×

জাতীয়

তারেক-জোবায়দার গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় গুরুত্ব নেই

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২২, ০৭:২২ পিএম

তারেক-জোবায়দার গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় গুরুত্ব নেই

যুবদলের সমাবেশে মির্জা ফখরুল। ছবি: ভোরের কাগজ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে বিএনপি চিন্তিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, দেশের ১৮ কোটি মানুষ যার দিকে তাকিয়ে আছে সেই জনগণের নেতা ও তার সহ-ধর্মীনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কোনো গুরুত্ব নেই, কারণ এতে তার কিছুই যায় আসে না। দেশের জনগণ তারেক রহমানকে বিজয়ের বেশে দেশে ফিরিয়ে আনবে। খালেদা জিয়াকে তারা মুক্ত করবে।

রবিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে যুবদল আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

বেলা ২টা থেকে সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। দুপুর ১২টা থেকেই ঢাকা মহানগরসহ আশেপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে যুবদলের নেতারা ব্যানার-ফেস্টুনসহ খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশে জড়ো হন। তারা খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মুক্তি ও তারেক রহমান দম্পতির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। সমাবেশে গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, নারায়াণগঞ্জ, নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জ যুবদলের হাজার হাজার নেতাকর্মী জড়ো হতে দেখা যায়।

যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্নার সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলাল, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফজলুল হক মিলন, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সমাজসেবা সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

ফখরুল বলেন, বিএনপির ২৫ লক্ষ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, গণতন্ত্র উদ্ধারের চলমান আন্দোলনে মামলা দেয়া হয়েছে, হত্যা করা হয়েছে। কই আমাদের কি দমিয়ে রাখতে পেরেছে? পারেনি আর পারবেও না। তিনি বলেন, তারেক রহমানকে দেশের জনগণ বিজয়ের বেশে ফিরিয়ে আনবে। খালেদা জিয়াকে তারা মুক্ত করবে।

গত শনিবার বিএনপির বরিশালের সমাবেশের দুটি চিত্র তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ঐদিন সমাবেশে একজন বয়স্ক মানুষ ৩ দিন ধরে শুয়ে ছিলেন, তার কাছে সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছিলেন, আপনি এতো কষ্ট করে কেনে এসেছেন? তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ভালো মহিলা, বিএনপি ভালো দল, আমার ঘরে খাওয়া নেই বিএনপি ক্ষমতায় এলে আমার ভাতের ব্যবস্হা হবে। অন্য আরেকজন বুড়ো মহিলা সমাবেশে এসেছিলেন বহু কষ্ট করে, তার কাছে জানতে চাওয়া হলো আপনি কেনো এসেছেন মা? বুড়ো মা বলেন, আমি পরিবর্তন দেখতে এসেছি।

বিএনপির স্হায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় অভিযোগ করেন, ২০১৩ সালে তারেক রহমানকে বিচারিক মামলায় খালাস দয়ার পরেও তার বিরুদ্ধে মামলা চলছে। আদালতকে ব্যবহার করে খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দী রাখার পরেও প্রধানমন্ত্রীর খায়েস মিটেনি। তাকে ফের জেলে ঢুকানোর হুমকি দেয়া হচ্ছে। তবে খালেদা জিয়াকে আর জেলের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। তিনি আপস কখনো করেননি, করবেনও না। ভয় দেখিয়ে জনগণকে দাবিয়ে রাখা যাবেনা। ডিসেম্বরে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশের জনগণ আবারো একটা বিজয় উদযাপন করবে।

দলটির অপর স্হায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ২০১৮ সালের তারেক রহমানের মামলা কবর খুঁড়ে বের করা হয়েছে, আর আপনাদের দুর্নীতি প্রকাশ্যে হচ্ছে। এর সাক্ষী দেশের জনগণ। তিনি বলেন, আজকে ওবায়দুল কাদের বলবে খেলা হবে, কার সঙ্গে খেলা হবে? বিএনপির সঙ্গে? পারবেন না সেই খেলায় পরাজিত হবেন, কারণ সমস্ত দেশের মানুষ বিএনপির সঙ্গে রয়েছে। তারেক রহমান দেশের মানুষকে দুর্নীতিবাজ এই সরকারের বিরুদ্ধে জাগিয়ে তুলেছে বলেই তাকে দমিয়ে রাখতে এতে মামলার হিড়িক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App