×

সারাদেশ

কুষ্টিয়ায় ৩ দিনেও উদ্ধার হয়নি ছিনতাইয়ের টাকা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২২, ০৬:৩৬ পিএম

কুষ্টিয়ায় ৩ দিনেও উদ্ধার হয়নি ছিনতাইয়ের টাকা

ফাইল ছবি

কুষ্টিয়ায় ৩ দিনেও উদ্ধার হয়নি ছিনতাইয়ের টাকা

ফাইল ছবি

কুষ্টিয়াতে সাম্প্রতিক কালে চুরি ছিনতাইসহ নানা অপরাধ প্রবণতা লাগামহীন হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগী ও সচেতন মহলের। শনিবার সন্ধা রাতে ধারাবাহিক এই অপরাধের মতোই আরও একটি দুর্ধর্ষ ছিনতাইয়ের ঘটনায় প্রকাশ্যে কুষ্টিয়া বড় বাজার এলাকার ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমানের ৬ লাখ ৬০হাজার টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কুষ্টিয়া মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার পর তিনদিন পেরোলেও কোনো প্রতিকার পাননি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী ওই ব্যবসায়ীর। অপরদিকে চলতি বছর গত ২ জুলাই মোবাইল বিকাশে খোয়া যাওয়া ২৮ হাজার টাকাও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশের সাইবার ক্রামই ইউনিট টিম।

অভিযোগকারী ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান বলেন, শনিবার রাত পৌনে ১০ টার সময় কুষ্টিয়া বড়বাজার এনএস রোডস্থ খন্দকার শাজাহান ষ্টোর নামের পাইকারী দোকান বন্ধ করে নগদ ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা ভর্তি একটি প্লাষ্টিক ব্যাগ হাতে নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হই। পথিমধ্যে রাজার হাট সংলগ্ন এসবি ঘোষ লেনে পৌঁছালে দুইজন মটরসাইকেল আরোহী অজ্ঞাত যুবক পিছন দিক থেকে এসে জোর পূর্বক আমার হাতে থাকা টাকার ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে দ্রুত গতিতে হরিবাসর মোড়ের দিকে চলে যায়। এঘটনার পরদিন রবিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে ঘটনার বিবরণসহ কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছি। কিন্তু এখনও ছিনতাইয়ের টাকা উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। ছিনতাই ঘটনাস্থলসহ জড়িত অজ্ঞাত ওই দুই যুবক যে রাস্তা ধরে পালিয়ে গেছে সেই রাস্তা সংলগ্ন ভবনগুলিতে প্রায় সব খানেই সিসি ক্যামেরা রাখা আছে। কিছু ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশের কাছে দেয়াও হয়েছে বলে দাবি করেন অভিযোগকারী।

কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খান বলেন,কুষ্টিয়া বড়বাজার এলাকার ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমানের টাকা ছিনতাইয়ের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার সময় অভিযোগকারী তার শ্বশুড়ের দোকানের ব্যবসার টাকা নিয়ে বাড়ি যাচ্ছিল। এসময়ই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় জড়িত অজ্ঞাত ওই দুই মটসাইকেল চালক যুবককে গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। ইতোমধ্যেই ঘটানস্থলের ক্লজ সার্কিট ক্যামেরা বা সিসি ফুটেজ পুলিশের হাতে পৌঁছেছে। শহরের অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশের ছড়িয়ে রাখা প্রযুক্তির জাল ভেদ করে কোনো ছিনতাইকারী পালিয়ে যেতে পারবে না। এঘটনায় এখনও কাউকে পুলিশ আটক করতে পারেনি তবে খুব শীঘ্রই অপরাধীরা পুলিশের জালে আটকে যাবে।

অপরদিকে গত ২ জুলাই নিজের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে ভুয়া বিকাশ নম্বর দিয়ে প্রতারণা করে জনৈক ব্যক্তির কাছ থেকে ২৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় একটি প্রতারক চক্র। এ ঘটনার সাথে সাথে ওই ব্যক্তি কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি জিডি দায়ের করে যার নম্বর ৮৫/ তাং ২/০৭/২২ খ্রী.। জিডির অনুলিপি কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট অফিসার ইচার্জের কাছেও প্রেরণ করা হয়। কিন্ত গত চার মাসেও ওই টাকা উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট বিশেষ করে প্রযুক্তি ব্যবহৃত অপরাধগুলো খুব দ্রত সময়ে ডিটেকট করে তার সমাধানের ব্যবস্থা করতে প্রয়োজনী সরঞ্জামাদী রয়েছে। দেশের বড় বড় অপরাধগুলো পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের মাধ্যমেই উদ্ধার করা হচ্ছে। কিন্তু কুষ্টিয়া পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট বিকাশের নম্বর, টাকা যাওয়া নম্বরসহ সমস্ত ডকুমেন্টেস প্রেরণ করা হলেও মাসের পর মাস ভুক্তভোগীরা কোনো উপকার পাচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ ব্যাপারে জেলা পুলিশের সাইবার ক্রামই ইউনিটের অফিসার ইনচার্জ আনিচুর রহমান জানান, এ বিষয়টি আমরা বার বার ফলোআপ করছি কিন্তু যে সিমগুলো উত্তোলন করা হয়েছে সে গুলো ফেক, ফলে ডিটেকট করা সম্ভব হচ্ছে না তবে চেষ্টায় আছি বলে তিনি জানান।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App