×

জাতীয়

লুট করে মানুষের সব খেয়ে ফেলেছে আ. লীগ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২২, ১২:১৩ এএম

লুট করে মানুষের সব খেয়ে ফেলেছে আ. লীগ

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছেন ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। ছবি: ভোরের কাগজ

লুট করে মানুষের সব খেয়ে ফেলেছে আ. লীগ

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, এক ৭৪ গেছে, আরেক ৭৪ আসছে। আওয়ামী লীগের সাথে দুর্ভিক্ষের সম্পর্ক আছে। তারা যেভাবে লুট করেছে, মানুষের সব খেয়ে ফেলেছে।

বুধবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে রাজশাহীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আগামী ৩ ডিসেম্বর দলটির রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশ উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়। সভা পরিচালনা করেন বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও গণসমাবেশের সমন্বয়ক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক রাসিক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু। সভায় দলটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহিন শওকতসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভায় বিএনপি নেতা টুকু বলেন, আওয়ামী লীগ ১৩ বছর ধরে জোর করে জাতির কাঁধে বসে আছে। আমরা মানুষের দাবি নিয়ে নেমেছি। জনগণ আমাদের সমর্থন দিয়েছে। বিএনপির সমাবেশে লাখো জনতার জোয়ারই প্রমাণ করে এ সরকারকে কেউ চায় না। জোর করে জাতির কাঁধে বসে আছে আওয়ামী লীগ।

সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন দিতে গেছিলাম, আবারও জীবন দিতে নেমেছি গণতন্ত্র উদ্ধারে। সরকার উন্নয়ন উন্নয়ন করে দেশকে এমন জায়গায় নিয়ে এসেছে, আজ কোনো রিজার্ভ নাই। ব্যাংকে ডলার নাই। অথচ আওয়ামী লীগের একজন ইউপি নেতা থেকে উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের কাছে, কত টাকা আছে তারা নিজেরাও জানে না। ক্যাপাসিটি চার্জের নামে বিদ্যুৎ সেক্টরে ৯০ হাজার কোটি টাকা পাঁচার হয়েছে। জনগণের টাকা লুট করে সুইজ ব্যাংকে জমা দিয়েছে।

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, নির্ধারিত টাইমের আগেই বিএনপির মিটিং শুরু হয়, মাঠ ভরে যায়। বিএনপির সমাবেশ কেন্দ্র করে গাড়ি বন্ধ করা সরকারের অগণতান্ত্রিক পন্থা। এটা প্রমাণ হয়েছে বরিশাল, ময়মনসিংহ, রংপুরসহ সব জায়গায়। বিএনপি যাতে মাঠে না থাকতে পারে, সেজন্য নগ্ন হামলা হয়েছে। প্রতিদিন দেশের কোথাও না কোথাও হামলা-মামলা দিয়েছে। প্রশাসন ব্যবহার করে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু বিএনপি থেমে থাকেনি।

তিনি বলেন, রাজশাহী ধানের শীষের জায়গা। রাজশাহী বিভাগ থেকে বেশি সংসদ সদস্য হয়েছে। এখানকার এমপিদের নিয়ে সরকার গঠন হয়েছে অতীতে। ৩ ডিসেম্বরের সমাবেশে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিএনপির এ কেন্দ্রীয় নেতা।

সভায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও রাজশাহী সিটির সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু বলেন, ৩ ডিসেম্বরের সমাবেশ আমাদের সবার। এবারের সমাবেশ হবে সর্বকালের সেরা। মহাসমুদ্রে রূপ নিয়ে রাজশাহীজুড়ে উত্তাল হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ নিঃশেষ হয়ে গেছে। দুর্ভিক্ষের আগাম ধ্বনি শোনা যাচ্ছে। ক্রয়ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে মানুষ। এ সরকার জনগণকে নিঃশেষ করে দিয়েছে। আমরা দেখতে পাই মানুষের হাহাকার। বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে এক কাফেলায় রয়েছে বিএনপি।

সভা পরিচালনাকালে বিভাগীয় সমাবেশের সমন্বয়ক ও রাজশাহী বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, ৩ ডিসেম্বর আমরা শান্তিপূর্ণ প্রোগ্রাম করতে চাই। আমাদের গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত চলছে। তবে যতই বাধা দিক, সমাবেশ হবেই। গাড়ি বন্ধ করে দিলেও রিকশা, মোটরসাইকেল এমনকি পায়ে হেটে হলেও সমাবেশে আসব।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App