×

জাতীয়

আইএমএফের টাকা ব্যয়ের খাত প্রকাশের দাবি বিএনপির

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২২, ০৮:০৮ পিএম

আইএমএফের টাকা ব্যয়ের খাত প্রকাশের দাবি বিএনপির

সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: ভোরের কাগজ

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে পাওয়া ঋণ কোন খাতে খরচ করা হবে তা প্রকাশের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আইএমএফের লোন নিয়ে আবারো জনগণকে সরকার আরেক ঋণের মধ্যে ফেলতে যাচ্ছে। যেটা ইতিমধ্যে সমস্ত ঋণের ক্ষেত্রে হয়েছে। এসব লোনের টাকা কি খাতে খরচ করা হবে তা জনগণ জানতে চায়।

বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) বিকালে নয়াপল্টনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিনী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে সমাবেশে এসব কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব।

স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসকে জিলানীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসানের সঞ্চালনায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, মীর সরাফত আলী সপু, মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল কাদির ভঁইয়া জুয়েল, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ইশরাক হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের ইয়াছিন আলী, নাজমুল হাসানসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের মহানগর নেতারা বক্তব্য রাখেন।

সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে মির্জা ফখরুল বলেন, এই লোন শোধ করবেন কি করে? ইতিমধ্যে আপনার তো রিজার্ভ খালি হয়েছে। পরিশোধ করার অনেক কঠিন হবে। সরকারের দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তারের পরিসংখ্যান তুলে ধরে ফখরুল বলেন, আইএমএফ থেকে লোন নিচ্ছে কেনো? চুরি-দুর্নীতি করে সব সাফ করে দিয়েছে, দেউলিয়া করে দিয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। রেমিটেন্স দেশে না পাঠিয়ে হুন্ডি করে বিভিন্ন দেশে ‘অ্যাসেট’ ক্রয় করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

আন্দোলন প্রসঙ্গে

বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমরা যে আন্দোলনটা করছি এটা আমরা বিএনপির জন্য করছি না। এই আন্দোলন আমাদের জনগণের জন্যে, জনগণের ভোটের অধিকার, জনগণের বাঁচার অধিকার, তাদের সভা-সমাবেশ করার অধিকারের জন্য। আমরা এই আন্দোলন করছি একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে সকল দলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচনের জন্য।

তিনি বলেন, একটা গণতান্ত্রিক দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি যারা ৫ বার রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে অতীতে, তাদের ৩৫ লক্ষ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়। এটা চিন্তা করা যায়? এটা এদেশে হচ্ছে। আওয়ামী লীগের চরিত্রের মধ্যে গণতন্ত্র নাই, তাদের কাঠামোর মধ্যে গণতন্ত্র নাই। স্বাধীনতার পরে তারা একদলীয় শাসন বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিলো। আজকে আবার এই ১৪ বছরে ধরে উপরে গণতন্ত্রের মোড়কে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছে। দেশের মানুষ এটা মেনে নেবে না।

‘মায়ের কান্না প্রসঙ্গে’

মির্জা ফখরুল বলেন, আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে আপনারা এখন নতুন সব ফন্দি-ফিকির বের করছেন। আমাদের গুম হওয়া পরিবারগুলোর তাদের একটা সংগঠন আছে ‘মায়ের ডাক’ করেছে। এখন ওটার একটা পাল্টা একটা তারা (ক্ষমতাসীনরা) তৈরি করেছে ‘মায়ের কান্না’। এটা নতুন।

তিনি বলেন, ১০ বছর আগে ওই ৭৫ সালে সিপাহী-জনতার বিপ্লব ওই যে ৭ নভেম্বর। সেই সময়ে কারা কারা নাকি মারা গিয়েছিলো তাদের পরিবারের এতোদিন পরে উদয় হয়েছে। উদয় হয়ে তারা কী দাবি করছেন যে, শহীদ জিয়া তিনি নাকি মানুষদের হত্যা করেছেন। সেজন্য নাকি তারা তার (জিয়াউর রহমানের) কবর সেখান থেকে নাকি সরিয়ে দিতে চায়। এটাকে হালকাভাবে নেবেন না। অত্যন্ত সুদূর প্রসারী চক্রান্ত শুরু করেছে এই সরকার। এই চক্রান্ত হচ্ছে আবারো বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের আন্দোলনকে ব্যর্থ করে দেয়া। আমরা সেটা হতে দেবো না। আমাদের দেশকে রক্ষা করতে হলে, গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হলে, জনগণের ভোটের অধিকারকে রক্ষা করতে হলে আমাদের অবশ্যই এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App