্ক আয়োজিত কর্মশালায় বক্তারা। ছবি: ভোরের কাগজ

২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হলে সব স্টেকহোল্ডারকে এই সংক্রান্ত জাতীয় পরিকল্পনা ও কৌশলপত্র বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করতে হবে। পানি প্রাপ্তিতে শুদ্ধাচার (ইন্টিগ্রিটি) ব্যবস্থাপনা চর্চার মাধ্যমে ওয়াসা, ডিপিএইচইসহ সব সংস্থাকে জনবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার বিকল্প নেই। এসব প্রতিষ্ঠানের জবাবদিহিতা নিশ্চিতে গণমাধ্যমকে আরো সক্রিয় হতে হবে।

সোমবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীর লালমাটিয়ায় এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথের প্রধান কার্যালয়ে ওয়াটার ইন্টিগ্রিটি নেটওয়ার্ক এবং বাংলাদেশ ওয়াটার ইন্টিগ্রিটি নেটওয়ার্ক আয়োজিত কর্মশালায় এসব কথা বলেন বক্তারা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনজিও ফোরামের নির্বাহী পরিচালক এস এম এ রশীদ এবং সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ওয়াটার ইন্টিগ্রিটি নেটওর্য়াকের (বাউইন) প্রজেক্ট ফোকাল ও কোঅর্ডিনেটর মনির মোশারফ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ওয়াশ বিশেষজ্ঞ সঞ্জয় মুখার্জী। কর্মশালায় প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার বেশ কিছু সাংবাদিক অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, পানি খাতে ইন্টিগ্রিটি নিশ্চিতকরণে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও দুর্নীতি প্রতিরোধে মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বাংলাদেশ ওয়াটার ইন্টিগ্রিটি নেটওয়ার্ক (বাউইন) হলো একটি মাল্টি-স্টেকহোল্ডার নেটওয়ার্ক, যা সরকারি সংস্থা ও এনজিওগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সবার জন্য নিরাপদ পানি প্রাপ্তিতে রাষ্ট্রকে দায়বদ্ধ করে এসডিজি অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ ওয়াটার ইন্টিগ্রিটি নেটওয়ার্ক (বাউইন) এবং এনজিও ফোরাম পানি এবং স্যানিটেশন সেক্টরের মধ্যে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, অংশগ্রহণ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধের সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম ওয়াসা, খুলনা ওয়াসা এবং রাজশাহী ওয়াসাকে জনবান্ধব ও সেবার মান উন্নত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

তারা আরো বলেন, নাগরিকদের অধিকারকে লক্ষ্য রেখে বাংলাদেশ সরকার জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল (এনআইএস) প্রণয়ন করেছে, যার রূপরেখা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ‘রাষ্ট্র ও সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠা’। সরকারের জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে গণমাধ্যম। তাই সাংবাদিকদের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বাউইন, এনজিও ফোরাম, উইন একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। এই কর্মশালার উদ্দেশ্য হলো ওয়াটার ইন্টিগ্রিটি বিষয়ে সাংবাদিকদের সচেতনা বৃদ্ধির মাধ্যমে ওয়াটার ইন্টিগ্রিটি প্রচারণায় অধিক কার্যকরী ভূমিকা রাখা।

সভাপতির বক্তব্যে এসএমএ রশীদ বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি-৬ অর্জনের জন্য সরকারের পাশাপাশি সকল বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে একযোগে কাজ করতে হবে। নিরাপদ পানি প্রাপ্তি একটি মানবাধিকার, আর এই মানবাধিকার নিশ্চিতে সাংবাদিকদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে পিছিয়ে পরা ও দুর্গম অঞ্চলের মানুষের পানির সমস্যা তুলে ধরে তা নিরসনে সাংবাদিকদের আরো উদ্যোগী হতে হবে।

জার্মানভিত্তিক ওয়াটার ইন্টিগ্রিট নেটওয়ার্কের পক্ষে মিজ রুচিকা সতিশ উপস্থিত সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বাংলাদেশের পানি সেক্টরে ইন্টিগ্রিটি প্রতিষ্ঠায় সাংবাদিক, বাউইনসহ অংশীজনদের সঙ্গে ভবিষ্যতে কর্মসূচি এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App