আবদুল হালিম বয়াতী সংগীতকে বেছে নিয়েছিলেন সাধনা আর মানবতার মুক্তির পথপ্রদর্শক হিসেবেই। যিনি আদর্শ প্রচার মাধ্যম ছাড়াও সঙ্গীতকে শিক্ষামূলক শিল্পে পরিণত করেছিলেন, আর সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে লিখেছেন মানুষের গান, মানবতার গান।

হালিম সংগীত ও বিচার গানের প্রর্বতক ছিলেন আবদুল হালিম বয়াতি। বলা চলে, লোকসংগীতের বিশেষ ধারা বিচার গান তার এক অভিনব সৃষ্টি। যার দর্শন ছিলো ‘মহাবিশ্ব স্রষ্টা ও সৃষ্টির লীলা নিকেতন’। ৫ সহস্রাধিক গান রচনা করেছেন যিনি। সেই গানগুলো ছড়িয়ে আছে দেশের বিভিন্ন এলাকায় হাজারো ভক্তের মাঝে।

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে লোকসংগীতের প্রবাদপুরুষ গানের সম্রাট বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিম বয়াতির ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমি এক আলোচনা ও সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাষ্টি মফিদুল হক এবং লোকগবেষক ও বাংলা একাডেমির উপ-পরিচালক ড. তপন বাগচি। স্বাগত বক্তব্য দেন আবদুল হালিম বয়াতির পুত্র মো. নিশানে হালিম।

আলোচনা পর্বের পর সংগীত পরিবেশন করেন সুলতানা ইয়াসমিন লায়লা, সৈয়দ আশিকুর রহমান, কামরুজ্জামান রাব্বি, সামছ পলাশ, হালিমা পারভীন, দেলোয়ার বয়াতি, বাবুল বয়াতি, লাল মিয়া বয়াতী, আয়েলা বয়াতী ও আকলিমা বয়াতী প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সৌম্য সালেক।