×

মুক্তচিন্তা

এক ডলার নোট কেন জাল হয় না?

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২২, ১২:৪২ এএম

ত্রয়োদশ শতকে চীন কাগুজে টাকা ব্যবহার করতে শুরু করল। কাগজ তৈরিতে ব্যবহার করা হতো মালবেরি গাছের কাঠ। বছর না গড়াতেই টাকা জালকারীদের নজর পড়ে মালবেরি গাছের ওপর। সরকার তখনই মালবেরি বনের চারপাশে কঠোর প্রহরা বসায় এই কাঠ চুরির শস্তি সাধারণ চুরির চেয়ে অনেকগুণ বেশি নির্ধারণ এবং টাকা জাল করার অপরাধে ধার্য হয় মৃত্যুদণ্ড। খ্রিস্ট জন্মের ৬০০ বছর আগেই ধাতব মুদ্রার প্রচলন হয়। অল্পদিনের মধ্যে মেধাবী মুদ্রা জালকারীদেরও আবির্ভাব ঘটে। ঠাট্টা করে হলেও মুদ্রা জাল করার কাজটিকে বলা হয় পৃথিবীর দ্বিতীয় প্রাচীনতম পেশা, প্রথমটি অবশ্যই দেহ ব্যবসা। দান্তের লেখাতে উল্লেখ করা হয়েছে ইতালির ফ্লোরেন্সের শাস্ত্রো আদামো নামের একজন টাকা জালকারীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়। ১৬৯০ সালে ব্রিটেনে টাকা জালকারী দম্পতি টমাস রজার্স ও অ্যান রজার্সের মৃত্যুদণ্ড হয়। টমাস রজার্সকে ফাঁসি দেওয়া হয় আর তার স্ত্রী অ্যান রজার্সকে জীবন্ত অগ্নিদগ্ধ করে হত্যা করা হয়। বেঞ্জামিন ফ্লাঙ্কলিনও বলতেন টাকা জালকারীর শাস্তি মৃত্যুদণ্ডই হতে হবে। বাংলাদেশেও এ দুষ্কর্মের জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। সবচেয়ে বেশি প্রচলিত বৈশ্বিক মুদ্রা ডলার জালের উদ্যোগ যেমন সবচেয়ে বেশি, সাফল্য ও ব্যর্থতাও সবচেয়ে বেশি। জাল বাংলাদেশি টাকা ও যন্ত্রপাতিসহ জালকারী ধরা পড়ার কাহিনী প্রায় প্রতি বছরই সংবাদপত্রে ছাপা হয়। প্রায় সব ক্ষেত্রেই জাল করা নোটগুলো বড় মূল্যমানের হয়ে থাকে। টাকা ছাপানোর যন্ত্রসহ সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কেউ কেউ ধরা পড়েছেন। তাদের কারোই বড় কোনো দণ্ড হয়নি। তাদের হাত এত লম্বা যে ধরেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে। কিছুকাল আগেও এক টাকার কাগুজে নোট ছিল। এখন সর্বনিম্ন মানের কাগজের নোট দুই টাকার। ১০০ টাকার কিংবা ৫০০ টাকার জালনোট বাজার ছেয়ে গেছে এমন সংবাদ বিশেষ করে দুই ঈদ উৎসবের আগে প্রতি বছরই চোখে পড়েছে। কিন্তু এক টাকার জালনোট কিংবা হালে দুই টাকার জালনোটে বাজার সয়লাব না হোক বেশ কিছু পাওয়া গেছে এমন সংবাদ চোখে পড়েনি। ছোট নোটের দিকে জালকারীদের নজর নেই এবং তা সংহত কারণেই। এই লেখাটি ছোট নোট এক ডলারের জাল না হওয়া নিয়ে। ১৯৬৩ থেকে ২০২২, গত ৬০ বছর ধরে এক মার্কিন ডলার নোট যেমন ছিল তেমন রয়ে গেছে। ৫, ১০, ২০, ৫০, ১০০ ডলারের নোটের রং, ডিজাইন, সিকিউরিটি ফিচারে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এক ডলার নোট এখন একই রকম রয়ে যাওয়ার একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে ট্রেজারি বিভাগ। সরল এই ব্যাখ্যাটি হচ্ছে এক ডলার নোট তেমন জাল হয় না। যারা জাল নোটের কারবারি তাদের আগ্রহ বড় নোটের দিকে। ভারতে দেখা গেছে জালকারীরা ২০ থেকে ২৫ হাজার ডলার পেলেই এক লাখ ডলার জাল নোট বাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে দেয়। এক ডলার নোট যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য দেশে জাল না হওয়ার বড় কারণ কম মূল্যমানের হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ কাজটি করে পোষায় না। তবে আরো একটি ভেতরের কারণ রয়েছে- এটিএম কার্ডধারীরা যে ভেন্ডিং মেশিন থেকে ডলার বের করে নেন, সেই মেশিন কোম্পানিগুলোর শক্তিশালী তদবির যেন এক ডলারের কোনো পরিবর্তন আনা না হয় তাতে তাদের মেশিন ক্যালিব্রেশন ও ওভারহলিং-এ অনেক বেশি খরচ পড়ে যাবে। এই লেখাটি ডলারের আধিপত্য ডলারভিত্তিক বিশ্ব রাজনীতি বা ডলারের ভবিষ্যৎ নিয়ে যে, কেবল ডলার নিয়ে কৌতূহলোদ্দীপন কিছু তথ্য ও উপাত্ত তুলে ধরাই এর লক্ষ্য। এক ডলারের নোট প্রথম ইস্যু করা হয় ১৮৬২ সালে সিভিল ওয়ারের সময়। এক ডলারের ওপর আমেরিকার প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটনের ছবি দেখতেই পৃথিবী অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। শুরুতে এক ডলারের উপরে আসীন ছিলেন স্যামন পোর্টল্যান্ড চেইজ (১৮০৮-১৮৭৩); তিনি ১৮৬১ থেকে ১৮৬৪ পর্যন্ত তিন বছরেরও বেশি সময় প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের সেক্রেটারি অব ট্রেজারি ছিলেন। ১৮৬৪ থেকে ১৮৭৩ মৃত্যু পর্যন্ত তিনি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতি। তিনি ট্রেজারি সেক্রেটারি থাকাকালেই ন্যাশনাল ব্যাংকিং সিস্টেম চালু করেন এবং কাগুজে মুদ্রার প্রচলন শুরু করেন। প্রেসিডেন্টের ইচ্ছেতে এক ডলার নোটের ওপর স্যামন পি চেইজের ছবি মুদ্রিত হয়। ব্যাংক নোট প্রচলনের উদ্যোক্তা হিসেবে তাকে শ্রদ্ধা জানাতে ১৯২৮ সালে ১০ হাজার ডলারের স্মারক নোট অবমুক্ত করা হয়। ১৮৬৯ সালে আমেরিকার প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটনের ছবি এক ডলারে বসানো হয় এবং সেই থেকে এ স্থানটি তার জন্য সংরক্ষিত রয়ে গেছে। ১৯৬৩ সালে ডলার বিলে ‘ইন গড উই ট্রাস্ট’ মুদ্রিত হয় এবং তা অব্যাহত থাকে। স্যামন পি চেইজ ট্রেজারি সেক্রেটারি থাকার সময় ঈশ্বরে বিশ্বাসের বিষয়টি মুদ্রায় খোদিত হয়। জর্জ ওয়াশিংটনের বিভিন্ন ছবি নোটে ব্যবহার করা হয়। ফার্স্ট লেডি মার্থা ওয়াশিংটনকেও একবার এক ডলার মানের সিলভার সার্টিফিকেটে মুদ্রণ করা হয়। এক ডলার পেপার মানি হিসেবে পরিচিত হলেও আসলে তা কাগজ নয়; ৭৫ ভাগ কটন ও ২৫ ভাগ লিনেনের সমন্বয়ে তৈরি। প্রতিটি ডলার তৈরিতে ট্রেজারি বিভাগকে ৫.৫ সেন্ট ব্যয় করতে হয়। ৫ ডলার তৈরিতে খরচ পড়ে প্রতিটি ১১.৪ সেন্ট, ১০ ডলারের ক্ষেত্রে ১১.১ সেন্ট এবং ২০ ডলারে লাগে ১১.৫ সেন্ট। এক ডলার নোটের আয়ুষ্কাল ছয় বছরের কম। ট্রেজারি থেকে বের হওয়ার পর গড়পরতা ৫.৮ বছরের মধ্যে বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নতুন নোট ছাড়া হয়। ২০ ডলারের আয়ুষ্কাল ৭.৯ বছর, ৫০ ডলারের ৪.