×

জাতীয়

ইউজিসির সক্ষমতা বাড়ানোর কাজ চলছে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২২, ০৬:৫০ পিএম

দক্ষমতা বাড়াতে শর্ট কোর্স চালু করছি

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, আমরা ইউজিসির সক্ষমতা বাড়ানো এবং বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংস্কারে কাজ করছি। আমরা কারিগরি শিক্ষার সঙ্গে সমস্ত শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। যাতে বিদেশে গিয়ে তারা সফলতার সঙ্গে চাকরি করতে পারে।

রবিবার (৬ নভেম্বর) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নুর এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এ পুরো শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে আমরা গুনগত মান অর্জনের জন্য ঢেলে সাজাতে কাজ করে চলেছি। আমরা এনটিকিউএফ (ন্যাশনাল কোয়ালিফিকেশনস এ- ভোকেশনাল ফ্রেম ওয়ার্ক) আমরা সম্পন্ন করেছি। এই ফ্রেম ওয়ার্ক অনুযায়ী যে যে স্তরে পাশ করে শিক্ষা নিয়ে বের হবে বিদেশে গিয়ে সে যেন সে স্তরের কাজ পেতে পারে তার ব্যবস্থা করেছি। একই ভাবে উচ্চতর শিক্ষার ক্ষেত্রে আমরা ‘ন্যাশনাল কোয়ালিফিকেশন ফর ফ্রেম ওয়ার্ক’ অনুযায়ী শিক্ষার মান বজার রাখার চেষ্টা করেছি। এ ফ্রেম ওয়ার্কের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীরা যাতে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে তার চেষ্টা করছি। সেকারণে সব বিশ্ববিদ্যালয়গুলো, আর ইউজিসি, এক্রিডিটেশন কাউন্সিল আমাদের রয়েছে, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিটি কোর্স এই এক্রিডিটেশন কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে চলতে হবে। নতুন কারিকুলামে মুখস্ত করা নয়, পড়ে পড়ে শিক্ষতে হবে, যাতে তারা আত্মস্থ করতে পারে। আমরা বিএ, বিএসসির মতো কোর্সের সাথে সাথে স্বল্পমেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্স চালু করছি। এছাড়া স্বল্প মেয়াদি শর্ট কোর্স চালু করছি যাতে যখন যার যে শিক্ষা দরকার সে তা করে নিতে পারে। কেননা, বর্তমান বিশ্ব বড়ই পরিবর্তনশীল, সেখানে খাপ খাওয়াতে যাতে আমাদের শিক্ষার্থীদের হিমসিম খেতে না হয়।

দীপু মনি বলেন, জীবন গঠনের জন্য কর্মসংস্থানের বিষয়টি ওতপ্রতভাবে জড়িত। আমরা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রাক-প্রাথমিক থেকে শুরু করে মাধ্যমিকের শেষ পর্যন্ত যে শিক্ষা কার্যক্রম করেছি সেখানে নতুন জীবনমুখি ও কর্মমুখি শিক্ষা উদ্ভাবন করেছি। একই ভাবে উচ্চতর শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিয়ে আমরা একাজগুলো করার চেষ্টা করেছি।

তিনি জানান, বিদেশ থেকে আমাদের বিভিন্ন অঞ্চলে যে কর্মী এসে কাজ করছে তা আমরা দেখছি, জানি। তবে তাদের সঙ্গে আমাদের গ্রাজুয়েটদের তফাৎ আমরা যা শিখছি তার প্রয়োগ সম্পর্কে বেশি শিখি না, তার সঙ্গে কমিউনিকেশসনস স্কিলস, প্রবেলম সলভিং এবং ক্রিটিক্যাল থিংকিং স্কিল আমরা করি না। উচ্চতর শিক্ষার ক্ষেত্রে আমরা এই সফট স্কিলগুলো শেখানোর চেষ্টা করছি। শিল্পের ক্ষেত্রে কি প্রয়োজন তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আমরা কারিকুলাম নির্ধারণ করি, যেন শিক্ষার্থীরা তাদের স্কিল পুরোপুরি প্রয়োগ করতে পারে।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, যেখানে ২০০৯ সালে আমাদের কারিগরি শিক্ষার হার ছিল ১ শতাংশ বর্তমানে তা এসে দাড়িয়েছে ১৭ শতাংশে। আমরা আমাদের কারিগরি শিক্ষার ব্যাপক বিস্তার ঘটাচ্ছি। শুধুমাত্র কারিগরি প্রতিষ্ঠানে নয়, সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুটো করে ট্রেড চালু করতে যাচ্ছি। যাতে দশম শ্রেনীর পরে আর তার পড়ার সুযোগ সৃষ্টি নাও হয় তাতে যেন সে একটি ট্রেডে দক্ষতা নিয়ে বেরোতে পারে এবং কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App