×

সারাদেশ

মুজিবনগর সরকারকে গার্ড অব অনার প্রদানকারীর মৃত্যু

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২২, ০১:৫৮ পিএম

মুজিবনগর সরকারকে গার্ড অব অনার প্রদানকারীর মৃত্যু

হামিদুল হক

১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল দেশের প্রথম সরকারকে গার্ড অব অনার প্রদানকারী আনসার সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ঐতিহাসিক মুজিবনগরের কৃতি সন্তান হামিদুল হক মারা গেছেন।

মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

বুধবার বেলা ১১ টায় মুজিবনগর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদান ও নামাজে জানাজা শেষে নিজ গ্রাম সোনাপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে তাকে। হামিদুল হক বাংলাদেশের প্রথম সরকার প্রধানদের সেদিন সশস্ত্র সালাম প্রদর্শন করেছিলেন। আজ তার মৃত্যুর পর মুজিবনগর পুলিশের একটি চৌকস বাহিনী হামিদুল হককে সশস্ত্র সালাম প্রদর্শন করে মরদেহ জাতীয়পতাকায় আচ্ছাদিত করে রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন করেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি স্ত্রী, ৩ ছেলে ও ৩ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

স্থানীয় বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আয়ূব হোসেন বলেন, সোনাপুর গ্রামের মৃত নওশের মন্ডলের ছেলে হামিদুল হক বার্ধক্যজনিত কারণে মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে নিজ বাড়িতে প্রয়াত হন। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল দেশের প্রথম সরকারকে যে ১২ জন আনসার সদস্য গার্ড অব অনার প্রদান করেছিলেন তার মধ্যে হামিদুল হক ছিলেন অন্যতম। ওইদিন ঐতিহাসিক মুজিবনগরে দেশের প্রথম সরকারের শপথ গ্রহণ, স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ ও মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক নিযুক্তের আনুষ্ঠানিক আয়োজন হয়েছিল। সেদিন বিশ্ব গণমাধ্যম দেশের ঐতিহাসিক সেই মুহূর্তের সংবাদ সংগ্রহে মুজিবনগর ছুটে গেছিলো। সেদিনের ঘটনার মাধ্যমে বিশ্ব দরবারের বাংলদেশের নাম স্থান করে নিয়েছিলো। বাংলাদেশের মানচিত্র, সার্বভৌমত্ব, জাতীয় পতাকা সবই মুজিবনগরের অবদান। তাই মুজিবনগরকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুতিকাগার বলা হয়।

যে ১২ আনসার সদস্য সেই ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী ছিলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে তাদের বেশিরভাগই প্রয়াত হয়েছেন। হামিদুল হকের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে সেদিনের সাক্ষী ১০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা আনসার সদস্য প্রয়াত হলেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App