৫ বছর এবং ১০০ ডলারের বেলায় ১৫ বছর। বহুল ব্যবহৃত ও বহু হাত ঘুরে বলে ৫ ও ১০ ডলারের আয়ুষ্কাল কম- ৫ ডলার বাজারে টিকে ৫.৫ বছর আর ১০ ডলার ৪.৫ বছর। এক ডলার নোটের শক্তিশালী দুজন শত্রæ হচ্ছেন সিনেটর টম হারকিন ও জন ম্যাককেইন। তারা নোটের পরিবর্তে মুদ্রা চান। তাতে পুনঃপুন মুদ্রণের খরচ বাঁচে এবং ডলারের অঙ্কে তা ১৩.৮ বিলিয়ন। অন্যদিকে ভেন্ডিং মেশিন লবিস্টরা তীব্রভাবে বিরোধিতা করায় নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায়নি। ১৯৩৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মূল্যমানের- এক লাখ ডলারের নোট মুদ্রণ করেছিল তাতে প্রেসিডেন্ট উন্ড্রো উইলসনের ছবি ছিল। এক ডলার নোট সামনে-পেছনে ৪ হাজার বার ভাঁজ করলে তা ছেঁড়ার পর্যায়ে চলে আসে। সংখ্যাটাকে যত বেশিই মনে হোক, মাত্র ২২ মাসেই ভাঁজের সংখ্যা ৪ হাজারে পৌঁছে যায়। এটি ফেডারেল রিজার্ভের গবেষণা থেকেই জানা গেছে। নোট ছিঁড়ে গেলেও তা সচল থাকে। যদি নোটের তিন-চতুর্থাংশ অক্ষত থাকে তাতেও নোট সচল। যদি অর্ধেকও না থাকে কিন্তু দুই পাশের নম্বর অটুট থাকে তা ব্যাংক থেকে বদলে ভালো নোট নেয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। যদি অবস্থা আরো খারাপ হয় তাহলে মিউটিলেটেড কারেন্সি ডিভিশনে পাঠিয়ে ভালো নোটের দাবি করা যায়। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ জানেন এক ডলার নোট রোগজীবাণুতে ভরপুর। বহু হাত ঘোরার পর এই নোটে গড়পরতা ১০০ ধরনের ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়। কোভিড-১৯ বিশ্বব্যাধির সময় টাকা-নাড়াচাড়া নিয়ে মানুষের সচেতনতা কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু ডলার বলে কথা, কে না পেতে চায়। তারপরও ডলার ডার্টি মানি, ৯১ ভাগ নোটে খারাপ রোগজীবাণু রয়েছে, ৭ ভাগে রয়েছে মারাত্মক ব্যাকটেরিয়া। ফেডারেল রিজার্ভের ২০১৯ সালের হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে সার্কুলেশনে থাকা নোটের সংখ্যা ৪৩.৪ বিলিয়ন। ১ ডলার নোট ১২.৪ বিলিয়ন ২ ডলার নোট ১.৩ বিলিয়ন ৫ ডলার নোট ৩.১ বিলিয়ন ১০ ডলার নোট ২.০ বিলিয়ন ২০ ডলার নোট ৯.৪ বিলিয়ন ৫০ ডলার নোট ১.৮ বিলিয়ন ১০০ ডলার নোট ১৩.৪ বিলিয়ন জর্জ ওয়াশিংটন অনুমোদিত ১৭৯২ সালের দ্য কায়নেজ অ্যাক্ট অনুযায়ী এ বছরই ১ ডলার ধাতব মুদ্রা বাজারে আসে। স্থির করা হয় ১০০ সেন্ট-এর সমমূল্যের মুদ্রা হবে ১ ডলার। ১৮৮৫ সালের ৬ জুলাই ডলারকে যুক্তরাষ্ট্রের দাপ্তরিক মুদ্রা ঘোষণা করা হয়। ১ ডলারের নোটে ১৩টি তীর ১৩টি পাতা, ১৩টি তারা ১৩টি স্ট্রাইপ- মূলত ১৩টি কলোনির প্রতীক। ১ ডলারের ১ মিলিয়ন মূল্যমানের নোটের ওজন ১৯৬৬ মডেলের একটি ফক্সওয়াগান গাড়ির ওজনের সমান আর ২০ ডলার নোটের ১ মিলিয়ন ডলার পেতে যত নোট লাগবে তার ওজন গাড়ির একটি চাকার ওজনের সমান। ২০ ডলার নোটের ওপর প্রেসিডেন্ট অ্যান্ডু জ্যাকসনের ছবি ছাপা হয়েছে, কিন্তু তিনি ছিলেন কাগুজে মুদ্রার ঘোর বিরোধী। তিনি স্বর্ণ ও রোপ্য মুদ্রা ছাড়া আইনসম্মত টাকা থাকতে পারে তিনি তা মানতে নারাজ ছিলেন না। প্রত্যাহার করে নেয়া পুরনো ডলারগুলো শ্রেডিং মেশিনে কেটে কুচি কুচি করে সুনির্দিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রয় করে দেয়া হয়। তারা এগুলোকে রিসাইক্লিং করে নির্মাণসামগ্রী বানিয়ে থাকে। বর্তমানে ১.