জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক নেই সরকারের
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২২, ০৫:৫৩ পিএম
শনিবার ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: ভোরের কাগজ
সরকার মেগা প্রকল্প থেকে শুরু করে বিধবা ভাতা পর্যন্ত চুরি করেছে
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
শনিবার (১২ নভেম্বর) ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আজকে দেশের আলেম-ওলামাদেরকে পর্যন্ত তারা হয়রানি করছে। মিথ্যা মামলায় আসামি করে তাদেরকে জেলে পাঠাচ্ছে। তাদেরকে জামিনও দিচ্ছে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকারের আমলে ১০ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে। দেশের সম্পদ লুট করে তারা বিদেশে পাচার করছে। সরকার কোথায় চুরি করেনি? মেগা প্রজেক্ট থেকে শুরু করে বেকার ভাতা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা পর্যন্ত চুরি করেছে। এখন বলছে রিজার্ভের টাকা চিবিয়ে খায়নি। আমরা বলি আপনারা রিজার্ভের টাকা চিবিয়ে নয় গিলে খেয়েছেন।
তিনি বলেন, একটা কথা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এ মুহূর্তে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ ভেঙে দিতে হবে, নিরপেক্ষ সরকার গঠন করে নির্বাচন দিতে হবে, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা এই বাংলাদেশ চাইনি। আমরা চাইনি আমাদের ছেলেরা পড়াশোনা শেষ করে হকারি করবে, মোটরসাইকেল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করবে, ভালো চাকরির ব্যবস্থা তাদের হবে না। তিনি আরও বলেন, দেশের ৪২ ভাগ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। বলা হয়েছিল, ১০ টাকা সের চাল খাওয়ানো হবে, ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়া হবে, বিনা মূল্যে সার দেওয়া হবে, তার কিছুই হয়নি। ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ নাকি গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। এটা ভূতের মুখে রাম নাম। প্রশ্ন করি, আপনাদের কাছে গণতন্ত্রের সংজ্ঞা কী? আপনাদের গণতন্ত্র মানে কি এই যে অন্য কাউকে কিছু বলতে দেব না? আ. লীগকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তারা মনে করে এ দেশ তাদের বাবার দেশ, দেশের আর সকলে চাকরবাকর। কিন্তু এ অবস্থা আর চলবে না, মানুষ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তারা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাবে না। গণসমাবেশের সভাপতিত্ব করেন ফরিদপুর নগর বিএনপির আহ্বায়ক এ এস এম কাইয়ুম। সেখানে বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন।