×

সাহিত্য

মানবিক পৃথিবীর অন্বেষণে নগরবাসী বর্মণ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২২, ০৯:৪০ পিএম

মানবিক পৃথিবীর অন্বেষণে নগরবাসী বর্মণ

শুক্রবার উত্তরার গ্যালারি কায়ায় শিল্পী নগরবাসী বর্মণের তৃতীয় একক চিত্র প্রদর্শনীতে বক্তব্য রাখেন স্বনামধন্য অভিনয়শিল্পী ও এফবিসিসিআই এর পরিচালক শমী কায়সার। ছবি: ভোরের কাগজ

মানবিক পৃথিবীর অন্বেষণে নগরবাসী বর্মণ
মানবিক পৃথিবীর অন্বেষণে নগরবাসী বর্মণ
মানবিক পৃথিবীর অন্বেষণে নগরবাসী বর্মণ
মানবিক পৃথিবীর অন্বেষণে নগরবাসী বর্মণ

বাংলাদেশের চিত্রকলায় নিজের স্বতন্ত্র ধারা নিয়ে হাজির হয়েছেন নগরবাসী বর্মণ। শিল্পী কিছুটা আত্মগতের মতই ক্যানভাসে নিজেকে মেলে ধরেন। ক্যানভাস হয়ে ওঠে স্মৃতিময় আখ্যান। তিনি হয়ে ওঠেন শিল্প সৃষ্টির পথের পথিক। তার ক্যানভাসে উঠে আসে, নৌকা, মাছ, তেলের কুপি। যা নানা জ্যামিতিক ফর্মে, রঙের উজ্জ্বলতায়, আলো-ছায়ার দোলা দিয়ে যায়। আর সেইসঙ্গে মানুষের সংগ্রাম, বেদনা ও উৎসবের আখ্যান তুলে ধরে। এর মধ্য দিয়ে তিনি মানবিক এক পৃথিবীর অন্বেষণ করে চলেছেন পৃথিবীকে বাসযোগ্য করার লক্ষ্যে। নইলে যে ভবিষ্যত পৃথিবী বাসযোগ্যতা হারাবে। প্রদর্শিত চিত্রকলায় যেন সে কথাই উচ্চারিত হলো।

শুক্রবার (১১ নভেম্বর) ছুটির সন্ধ্যায় উত্তরার গ্যালারি কায়ায় শিল্পী নগরবাসী বর্মণের তৃতীয় একক চিত্র প্রদর্শনীটি প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন আন্তর্জাতিক বিজ্ঞাপনী সংস্থা গ্রে অ্যাডভার্টাইজিং লি, এর বাংলাদেশ প্রধান গাউসুল আলম শাওন। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বনামধন্য অভিনয়শিল্পী, এফবিসিসিআই এর পরিচালক শমী কায়সার। স্বাগত বক্তব্য দেন গ্যালারি কায়ার পরিাচলক শিল্পী গৌতম চক্রবর্তী। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন শিল্পী নগরবাসী বর্মণ।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি গাউসুল আলম শাওন বলেন, চিত্রকলা, বইপড়া আমাদের কল্পনার জগতকে বড় করে। শিল্পচর্চার মধ্য দিয়েই আমরা যান্ত্রিক জীবন থেকে বেরিয়ে যাসতে পারি। প্রদর্শনী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নগরবাসী তার কাজে এমন জগতের কথা বলেন, যা সাধারন চোখে দেখা মেলে না। তিনি ছবিতে সহজ জীবনের কথা বলেন।

শমী কায়সার বলেন, ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য আমাদের সাংস্কৃতিক পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। নিজের জীবনের স্মৃতিচারণ করে তিনি আরো বলেন, নিজেকে দিয়ে জানি রঙতুলি আর সঙ্গীত নিযে বড় হতে পারলে মানুষ সংস্কৃতিমনস্ক হয়ে ওঠে। আমি ছোটবেলায় অনেক শিল্পী-সাহিত্যিকের সান্নিধ্য পেয়েছি যা আমাকে পরবর্তী জীবনে নানাভাবে সমৃদ্ধ করেছে।

গৌতম চক্রবর্তী বলেন, ছাপচিত্রে নগরবাসী বর্মণ একাগ্র শিল্পি হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন। স্মৃতির বিস্তার তার শিল্প সৃষ্টির মূল প্রেরণা। মৎস্যজীবী একটা আবহ থেকে সেই মানুষগুলোর সংগ্রাম, বেদনা, আনন্দ আর উৎসবই তার পটজুড়ে।

শিল্পী নগরবাসী বর্মণ বলেন, মানুষের আনন্দ-বেদনার কথাই আমি বলতে চাই। মানুষ সাধারনভাবে বাঁচতে চায়। কিন্তু সেটাও সবাই পারে না। ঘরে খাবার থাকে না। বেঁচে থাকার সামান্য উপকরণগুলো থাকে না। সেই না থাকা জীবনের মাঝেও মানুষ আনন্দ খুঁজে নিতে চায়। ক্যানভাসে সেসব কথাই বলতে চাই।

তিনি বলেন, আমি জেলে পরিবারের সন্তান। শৈশবজুড়ে জেলে পরিবারের মানুষদের সুখ-দুঃখ হাসি-কান্না মিশে রয়েছে। শান্তি নিকেদনে যখন পড়তে যাই তখন শিক্ষকরা বলেছিলেন যা তোমাকে আলোড়িত করে সেইসব ক্যানভাসে তুলে আনতে। তখন আমি নৌকা, মাছকেই অবলম্বন করে ছবি আঁকা শুরু করি।

প্রদর্শনীতে ৫০টি শিল্পকর্ম স্থান পেয়েছে। এর মধ্যে ছাপচিত্র, ড্রয়িং, জলরঙ, অ্যক্রেলিক, চারকোল, এচিং, উডকাট, লিনোকাট উল্লেখযোগ্য। প্রদর্শনী চলবে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সকাল সাড়ে ১১টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত প্রদর্শনীর দরজা খোলা থাকবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App