৫৪ ট্রিলিয়ন ডলার বিশ্ব বাজারে সার্কুলেশনে আছে। ১০০ ডলারের দুই-তৃতীয়াংশই যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে, অন্যান্য দেশে। ২০১৭ সালের জন্য ফেডারেল রিজার্ভ ২০৯ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ৭.১ বিলিয়ন নোট মুদ্রণের আদেশ দেয়। এর ৭০ ভাগই পুরনো নোটের প্রতিস্থাপক। কোনো ব্যাংক থেকে ডলার নোট ইস্যু করা হয়েছে নোটের ওপর অ থেকে খ হরফ দেখে তা নির্ধারণ করা যায় : অ বোস্টন, ই নিউইয়র্ক, ঈ ফিলডেলফিয়া, উ ক্লিভল্যান্ড, ঊ রিচমন্ড, ঋ আটলান্টা, এ শিকাগো, ঐ সেইন্ট লুইস, ও মিনিয়াপোলিস, ক ডালাস, খ সান ফ্রানসিসকো। ডলার শব্দটি প্রথম ব্যবহৃত হয় ১৫৫৩ সালে। ডলারের বহু স্ল্যাঙ্গ এখনো ব্যবহার হয়, অনেকগুলো আউটডেটেড হয়ে গেছে। আউটডেটেড কয়েকটি নাম হচ্ছে : গ্রিজ, লেটুস, সালাড, স্ক্র্যাচ, ক্যাবেজ, কেক, সেলেরি, চিপস, ডুকাটস, স্ম্যাকার্স। এখন যেসব চালু আছে তার মধ্যে রয়েছে : বাক, গ্রিনব্যাক, শেডার, ওয়াড, চিজ চিকেন, ক্রিম, গ্রিন, ক্ল্যামস, ব্রেড, ব্যাকন, লার্জ ইত্যাদি। ১ ডলার নোটকে ডাকা হয়েছে : সিঙ্গল, অ্যাইস, বিন, বোন; ২ ডলার নোটকে ডিউস কিংবা টম, ৫ ডলার নোটকে ফাইভার, ফিন কিংবা ফাইভ স্পট, ১০ ডলার নোটকে হ্যামিল্টন, সোবাক, টেন স্পট; ২০ ডলারকে জ্যাকসন বা ডাব; ৫০ ডলার নোটকে ফ্রগ; ১০০ ডলার নোটকে হুন্ডি বেঞ্জামিন বা বেনি বা সি-নোট বলা হয়ে থাকে। বড় নোটকে বিগ বাকস। জ্যাকসন, হ্যামিল্টন বা বেঞ্জামিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রয়াত তিনজন প্রেসিডেন্ট। ডলারের আর একটি নাম : ডেড প্রেসিডেন্টস। পাঁচ ডলারকে বলা হয় লিঙ্কন। নিঃসন্দেহে পৃথিবীর সবচেয়ে আলোচিত, সবচেয়ে আকর্ষণীয় মুদ্রা হচ্ছে ডলার। মূল্যমানে ডলারকে ছাড়িয়ে যাওয়া আরো ৭টি মুদ্রা রয়েছে। জুন ২০২২-এর এক্সচেঞ্জ রেট অনুযায়ী : ইউরো (১.০৭ ডলার), ক্যায়মান আইল্যান্ড ডলার (১.২১), ব্রিটিশ পাউন্ড (১.২৫), জর্দানিয়ান দিনার (১.৪১) ওমানি রিয়াল (২.৬০), বাহরাইনি দিনার (২.৬৫) এবং কুয়েতি দিনার (৩.২৬ ডলার)। ডলার নিয়ে একটি বিখ্যাত উদ্ধৃতি দিয়ে লেখাটি শেষ করছি : ‘ব্যাংক যদি আপনার কাছে ১০০ ডলার পায়, এটা আপনার সমস্যা; কিন্তু যদি ১০০ মিলিয়ন ডলার পায়, এটা ব্যাংকের সমস্যা’, কথাটা জেপি গেটির। বাংলাদেশের বৃহৎ ঋণখেলাপিদের দিকে তাকিয়ে দেখুন, ঘাড়ে গর্দানে তাদের চেকনাই ঝরছে; আর তাদের ঋণ সরবরাহ করা ব্যাংকগুলো সেকালের পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীর মতো মৃত্যুর প্রহর গুনছে।

ড. এম এ মোমেন : সাবেক সরকারি চাকুরে, নন-ফিকশন ও কলাম লেখক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App