×

জাতীয়

বুয়েট ছাত্রের মরদেহ শীতলক্ষ্যায় উদ্ধার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২২, ০৯:৪২ পিএম

বুয়েট ছাত্রের মরদেহ শীতলক্ষ্যায় উদ্ধার

শিক্ষার্থী ফারদিন নুর পরশ

রাজধানী থেকে গত ৪ নভেম্বর নিখোঁজ হওয়া বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নুর পরশের (২৩) মরদেহ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (৭ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জের সিদ্দিরগঞ্জের বনানী ঘাট এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।

পরে পরশের পরিবারের সদস্যরা গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন। পরশের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন না থাকায়, এটি হত্যাকাণ্ড কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। তবে, পরিবারের অভিযোগ পরশকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

পরশের বাবা নুরউদ্দিন রানা বিলাপ করতে করতে মুঠোফোনে বলেন, এখন আর নিউজ করে কি করবেন? ছেলেতো আর নাই। কারা যেন মেরে নদীতে ফেলে দিছে। কাউকে সন্দেহ করছেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কোনো শত্র নাই। কে মারলো জানিনা। পুলিশ এটা খুঁজে বের করুক। পরশের পকেটে থাকা মানিব্যাগ, হেডফোন ও মোবাইল পকেটেই পাওয়া গেছে বলেও জানান নুরউদ্দিন।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ নৌবন্দর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান ভোরের কাগজকে বলেন, খবর পেয়ে নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। কিভাবে সে মারা গেছে তদন্ত শেষে নিশ্চত হওয়া যাবে।

এরআগে নিখোঁজ পরশের বাবা নুরউদ্দিন রানা সোমবার বিকেলে ভোরের কাগজকে বলেন, তাদের গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার নয়ামাটি গ্রামে। বর্তমানে রাজধানীর ডেমরার শান্তিবাগের ১৩/১২ নম্বর বাসায় থাকেন। তার ছেলে পরশ গত ৪ নভেম্বর বিকেল ৩টার দিকে বুয়েটের আবাসিক হলের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়। ৫ নভেম্বর সকাল ১০টায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টে পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা ছিল। পরবর্তীতে জানতে পারি আমার ছেলে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি। এ খবর পাওয়ার পর পরশের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করি। কিন্তু মোবাইল বন্ধ পাই। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে জানতে পারি, পরশ ওর মেয়ে বন্ধু বুশরার সঙ্গে রিকশায় করে রামপুরা ট্রাফিক বক্সের সামনে এসে নেমে যায়। এরপর আর বাসায় ফিরে আসেনি। পরশের আচরণে কোনো পরিবর্তন দেখেছেন কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তরে নুরউদ্দিন রানা বলেন, আচরনে কোনো ধরনের ভিন্নতা আমরা দেখিনি।

জিডির তদন্তের বিষয়ে রামপুরা থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. গোলাম মাওলা বলেন, গত ৫ নভেম্বর পরশের বাবা থানায় জিডি (নম্বর-২৮১) দায়েরের পর সম্ভাব্য সব বিষয় মাথায় রেখে আমরা তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। তবে, কি কারণে সে বাসায় ফেরেনি এবং কোথায় গিয়েছে সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি। পরিবারের সঙ্গে কথা বলেও তেমন কিছু জানতে পারিনি। তারা শুধু জানিয়েছে, পরীক্ষার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়েছিল পরশ। তাকে উদ্ধার করা গেলে রহস্য উন্মোচন হবে বলে জানান মো. গোলাম মাওলা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App