×

জাতীয়

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের চেষ্টা চলছে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২২, ০৯:৩৩ পিএম

সব আইনের অপব্যবহারের একটা চেষ্টা থাকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার হচ্ছে ও বিষয়টি সংশোধনের চেষ্টাও করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে এভিডেন্স অ্যাক্ট, ১৮৭২ এর অধীন অধিকতর সংশোধনকল্পে আনীত এভিডেন্ট বিল (সংশোধন), ২০২২ পাসের জন্য উপস্থাপনের পর এর ওপর বিরোধী দলের সদস্যদের যাচাই-বাছাই প্রস্তাবের আলোচনায় তাদের বক্তব্যের উত্তর দেয়ার সময় এ কথা জনান আইনমন্ত্রী।

আইনমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংসদ সদস্য যিনি প্রশ্ন তুলেছেন, তিনিও বলেছেন যে এইটা প্রয়োজন আছে। এবং তিনি একটা কথা বলেছেন যে এইটার অপব্যবহার হয়েছে বা এই আইনটাকে বিরেধী দলকে টার্গেট করেই করা হয়েছে। কথাটা আমি অত্যন্ত বিনয়ের সাথে বলতে চাই সত্য নয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে সাইবার ক্রাইম কমব্যাক্ট করার জন্য করা হয়েছে। তার কারণ হচ্ছে আমরা জানি যে আমাদের এই সংবিধানে বলা আছে যে বাক স্বাধীনতা বা সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা এটা একটা মৌলিক অধিকার।

তিনি আরও বলেন, এর পরিপন্থী কোনো আইন হলে সংবিধানেই বলা আছে সে আইনটা কার্যকর হবে না। আমরা এই সব জেনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এই সংবিধানের পরিপন্থী আইন করবো সেটা আমরা করার মতো না আমরা জনগণের সরকার।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, হ্যা। সব আইনের অপব্যবহারের একটা চেষ্টা থাকে। কিন্তু আমাদের আর বিএনপির মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে যে, যখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার হচ্ছে আমরা কিন্তু তা স্বীকার করেছি এবং সংশোধনের চেষ্টা করছি। অথচ ২১ বছর একটি হত্যা মামলার এফআইআর করতে দেননি তারা, ইনডেমিনিটি অডিনেন্স করেছেন ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যদেরকে ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছেন। কিন্তু একবার একটা শব্দ ‘সরি’ বলেন নাই। আমরা ভুল স্বীকার করি, আমরা জনগণের উপকারার্থে ভ’লটাকে যেনো ভালো করতে পারি জনগণের উপকারে আসে সে চেষ্টা করি। আমরা সব সময় মনিটর করি কিন্তু উনাদেও মুখ দিয়ে কিন্তু অন্যায় করলেও অন্যায় ধরা পড়লেও উনারা চোরের মার বড় গলা।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আরও বলেন, মামলা জটের কথা বলা হয়েছে। মামলা জটে সত্যি আমরা ডুবে আছি। মামলা জট থেকে আমরা বেরিয়ে আসার চেষ্ট করছি। গত ১০ বছর আগে বিচারক ছিলো ১২০০ প্লাস। আজ নিম্ন আদালতে ১৯ শতাধিক বিচারক রয়েছেন। প্রতি বছর দুই বার বিচারক নিয়োগ করি। আদালতের সংখ্যা বেড়েছে। এসব পদক্ষেপ নিয়ে মামলা জট কমিয়ে আনার চেষ্টা করছি। এর সুফল আমরা পাচ্ছি। মামলার সংখ্যা কমে আসছে।

বিরোধীদের দমনে ব্যবহৃত হচ্ছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন

বিলটি পাশের আগে আগে বিএনপির এমপি হারুনুর রশীদ অভিযোগ করেন, এ ডিজিটাল আইনটি বিরোধীদের দমন করার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। তিনি বলেন, দেশে এখন আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ হচ্ছে না। সুশাসন নেই। মিথ্যা সাক্ষ্য ও মিথ্যা মামলা দিয়ে বিরোধীদের হেনস্থা করা হচ্ছে। তিনি আইনমন্ত্রীকে দল মত নির্বিশেষে সকলের জন্য আইনের সুষম প্রয়োগের আহ্বান জানান।

একই দলের এমপি রুমিন ফারহানা বলেন, যিনি আইন করছেন তিনিই প্রয়োগ করবেন। আজকে সরকার আইন করছেন, তা প্রয়োগ হবে বিরোধী দলের জন্য। রুমিন বলেন, দেশে এখন আইনের শাসন উঠে গেছে। বিরোধীদলকে দমন চলছে। সরকার আইন করছে তার নিজের কাজে ব্যবহারের জন্য করছে, বিরোধীদের ওপর এ আইনে অপপ্রয়োগ করা হচ্ছে, হাজার হাজার বিএনপি নেতা কর্মীদের মিধ্যে মামমলায় ফাাঁসানা হচ্ছে। নিজেদের স্বার্থে এবং বিরোধী দলের দমন ও তাদের ওপর অপ্রয়োগ করা হচ্ছে। আইনের সম প্রয়োগ করার আহ্বান জানান তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App